নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার সিরাজপুর ইউনিয়নের শাহজাদপুর গ্রামে শাহাজাদপুর-সুন্দলপুর গ্যাসক্ষেত্রের আওতাধীন ৩ নম্বর কূপের (চর কাঁকড়া) ওপরের স্তর থেকে পাইপলাইনে গ্যাস সরবরাহের প্রস্তুতি হিসেবে পরীক্ষামূলক আগুন জ্বালানো হয়েছে। শুক্রবার সকাল সাড়ে দশটার দিকে পাইপের মুখে আগুন জ্বালানো হয়। রাত ১০টা পর্যন্ত আগুন জ্বালানোর পর নিভিয়ে দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন অ্যান্ড প্রোডাকশন কোম্পানি লিমিটেডের (বাপেক্স) কর্মকর্তারা।
গ্যাসক্ষেত্রটির ৩ নম্বর কূপের ড্রিলিং ইন-চার্জ মো. আসাদুজ্জামান বলেন, কূপের তিনটি স্তরে এর আগেও পরীক্ষামূলক-ভাবে আগুন জ্বালানো হয়েছিল। ওপরের স্তর থেকে গ্যাস উত্তোলন এবং তা পাইপলাইনে সরবরাহের প্রস্তুতি হিসেবে পুনরায় পরীক্ষামূলক আগুন জ্বালানো হয়েছে। এ পরীক্ষামূলক কার্যক্রম এবং পাইপলাইন বসানো শেষে মাস-খানেকের মধ্যে কূপের ওপরের স্তর থেকে গ্যাস তুলে জাতীয় গ্রিড লাইনে সরবরাহ করা যাবে।
আসাদুজ্জামান আরও বলেন, গ্যাস তোলার প্রস্তুতিমূলক পরীক্ষার সময় আগুন জ্বালানো না হলে গ্যাস বায়ুমণ্ডলে ছড়িয়ে আশপাশের পরিবেশের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা থাকে। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাও ঘটতে পারে। তাই পাইপের মুখে আগুন জ্বালানো হয়।
বাপেক্স সূত্রে জানা গেছে, গত ৮ মার্চ বাপেক্সের খনন কার্যক্রম শেষে পরদিন ৯ মার্চ থেকে কূপটিতে ড্রিল স্টেম টেস্টের (ডিএসটি) কার্যক্রম শুরু হয়। তিন দিন এ কার্যক্রম চলে। ৩ নম্বর কূপটি ৩ হাজার ৩৮৫ মিটার গভীর পর্যন্ত খনন করা হয়েছে।
কূপের ওপরের যে স্তর থেকে গ্যাস তোলার প্রস্তুতি চলছে, সেখান থেকে প্রতিদিন গড়ে ৮ থেকে ৯ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা যাবে। তবে লোয়ার জোনের দুটি স্তরে যে গ্যাসের চাপ দেখা গেছে, তাতে ওই দুটি স্তর থেকে আরও বেশি গ্যাস পাওয়া যাবে বলে আশাবাদী বাপেক্সের কর্মকর্তারা।
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার সিরাজপুর ইউনিয়নের শাহজাদপুর গ্রামে শাহাজাদপুর-সুন্দলপুর গ্যাসক্ষেত্রটির ১ নম্বর কূপ থেকে গ্যাস উত্তোলন ২০১৩ সালের ৮ জানুয়ারি উদ্বোধন করা হয়। পরে একই ইউনিয়নের হাবিবপুর গ্রামে ২ নম্বর কূপ খনন ও গ্যাস উত্তোলন করা হয়েছে।ওই কূপের উত্তোলিত গ্যাস জাতীয় গ্রীডে যুক্ত হওয়া বর্তমানে চলমান রয়েছে। এরপর একই উপজেলার চরকাঁকড়া ইউনিয়নে তৃতীয় কূপ খনন করে গ্যাসের সন্ধান পাওয়া যায়।