প্রতিশ্রুতি রক্ষা না করায় আবারও ভারতের ক্ষমতাসীন বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন ভারতীয় কৃষকরা।
আর তাই সীমান্ত বন্ধ, জায়গায় জায়গায় ব্যারিকেড, দিল্লিতে ১৪৪ ধারা জারি সত্ত্বেও বিভিন্ন রাজ্য থেকে পূর্বঘোষিত ‘দিল্লি চলো’ রোডমার্চ শুরু করেছেন তারা। খবর বিবিসি ও এনডিটিভি।
মঙ্গলবার সকাল ১০টা থেকে হাজার হাজার বিক্ষোভকারী কৃষক তাদের ফসলের নিশ্চিত মূল্যের পাশাপাশি বিভিন্ন দাবিতে প্রতিবেশী রাজ্যগুলো থেকে ভারতের রাজধানী দিল্লি অভিমুখে মিছিল শুরু করে। দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত বিক্ষোভ চলমান থাকবে বলে জানিয়েছেন পদযাত্রাকারী কৃষকরা।
মিছিলে বিভিন্ন রাজ্যের কৃষকদের সাথে নেতৃত্বে রয়েছেন পাঞ্জাবের কৃষকেরা। মিছিলে প্রায় আড়াই হাজার ট্রাক্টর রয়েছে বলে জানিয়েছে পশ্চিমবঙ্গের সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজার।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আট সাবেক ভারতীয় নৌ কর্মকর্তাকে মুক্তি দিল কাতারমৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আট সাবেক ভারতীয় নৌ কর্মকর্তাকে মুক্তি দিল কাতার
গতকাল সোমবার সোমবার কৃষকদের সাথে বৈঠকে বসেন দুই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। ২০২০ সালের ইলেকট্রিসিটি আইন বাতিলের পাশাপাশি কৃষকদের বিরুদ্ধে রুজু হওয়া মামলা প্রত্যাহার করার আশ্বাস দেয়া হয়। তবে কৃষকদের মূল তিনটি দাবি— ফসলের ন্যায্যমূল্য, কৃষি ঋণ মওকুফ এবং স্বামীনাথন কমিশনের প্রস্তাবের রূপায়ণ নিয়ে দু’পক্ষ কোনও স্থির সিদ্ধান্তে আসতে পারেনি।
২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে নতুন কৃষি আইন প্রণয়ন করেছিল নয়াদিল্লি। তখন থেকেই নতুন কৃষি আইন বাতিলসহ মূল তিনটি দাবি, ফসলের ন্যূনতম ক্রয়মূল্য বৃদ্ধি, কৃষি ঋণের শর্ত সহজ করা ও সুদ মওকুফ এবং স্বামীনাথন কমিশনের সুপারিশগুলোর বাস্তবায়নের দাবিতে আন্দোলন শুরু করেছিলেন ভারতের কৃষকরা।
পরবর্তীতে ২০২১ সালের নভেম্বরে নতুন কৃষি আইন বাতিল করে কৃষক সংগঠনগুলোর বিভিন্ন দাবি-দাওয়া মেনে নেওয়ার প্রতিশ্রুতি জানায় কেন্দ্রীয় সরকার। কিন্তু কৃষকদের অভিযোগ, দুই বছর আগে কৃষকদের অর্ধেক দাবি মিটিয়ে দেওয়া হবে বলে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হলেও কেন্দ্র কিছুই করেনি।
কৃষকদের এই রোডমার্চ ঠেকাতে ইতোমধ্যে রাজধানী দিল্লিকে নিরাপত্তা চাঁদরে ঢেকে দেওয়া হয়েছে। এক মাসের জন্য ১৪৪ ধারা জারি করেছে দিল্লি পুলিশ। কৃষকরা যাতে ট্রাক্টর, ট্রাক ও ট্রলি নিয়ে সড়কে নামতে না পারে সেজন্য জায়গায় জায়গায় বসানো হয়েছে ব্যারিকেড। নিষিদ্ধ করা হয়েছে যেকোনো জমায়েত ও সমাবেশ।
বাজেটে জম্মু-কাশ্মিরের জন্য ‘বরাদ্দ চমক’বাজেটে জম্মু-কাশ্মিরের জন্য ‘বরাদ্দ চমক’
পুলিশ জানায়, আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সিএপিএফ, ক্রাইম ব্রাঞ্চ ও ব্যাটালিয়নসহ দুই হাজারেরও বেশি সদস্যকে মোতায়েন করা হয়েছে। তারা যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা মোকাবিলা করবে এবং সার্বক্ষণিক নজরদারি বজায় রাখবে।
এছাড়া তিন প্রদেশের কৃষকরা যেন একত্রিত হতে না পারেন, সেজন্য হরিয়ানা এবং মধ্যপ্রদেশের সীমান্ত এলাকাগুলোতে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।
কৃষকদের দু’টি বড় সংগঠন সংযুক্ত কিসান মোর্চা এবং কিসান মজদুর মোর্চা গত ডিসেম্বরেই দাবি আদায়ে ‘দিল্লি চলো’ অভিযানের ডাক দেয়। দু’টি সংগঠনের আওতায় মূলত পঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তরপ্রদেশের সাড়ে তিনশোটি ছোট-বড় কৃষক সংগঠন রয়েছে।