ইরান-ইরায়েলের সংঘাত ক্রমেই উত্তেজনায় রূপ নিচ্ছে। দুপক্ষের পাল্টাপাল্টি হামলা অব্যাহত আছে। চলমান এই সংঘাতে ইরানে যুক্তরাষ্ট্রের হামলার পরিকল্পনায় অনুমোদন দিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
তবে এখনই হামলার চূড়ান্ত নির্দেশ দিচ্ছেন না তিনি। মূলত ইরান শেষ পর্যন্ত তাদের পারমাণবিক কর্মসূচি পরিত্যাগ করে কি না, এটিই দেখতে অপেক্ষা করছেন তিনি।আল জাজিরা এক প্রতিবেদনে জানায়, হোয়াইট হাউসের বাইরে একটি বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে বিক্ষোভকারীরা ইরানের ওপর ইসরায়েলের আক্রমণের বিরুদ্ধে সমাবেশ করেছে এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে এই সংঘাতে জড়াতে নিষেধ করেছেন তারা।অনলাইন অ্যাক্টিভিস্টদের পোস্ট করা ভিডিও অনুসারে আল জাজিরা আরও জানায়, ম্যানহাটনে শত শত মানুষ মিছিল করেছে।
ইরানে হামলার মার্কিন হুমকির পাশাপাশি গাজায় ইসরায়েলের যুদ্ধের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থনের নিন্দা জানিয়ে প্ল্যাকার্ড ধরেছেন বিক্ষোভকারীরা।এবার এই সংঘাত নিয়ে স্বয়ং মার্কিন নাগরিকরাও রাস্তায় নেমেছেন। নিউ ইয়র্ক ও হোয়াইট হাউসের সামনে তারা প্রতিবাদ জানিয়ে বিক্ষোভ করেছেন।এ সময় তারা বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করেন। সেগুলোয় লেখা ছিল, ‘ইরান থেকে সরে আসো’ ও ‘গণহত্যার জন্য অর্থায়ন বন্ধ করো’।
এদিকে ইরান-ইসরায়েল ইস্যুতে দ্বিধাবিভক্ত হয়ে পড়েছেন মার্কিন ভোটাররা। ফক্স নিউজ পরিচালিত এক জরিপে এমনটি দেখা গেছে।দ্য টাইমস অব ইসরায়েল জরিপটির সারসংক্ষেপ প্রকাশ করেছে। তাতে দেখা গেছে, ইরানের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের হামলার বিষয়ে মার্কিন ভোটাররা দ্বিধাগ্রস্ত। প্রায় অর্ধেক ৪৯ শতাংশ আক্রমণকে সমর্থন করেন এবং ৪৬ শতাংশ অসম্মতি জানান।এই হামলাকে সমর্থন করার সম্ভাবনা রিপাবলিকানদের ক্ষেত্রে অনেক বেশি। ৭৩ শতাংশ রিপাবলিকান এই হামলার পক্ষে। যেখানে ডেমোক্র্যাট এবং স্বাধীন উভয়েরই ৩২ শতাংশ হামলার পক্ষে।
উত্তরদাতাদের অধিকাংশ অর্থাৎ ৭৩ শতাংশ বিশ্বাস করেন, ইরান যুক্তরাষ্ট্রের জন্য হুমকি। ৫৯ শতাংশের অধিকাংশ বিশ্বাস করেন, ইরানের বিরুদ্ধে হামলা বিশ্বকে আরও বিপজ্জনক করে তুলবে। যেখানে ৩৬ শতাংশ মনে করেন, ইরানের বিরুদ্ধে চলমান আক্রমণ বিশ্বকে নিরাপদ করে তুলবে।৮১ শতাংশ বলেছেন, মধ্যপ্রাচ্যে যা ঘটছে তা যুক্তরাষ্ট্রের টিকে থাকার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। ৫৩ শতাংশ অংশগ্রহণকারী ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর জন্য মার্কিন আর্থিক সহায়তা সমর্থন করেন।জরিপে ১ হাজার ৩ জন নিবন্ধিত ভোটারের ওপর জরিপ করা হয়েছে। তারা স্বাধীনভাবে নিজেদের মনোভাব ব্যক্ত করেন।