ক্ষমতা হাতে আসার পর থেকেই শুরু হয় তালেবানদের টালবাহানা। নানা ফতোয়া দিয়ে রুদ্ধ হয় নারীদের জীবন। বন্ধ করা হয় স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়। নিষিদ্ধ হয় পড়ালেখা। ক্ষমতায় আসার পর, ২০২১ সালে ১১ বছর বয়স পর্যন্ত মেয়েদের স্কুলে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়। পরবর্তীতে ২০২৩ সালের আগস্ট পর্যন্ত মেয়েদের স্কুল স¤‹ূর্ণভাবে নিষিদ্ধ করা হয়। এমনকি আফগানিস্তানই বিশ্বে প্রথম দেশ যারা ১১ বছরের নিচে মেয়েদের স্কুলকে নিষিদ্ধ করেছে। তবে এ পরিস্থিতির পরিবর্তন আসবে বলে মনে করছেন আফগানিস্তানের সাবেক শিক্ষামন্ত্রী রঙ্গীনা হামিদি (৪৫)। একটু সহযোগিতায় আবারও খুলে দিতে পারে মেয়েদের স্কুল। দ্যা গার্ডিয়ান।
নারীদের শিক্ষা নিয়ে তালেবান-তালেবানেই রয়েছে মতানৈক্য। এ বিষয় নিয়ে তাদের মধ্যে রয়েছে অভ্যন্তরীণ ফাটলও। আন্তর্জাতিক স¤‹্রদায়ের তদবির পুনরায় চালু করতে পারে মেয়েদের স্কুলÑএমনটাই মনে করেন রঙ্গীনা হামিদি। তিনি বলেন, ‘তালেবানরা এক নয়। তাদের মধ্যেও মতভেদ রয়েছে এবং এটা স্কষ্ট, বিশেষ করে মেয়েদের শিক্ষার ওপর নিষেধাজ্ঞার ইস্যুতে তালেবানের মধ্যে অনেকেই আছেন যারা নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি সমর্থন করেন না।’ তিনি আরও বলেন, ‘বিশ্ব তালেবানকে স্বীকার করুক বা না করুক, দেশটির প্রায় চার কোটি মানুষের অন্তত অর্ধেকই নারী এবং মেয়ে, এটি একটি জীবন্ত বাস্তবতা। এটা আমাকে কষ্ট দেয় যে, দুই বছর পরও আন্তর্জাতিক স¤‹্রদায় বোঝেনি কিভাবে তালেবানদের সঙ্গে আলোচনা করতে হবে এবং আফগানিস্তানের মেয়েদের আর্থিক সহায়তা করতে হবে।’