দীর্ঘ ১৭ বছর পর মায়ের সঙ্গে দেখা করলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সহধর্মিণী ডা. জোবাইদা রহমান। মঙ্গলবার (৬ মে) সন্ধ্যা ছয়টার পর বিএনপি চেয়ারপার্সনের গুলশানের বাসভবন ফিরোজা থেকে বের হন ডা. জোবাইদা রহমান।
পরে সাড়ে ছয়টার পর পান্থপথের স্কয়ার হাসপাতালে পৌঁছান তিনি। এসময় এক ঘণ্টারও বেশি সময় হাসপাতালের ভেতরে মায়ের সঙ্গে সময় কাটান জোবাইদা। এসময় তাঁর সাথে ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ছোট ভাই শামীম এস্কান্দারের স্ত্রী কানিজ ফাতেমা।
তাঁর উপস্থিতি ঘিরে হাসপাতাল ও আশপাশের এলাকায় সতর্ক অবস্থানে ছিল আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। পরে সেখান থেকে তাঁর ধানমন্ডির পৈতৃক বাসভবনে যাওয়ার কথা রয়েছে।
গত ১ মে থেকে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন নৌবাহিনীর সাবেক প্রধান রিয়ার অ্যাডমিরাল মরহুম মাহবুব আলী খানের স্ত্রী ও ডা. জোবাইদা রহমানের মা বিশিষ্ট সমাজসেবী সৈয়দা ইকবাল মান্দ বানু। দীর্ঘদিন ধরে বার্ধক্যজনিত নানা জটিলতায় ভুগছেন তিনি। সাক্ষাৎতের সময় পরিবারের অন্য সদস্যরাও তাঁর সঙ্গে ছিলেন।
২০০৮ সালে অসুস্থ স্বামী তারেক রহমানকে উন্নত চিকিৎসার লন্ডনে যান জোবাইদা রহমান ও তার মেয়ে জাইমা্ রহমান। এরপর থেকে তারেক রহমানের সাথে তার বিরুদ্ধেও তৎকালীন সরকারের বিভিন্ন মামলা দায়ের করেন।ওই রকম মামলা থেকে রেহাই পাননি ইকবাল মান্দ বানু। ফলে ১৭ বছর আর দেশে ফেরা হয়নি জোবাইদার।
মঙ্গলবার সকালে শাশুড়ি বেগম খালেদা জিয়ার সাথে জোবাইদা রহমান দেশে ফেরেন। ফিরোজায় পৌঁছানোর পর বিকালে মামী কানিজ ফাতেমাকে নিয়ে স্কয়ার হাসপাতালে আসেন জোবাইদা। কেবিন ব্লকে ইকবাল মান্দ বানু চিকিৎসাধীন আছেন। সেখানে আগে থেকেই ছিলেন বড় বোন শাহীনা জামান।
এদিকে জোবাইদা রহমান স্কয়ার হাসপাতালে আসবেন সেজন্য আগে থেকেই নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়।মায়ের সাথেও দীর্ঘ বছর পর দেখা হলো মেয়ে জোবাইদার। হাসপাতালের বিশেষ লিফটে কেবিনে গিয়ে মাকে জড়িয়ে ধরেন। এই সময়ে নিকট আত্বীয় স্বজনরা ছিলেন।
বিএনপি নেতারা জানান, হাসপাতাল থেকে রাতে মাহবুব ভবনে যাবেন জোবাইদা রহমান। সেখানে কিছু সময় অতিবাহিত করে রাতে আবার ফিরোজায় ফিরে যাবেন তিনি।
দুই দিন আগে থেকে ধানমন্ডি ৫ নং সড়কে বাবা সাবেক নৌ প্রধানের বাসা ‘মাহবুব ভবন’কে প্রস্তুত করা হয়েছে ছোট মেয়ের জন্য। সেখানে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা বসানো হয়েছে। এই বাসায় জোবাইদা রহমানের মা এবং বড় বোন বসবাস করেন।
সৈয়দা ইকবাল মান্দ বানু দীর্ঘদিন ধরে বার্ধক্যজনিত নানা জটিল-রোগে ভুগছেন। কয়েক বছর আগে চিকিৎসার জন্য ব্যাংককে একটি হাসপাতালে তাকে নেয়া হয়েছিল।
‘সুরভী ফাউন্ডেশন’ এর প্রতিষ্ঠাতা সৈয়দা ইকবাল মান্দ বানু। এই সংগঠনটি মূলত সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের জন্য কাজ করে। এই কর্মকান্ডের জন্য তাকে ‘স্বাধীনতা পদক’ প্রদান করে সরকার।