ওজন কমানোর জন্য চিয়া বীজ খুব উপকারী। এতে ফাইবার থাকায় দীর্ঘক্ষণ পেট ভরা থাকে এবং খিদে কম পায়। ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড থাকায় চিয়া সিড ত্বকের সমস্যা দূর করতে, হার্টের অসুখ, ক্যান্সার এবং প্রদাহজনিত রোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। চিয়া বীজে ক্লোরোজেনিক অ্যাসিড নামক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে, যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। তবে অতিরিক্ত পরিমাণে চিয়া বীজ শরীরের পক্ষে ভালো নাও হতে পারে। তখন শরীরে নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে।
পেট ফাঁপা
চিয়া বীজ খাওয়ার পর যদি অস্বাভাবিকভাবে পেট ফুলে যায় বা গ্যাস হয়, তা হলে সাবধান থাকা উচিত। পাচনতন্ত্রে উচ্চ ফাইবার উপাদান প্রক্রিয়াকরণে অসুবিধার কারণে এমন হতে পারে।
পেটে ব্যথা
চিয়া সিডের কারণে পেটে খিঁচুনি বা তীব্র ব্যথা, পাচনতন্ত্রে জ্বালা বা অস্বস্তি সৃষ্টি হতে পারে। এতে করে চিয়া সিড বেশি পরিমানে না খাওয়ায় ভালো।
ডায়রিয়া
চিয়া বীজ অতিরিক্ত পরিমাণে গ্রহণের ফলে দেহে ফাইবারের পরিমাণ বেড়ে যায়। অতিরিক্ত ফাইবার ঠিকমতো হজম না হওয়ার কারণে ডায়রিয়া হতে পারে।
কোষ্ঠকাঠিন্য
অন্যদিকে, চিয়া বীজ খাওয়ার সময় পরিমাণমতো জল পান না করলে কোষ্ঠকাঠিন্য হতে পারে। এই বীজ তরল শোষণ করে, অন্ত্রে গিয়ে ফুলে যাওয়ার ফলে এই সমস্যা দেখা দেয়।
বমি ভাব
চিয়া বীজ খাওয়ার পর বমি ভাব দেখা দিতে পারে। হজমের সমস্যা হলে বা অতিরিক্ত খেলে এই সমস্যা হওয়া স্বাভাবিক।
চিয়া বীজ খাওয়ার নিয়ম-
– প্রথমেই বেশি করে না নিয়ে অল্প পরিমাণে চিয়া বীজ খেতে শুরু করুন। এর ফলে হজমে অস্বস্তি হবে না। শুরুতে দৈনিক এক চা চামচ মতো চিয়া বীজ খান। শরীর উচ্চ ফাইবারের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিলে ধীরে ধীরে পরিমাণ বৃদ্ধি করুন।
– সরাসরি না খেয়ে কয়েক ঘণ্টা পানিতে বা অন্য কোনও তরলে ভেজানো চিয়া বীজ খাওয়া উচিত। তাতে হজম করতে সুবিধা হবে।
– চিয়া বীজ খাওয়ার সময়, প্রচুর পরিমাণে পানি পান করা গুরুত্বপূর্ণ। যে হেতু চিয়া বীজ তরল শোষণ করে ফুলে যায়, তাই পর্যাপ্ত পানি না খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য বা পেট ফাঁপা হতে পারে।
– সুষম খাদ্যের অংশ হিসেবে চিয়া বীজ খাওয়া উচিত। অতিরিক্ত পরিমাণে চিয়া বীজ খেলে পুষ্টির ভারসাম্যহীনতা তৈরি হতে পারে। তাই এগুলি ফাইবার, প্রোটিন এবং স্বাস্থ্যকর চর্বি সমৃদ্ধ খাবারের পরিপূরক হওয়া উচিত।