রাজধানী ঢাকার যানজটের কারণে দেশের সামগ্রিক জিডিপি প্রায় ২.৯ শতাংশ হ্রাস পায় এবং প্রতিদিন ট্রাফিক জ্যামের কারণে নষ্ট হয়ে যাওয়া কর্মঘণ্টায় আর্থিক মূল্য প্রায় ১৪০ কোটি টাকা।
অনুষ্ঠানে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মো. মুনিবুর রহমান এবং ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষের নির্বাহী নীলিমা আখতার মতবিনিময় সভায় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকা চেম্বার সভাপতি আশরাফ আহমেদ বলেন, দেশের জিডিপিতে পুরোনো ঢাকার অবদান প্রায় ২০ শতাংশ হলে, অপর্যাপ্ত অবকাঠামো, যানজট ও অপ্রতুল পরিষেবার জন্য এ এলাকার ব্যবসায়িক কার্যক্রম পরিচালনায় নানাবিধ চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করতে হচ্ছে।
মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস বলেন, দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন ইতোমধ্যে নানাবিধ উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। কর বৃদ্ধি ছাড়াই সুশাসন নিশ্চিত করার মাধ্যমে ২০২৩ সালে দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন ১০৩১ কোটি টাকার রাজস্ব আদায় করেছিল, ২০২০ সালে যার পরিমাণ ছিল ৫১২ কোটি টাকা।
তিনি বলেন, নগরের জলাবদ্ধতার বিষয়টিকে অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে এবং সম্প্রতি বেশকিছু খাল দখলমুক্ত করা হয়েছে। যার মাধ্যমে সামনের দিনগুলোতে এ সমস্যা কিছুটা হলেও লাঘব হবে।
মেয়র জানান, বুড়িগঙ্গা নদীর তীরে অবস্থিত কেরানীগঞ্জে নতুন বাণিজ্যিক নগরী গড়ে তোলা হবে। সেই সঙ্গে চকবাজার ও মতিঝিলকে পুনরুজ্জীবিতকরণে উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।
তিনি আরো বলেন, রাজধানীতে যানজট নিরসন ও ট্রাফিক আইন অমান্যকারীদের শনাক্তকরণে ৬৪টি ইন্টারসেকশনে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (আইওটি) প্রযুক্তি স্থাপনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন ৮টি স্থানকে হলুদ ও সবুজ জোন হিসেবে চিহ্নিত করেছে, যেখানে হকাররা তাদের ব্যবসা-বাণিজ্য চালাতে পারবে। তবে সিটি কর্পোরেশনের চিহ্নিত লাল জোনে কেউ দোকান বসাতে পারবে না।