শীতে রোদ পোহানোর আরাম রাতে লেপ-কম্বলের নিচে শোয়ার মতোই আরামের। শরীরে রোদ লাগানোর উপকারিতাও আছে। সূর্যের আলো ভিটামিন ডি এর প্রাকৃতিক উৎস। মানুষের সুস্থতার জন্য ভিটামিন ডি অপরিহার্য। রোদ থেকে আমরা প্রয়োজনীয় ভিটামিন ডি সহজেই গ্রহণ করতে পারি। তাই প্রতিদিন নিয়ম করে কিছুক্ষণ রোদে দাঁড়ালে আপনিও আপনার শরীরের প্রয়োজনীয় ভিটামিন ডি গ্রহণ করতে পারবেন।
ভিটামিন ডি কী কাজে লাগে
শরীরে পর্যাপ্ত ভিটামিন ডি থাকলে তা দিয়ে পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম ও ক্যালসিয়াম তৈরি হয়। তাই তো ভিটামিন ডি-কে বলা হয় ‘সানশাইন ভিটামিন’। রোদের সংস্পর্শে এলে ত্বকে থাকা কোলেস্টেরল দিয়ে তৈরি হয় এই ভিটামিন। কম বয়সীরা শরীরে ভিটামিন ডির অভাবে অবসাদগ্রস্ত হন। যাদের শরীরে ভিটামিন ডির অভাব রয়েছে তারা অল্পতেই ক্লান্ত হয়ে পড়েন। মানুষের বয়স যত বাড়বে, তত শরীরে ভিটামিন ডি তৈরির সক্ষমতা হারাবে। এতে করে বয়স বৃদ্ধির সঙে সঙ্গে হাড় ক্ষয়ের মতো রোগ আমাদের জেঁকে ধরে।
বয়স বাড়তে থাকলে ত্বকে ভিটামিন ডি তৈরির ক্ষমতা কমতে থাকে৷ ফলে বেশি বয়স হলে হাড় ক্ষয়ের রোগও বাড়তে থাকে। বয়স বাড়তে শুরু করার পর তাই সারাক্ষণ বাড়িতে বসে না থেকে নিয়মিত গায়ে রোদ লাগাতে হবে৷
কিভাবে পাবেন যথেষ্ট ভিটামিন ডি
ভিটামিন ডি পেতে দিনের ঠিক কোন সময়ের রোদ গায়ে লাগাতে হবে সে বিষয়ে অনেকেই জানেন না। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৩টার মধ্যের রোদ ভিটামিন ডির খুব ভালো উৎস। অর্থাৎ, বাইরে বের হয়ে যখন দেখবেন আপনার ছায়া আপনার তুলনায় ছোট, সেই সময়ের রোদে আপনার ত্বক সবচেয়ে ভালো ভিটামিন ডি উৎপন্ন করতে পারে। এছাড়া দিনে মাত্র ২০ মিনিট সূর্যের আলোতে থাকলেই আপনার শরীর পর্যাপ্ত ভিটামিন ডি গ্রহণ করতে পারে।
ভিটামিন ডি পেতে হলে অবশ্যই ত্বকে সরাসরি সূর্যের আলো লাগাতে হবে৷ সেক্ষেত্রে পোশাক বা সানস্ক্রিন সরাসরি ত্বকে ভিটামিন ডি তৈরিতে বাধা দেয়। তাই মুখে সানস্ক্রিন মেখে বের হলেও হাত-পা বা শরীরের অন্য কোনো স্থান যেন উন্মুক্ত থাকে সেই বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে৷ মাঝেমধ্যে সানস্ক্রিন ছাড়াই রোদে বের হতে চেষ্টা করুন। বাড়িতে রোদ আসে এমন বারান্দা কিংবা ছাদে গিয়ে শরীরে রিচার্জ করুন ভিটামিন ডি।