ফিলিপাইনে শক্তিশালী ভূমিকম্পের পর জাপানে সুনামি দেখা দিয়েছে। ছোট পরিসরে হওয়া সুনামি দেশটির হ্যাচিওজিমা আইল্যান্ডে রেকর্ড করা হয়। ঢেউয়ের উচ্চতা ছিলো ৪০ সেন্টিমিটার (১.৩ ফুট)। ফিলিপাইনে ভুমিকম্পের পর এ ঢেউ তিনফুট পর্যন্ত হতে পারে বলে আশঙ্কা করছিলো যুক্তরাষ্ট্রের সুনামি সতর্কব্যবস্থা অধিদপ্তর।
এরপর জাপানের আবহওয়া অধিদপ্তর স্থানীয়দের সতর্কবার্তাও দিয়েছিলো। তবে রবিবার সকালেই এ সতর্কবাতা তুলে নেওয়া হয়। সুনামির ঘটনায় কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায় নি। বিচ্ছিন্ন আরও কিছু এলাকায়ও স্বল্প পরিসরে সুনামি দেখা গিয়েছে। সমুদ্রউপকূলীয় অঞ্চল চিবা, শিজুওকা, তকুশিমা, প্রফেকচার এলাকাগুলোতে ১০ সে.মি পর্যন্ত সুনামি রেকর্ড করা হয়। রবিবার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন জাপানের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটি। রয়টার্স, বিবিসি।
সুনামির আগে শনিবার ভয়াবহ ভূমিকম্প দেখা দেয় ফিলিপাইনের দক্ষিণাঞ্চল মিন্দানাও দ্বীপে। রেখটারস্কেলে ভূমিকম্পের মাত্রা ছিলো ৭.৬। তীব্র ভূমিকম্পে বেশ আতঙ্কিত হয়ে পড়ে উপকূলীয় স্থানীয়রা। সঙ্গে সঙ্গেই তাদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়। ভুমিকম্পের ঘটনায় একজন গর্ভবতী নারী নিহত হয়েছেন। পাশাপাশি এ ঘটনায় ৪ জন আহত হয়েছে এবং ৯ জন নিঁখোজ রয়েছেন। হঠাৎ এ দূর্যোগে ৫২৯ টি পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রতিরক্ষা গিলবার্ট তেওডোরো। তবে ভূমিকম্পের এ রেশ রবিবার আগ পর্যন্ত অব্যাহত ছিলো। কেননা ৭.৬ মাত্রার ভূমিকম্পের পর শক্তিশালী আরও চারটি আফটারশক দেখা যায় ফিলিপাইনে। রেখটার স্কেলে আফটারশকে কম্পনের মাত্রা ছিলো যথাক্রমে ৬.৪, ৬.২, ৬.১ এবং ৬.০।
আকস্মিক ভূমিকম্পের ঘটনায় আতঙ্কিত ও চিন্তিত হয়ে পড়েছেন স্থানীয়রা। ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল থেকে ১৮৫ কিলোমিটার দূরে সুরিগাও গ্রামের বাসিন্দা কসমে ক্যালেজেসান জানান, “ আমি ঘুমিয়ে ছিলাম। কম্পনে ক্যাবিনেটের নড়াচড়ার শব্দে জেগে উঠি। পরিস্থিতি ভীতিজনক ছিলো। আমি আমার সন্তানদের জন্য বেশ চিন্তিত ছিলাম।” আফটার শকের সময় মোবাইলফোনে যুক্ত থাকা হিনাতুয়ের হোটেল মালিক জানান, “এখন আবার কাঁপছে।” পাশপাশি তার বেশ ক্ষতিও হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।