তেহরানের শীর্ষ কূটনীতিক সোমবার বলেছেন, ইয়েমেনের ইরান সমর্থিত হুতি বিদ্রোহীরা লোহিত সাগরে ‘ইসরায়েলি জাহাজ’কে লক্ষ্যবস্তু করা অব্যাহত রাখবে, যদি না ইসরায়েল গাজায় তাদের যুদ্ধ বন্ধ করে।
ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির-আব্দুল্লাহিয়ান তেহরানে ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, গাজায় ‘গণহত্যা’ বন্ধ করাই লোহিত সাগরে হুতি হামলা বন্ধ করার একমাত্র উপায়।
রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম আমির-আব্দুল্লাহিয়ানকে উদ্ধৃত করে বলেছে, ‘(হুতিরা) আমাদের আশ্বস্ত করেছে, তারা সামুদ্রিক নিরাপত্তা বিঘ্নিত করবে না, তবে তাদের অবস্থান হলো, যত দিন গাজায় যুদ্ধ চলবে তত দিন তারা ইসরায়েলি জাহাজের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে।’ তিনি আরো বলেছেন, সমাধান হলো, ‘গাজায় যুদ্ধ ও গণহত্যা বন্ধ করা।
নভেম্বর থেকে হুতিরা লোহিত সাগরে জাহাজগুলোকে লক্ষ্যবস্তু করে চলেছে, যেগুলো তারা ইসরায়েলের সঙ্গে যুক্ত বা ইসরায়েলি বন্দরের দিকে যাচ্ছে বলে অভিযোগ করে। গাজাভিত্তিক ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে চলমান যুদ্ধে ফিলিস্তিনিদের সমর্থন হিসেবে তারা তাদের এ কর্মকাণ্ডকে ন্যায্যতা দিচ্ছে। ৭ অক্টোবর এ যুদ্ধ শুরু হয়েছিল। হুতিদের মতো হামাসও ইরান সমর্থিত।
এদিকে হুতিদের হামলা একটি গুরুত্বপূর্ণ ট্রানজিট রুটের জন্য হুমকিস্বরূপ। বিশ্ববাণিজ্যের ১২ শতাংশ পর্যন্ত এ পথ দিয়ে বহন করা হয়। এর প্রতিক্রিয়ায় মার্কিন ও ব্রিটিশ বাহিনী গত সপ্তাহে ইয়েমেনজুড়ে হুতিদের বেশ কয়েকটি স্থানে হামলা চালিয়েছে।
আমির-আব্দুল্লাহিয়ান হুতিদের বিরুদ্ধে আক্রমণ বন্ধের জন্য যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেনকে সতর্ক করেছিলেন।
পাশাপাশি গাজায় যুদ্ধ বন্ধ করতে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলকে আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘সামরিক পন্থায় সমাধান হবে না।’
আমির-আব্দুল্লাহিয়ান জানান, সুইজারল্যান্ডের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রকে গাজায় যুদ্ধ বন্ধের প্রয়োজনীয়তার ওপর ইরান জোর দিয়েছে। তিনি বলেন, ওয়াশিংটন ইসরায়েলকে সমর্থন করতে পারবে না। অন্যদের সংযম অনুশীলনের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘গাজাবাসীকে হত্যায় অংশ নিতে পারবে না। যুক্তরাষ্ট্র যুদ্ধ বন্ধ করার এবং একই সঙ্গে ইয়েমেনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার ইচ্ছার কথা বলতে পারবে না।