জাপানের সবচেয়ে বড় সুন্দরী প্রতিযোগিতা ‘মিস জাপান ২০২৪’-এর বিজয়ী হয়েছেন ক্যারোলিনা শিনো নামের ২৬ বছর বয়সী এক তরুণী। নাম শুনেই কেমন একটু খটকা লাগছে? এটা জাপানিদেরও লাগছে, এমনকি মিস জাপান খেতাব জেতা ক্যারোলিনার চেহারায় একফোঁটা জাপানি ছাপ নেই। না থাকাই স্বাভাবিক, কারণ তার জন্মদাতা একজন ইউক্রেনীয়, এমনকি ৫ বছরের ক্যারোলিনাকে নিয়ে তার মা জাপানে পাড়ি জমানোর আগে তারা ইউক্রেনেই ছিলেন।
জাপানে এসে ক্যারোলিনার মা এক জাপানি ব্যক্তিকে বিয়ে করেন। এরপর মায়ের সঙ্গে জাপানেই থাকা শুরু করেন ক্যারোলিনা। ১৮ বছর বয়স হওয়ার পর তিনি জাপানের নাগরিকত্ব পান। কিন্তু তাতে তিনি দৈহিক অবয়বে জাপানি হয়ে যাননি। অনেকে বলছেন, জাপানের সঙ্গে যার কোনো ‘অতীত সম্পর্ক’ নেই তিনি কিভাবে দেশটির সেরা সুন্দরী হন। যেহেতু জাপানের সঙ্গে তার রক্তের কোনো সম্পর্ক নেই; ফলে তার চেহারার অবয়বের সঙ্গেও জাপানের কোনো মিল নেই। অথচ সুন্দরী প্রতিযোগীতায় জাপানিদের দৈহিক অবয়বের সৌন্দর্য্যই যাচাই হওয়ার কথা।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেখতে ইউরোপীয় একজনকে জাপানের সেরা সুন্দরী বানানো নিয়ে তীব্র সমালোচনা চলছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। একজন লিখেছেন, ‘যখন ইউরোপীয়ানদের মতো দেখতে কাউকে জাপানের সেরা সুন্দরীর খেতাব দেওয়া হয়; তখন এটি নিয়ে জাপানিজরাই বিভ্রান্তিতে পড়বে।’
অপর একজন লিখেছেন, ‘যদি এই তরুণীর জন্ম রাশিয়ায় হতো তাহলে সে কোনোদিনই সেরা সুন্দরীর খেতাব জিতত না। সবকিছুতে এখন রাজনীতি।’
গত সোমবার মিস জাপানের মুকুট জেতার পর এ বিষয়টি নিয়ে কথা বলেন ক্যারোলিনা। তিনি বলেন, ‘আমি ভাষায় ও মনে জাপানিজ। আমি এমন একটি সংস্কৃতি গড়ে তুলতে চাই যেখানে মানুষকে তাদের চেহারা নিয়ে বিচার করা হবে না। আমার চেহারাগত বাধা রয়েছে; যেটির কারণে আমাকে জাপানিজ হিসেবে মানা হয় না। ফলে এই প্রতিযোগিতায় একজন জাপানিজ হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ায় আমি সবার প্রতি কৃতজ্ঞ।’ তবে তার এই বক্তব্যে সমালোচনার ঝড় থামেনি।