ইউক্রেনের সেনাবাহিনীর শীর্ষ জেনারেল এবং কমান্ডার-ইন-চিফ ভ্যালেরি জালুঝনির সাথে ক্রমাগত দ্বন্দ্ব বাড়ছে দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির। এরই জেরে গত সোমবার (২৯ জানুয়ারি) ভ্যালেরিকে পদত্যাগ করতে আহ্বান জানিয়েছিলেন জেলেনস্কি।
কিন্তু দেশটির সেনাবাহিনীর জনপ্রিয় কমান্ডার-ইন-চিফ জেলেনস্কির এ আহ্বান প্রত্যাখ্যান করেছেন বলে জানা গেছে। বুধবার (৩১ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যম দ্যা গার্ডিয়ান।
প্রতিবেদনে বলা হয়, রাশিয়াতে ইউক্রেনের গ্রীষ্মকালীন পাল্টা আক্রমণের ব্যর্থতাকে ঘিরে কয়েক সপ্তাহ ধরে দুইজনের মধ্যে দ্বন্দ্ব দেখা দিয়েছে। এরই জেরে প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি দেশটির সেনাবাহিনী প্রধানকে নতুন চাকরির প্রস্তাব দিয়ে তার পদ থেকে অপসারণের চেষ্টা করছেন।
বড় ধরনের অস্ত্র দুর্নীতি উদঘাটনের দাবি ইউক্রেনেরবড় ধরনের অস্ত্র দুর্নীতি উদঘাটনের দাবি ইউক্রেনের
দ্যা টেলিগ্রাফের প্রতিবেদনে বলা হয়, ভ্যালেরি জালুঝনিকে প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করার প্রস্তাব করেছিলেন জেলেনস্কি। তবে প্রেসিডেন্টের সেই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছেন ভ্যালেরি।
ধারণা করা হচ্ছে পদত্যাগের আহ্বান প্রত্যাখ্যান করায় এবার ভ্যালেরিকে বরখাস্ত করতে পারেন জেলেনস্কি।
ইতিমধ্যে দেশটির সামাজিক মাধ্যমে এ সংক্রান্ত খবর ছড়িয়ে যাওয়ায় জেলেনস্কির মুখপাত্র এবং ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় সেনাবাহিনীর প্রধানের বরখাস্তের খবর অস্বীকার করে বিবৃতি জারি করে।
এদিকে ইউক্রেনের কমান্ডার-ইন-চীফকে বরখাস্ত করার সিদ্ধান্তের খবর ছড়িয়ে পড়ায় জনসাধারণের প্রতিক্রিয়ার কি হবে তা নিয়ে দেখা দিয়েছে উদ্বেগ। কারণ সেনাবাহিনীর কমান্ডার-ইন-চিফ ভ্যালেরি জালুঝনির বেশ জনপ্রিয়তা রয়েছে দেশটিতে।
ডিসেম্বরে প্রকাশিত একটি জরিপে দেখা গেছে যে ৮৮ শতাংশ ইউক্রেনীয়রা জেনারেল জালুঝনির ওপর আস্থা রাখে যেখানে ৬২ শতাংশ বলেছেন যে তারা জেলেনস্কির ওপর আস্থা রাখেন।
টেলিগ্রাফ জানিয়েছে, জেলেনস্কি সেনাবাহিনীর প্রধানের স্থানে কাকে প্রতিস্থাপন করবেন সে বিষয়ে এখনও সিদ্ধান্ত নিতে পারেননি।