মুম্বাইয়ে শনিবার অনুষ্ঠিত হতে চলেছে ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ডের (বিসিসিআই) বার্ষিক পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান। সেখানে ক্রিকেট কিংবদন্তি শচিন টেন্ডুলকারকে সম্মানিত করা হবে। যদিও তাকে মর্যাদাপূর্ণ সিকে নাইডু পুরস্কার দেওয়া হবে কি না, তা এখনো নিশ্চিত নয়, তবে বিসিসিআইয়ের সর্বোচ্চ সম্মাননার জন্য তিনি স্পষ্টভাবে বিবেচিত হচ্ছেন বলে জানা গেছে।
বিসিসিআই আনুষ্ঠানিকভাবে এই বিষয়ে কোনো ঘোষণা না দিলেও বোর্ডের অভ্যন্তরীণ সূত্র ক্রিকবাজকে জানিয়েছে যে, বিসিসিআই অ্যাওয়ার্ডস অনুষ্ঠানে টেন্ডুলকারকে আজীবন সম্মাননা পুরস্কারে ভূষিত করা হবে। বিসিসিআই কর্মকর্তাদের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে তারা কোনো প্রতিক্রিয়া জানাননি।
টেন্ডুলকারের অসাধারণ ক্যারিয়ারে ২০০ টেস্ট খেলার রেকর্ড প্রায় অনতিক্রম্য। এছাড়া, তিনি ভারতের হয়ে ৪৬৩টি ওডিআই এবং একটি টি-টোয়েন্টি খেলেছেন, যার ফলে তার আন্তর্জাতিক ম্যাচসংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬৬৪। এই ম্যাচগুলিতে তিনি ৩৪,৩৫৭ রান করেছেন, যার মধ্যে রয়েছে ১০০টি আন্তর্জাতিক সেঞ্চুরি।
বিশ্বকাপজয়ী এই কিংবদন্তি ভারতের সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার ‘ভারতরত্ন’ লাভ করেছেন। ১৯৮৯ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত ২৪ বছরের দীর্ঘ ক্যারিয়ারে দেশকে প্রতিনিধিত্ব করা ৫১ বছর বয়সি টেন্ডুলকারের মতো ক্রিকেটারদের জন্যই তো এই সম্মান প্রাপ্য।
সিকে নাইডু পুরস্কার ইতিপূর্বে যারা পেয়েছেন, তাদের মধ্যে রয়েছেন লালা অমরনাথ, সৈয়দ মুস্তাক আলি, বিজয় হাজারে, কে এন প্রভু, হেমু অধিকারী, সুবাস গুপ্তে, এম এ কে পাতৌদি, বি বি নিম্বলকর, চন্দু বোর্দে, বিষণ সিং বেদী, এস বেঙ্কটরাঘবন, ইএএস প্রসন্ন, বিএস চন্দ্রশেখর, মহিন্দর অমরনাথ, সেলিম দুরানি, অজিত ওয়াদেকর, সুনীল গাভাস্কার, কপিল দেব, দিলীপ বেঙ্গসরকর, সৈয়দ কিরমানি, রাজিন্দর গোয়েল, পদ্মাকর শিবলকর, কৃষ্ণমাচারি শ্রীকান্ত ও ফারুখ ইঞ্জিনিয়ার। ২০২৩ সালে সর্বশেষ এই পুরস্কার পেয়েছিলেন রবি শাস্ত্রী।
এছাড়াও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের আরেকটি বড় আকর্ষণ হচ্ছে বার্ষিক এম এ কে পাতৌদি লেকচারের অতিথি বক্তা। তবে এই বছর কারা বক্তৃতা দেবেন, তা এখনো স্পষ্ট নয়।
