এদেশের চলচ্চিত্রপ্রেমীদের অনেক সুখস্মৃতি উপহার দিয়েছেন ঢাকাই সিনেমার প্রভাবশালী অভিনেত্রী আনোয়ার। একজন মমতাময়ী মা কিংবা চৌধুরী পরিবারের স্ত্রী, গরিবের ঘরনী- অথবা সালমান শাহর দাদী; এমন অনেক চরিত্রে দেখা গেছে অভিনেত্রীকে। আজ জীবন সায়াহ্নেও এফডিসিতে এলেন দেশীয় চলচ্চিত্রের এই উজ্জ্বল মুখ।
আজ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন। এফডিসিতে আয়োজন হবে আর তিনি সুস্থ থাকলেও আসবেন না তা কী হয়? মেয়ের ঘাড়ে ভর দিয়ে, মুক্তির হাত ধরে এলেন। হাঁটতে কষ্ট হচ্ছিল কিন্তু তবু তিনি অনেকটা ঝুঁকে পড়ে এলেন নির্বাচনে ভোট দিতে।
দুই বছর আগে গুরুতর অসুস্থ হয়ে শয্যাশায়ী হন ঢাকাই ছবির বর্ষীয়ন অভিনেত্রী আনোয়ারা। তার কয়েকদিন আগেই ব্রেন স্ট্রোক করেন এ অভিনেত্রী। শারীরিক অবস্থার এতোটাই অবনতি ঘটে যে, কাউকে চিনতে পারছিলেন না।
মুক্তি বলছিলেন,মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ ঘটে এর ফলে কাউকে চিনতে পারছিলেন না কয়েকদিন ধরে। চোখেও ঝাপসা দেখছিলেন। স্ট্রোক করেই এমনটা হয়েছে বলে ধারণা।
১৪-১৫ বছর বয়সে চলচ্চিত্রে আসেন তিনি। আনোয়ারা অভিনীত প্রথম ছবির নাম ‘আযান’। নায়িকা হিসেবে তার প্রথম চলচ্চিত্র ১৯৬৭ সালে সৈয়দ আউয়াল ও শিবলী সাদিক পরিচালিত উর্দু ভাষার ছবি ‘বালা’। অভিনেত্রী হিসেবে আনোয়ারার টার্নিং পয়েন্ট একই বছর মুক্তি পাওয়া চলচ্চিত্র খান আতাউর রহমান পরিচালিত ‘নবাব সিরাজউদ্দৌলা’। ওই ছবিতে আলেয়া চরিত্রে অসাধারণ অভিনয় করে তিনি সর্বস্তরের দর্শকের প্রশংসা কুড়ান। অভিনয়ের জন্য তিনি আটবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন।
আনোয়ারার জন্ম ১৯৪৮ সালের ১ জুন কুমিল্লার দাউদকান্দিতে। তার পূর্ণনাম আনোয়ারা জামাল। তার বাবা জামাল উদ্দিন, মা ফরিদুন্নেসা। স্বামী মহিতুল ইসলাম। এক মেয়ে মুক্তি আর নাতনি কারিমা ইসলাম দরদী।