দ্রব্যমূল্যের ক্রম ঊর্ধ্বগতি, বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি-সহ মাহে রমজানকে সামনে রেখে সক্রিয় হওয়া সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্যে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে খেলাফত মজলিস।
বুধবার সন্ধ্যা ৭টায় খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে নির্বাহী পরিষদের বৈঠকে সরকারের প্রতি তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে নেতারা বলেন, ‘প্রতি বছর রমজান কাছাকাছি এলে এদেশে সিন্ডিকেট চক্র যেভাবে নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে উঠে তাতে মনে হয় দেশে প্রশাসন বলতে কিছুই নেই। দলীয় পরিচয়ে বেড়ে উঠা এসব অসাধু ব্যবসায়ীরা সর্বদা সরকারি আনুকূল্য পেয়ে এমন বেপরোয়া হয়ে উঠে। একদিকে, এই চক্র মানুষকে জিম্মি করে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য বাড়াচ্ছে, অন্যদিকে, ভ্যাট/ট্যাক্স বাড়িয়ে সরকার তা মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাহিরে নিয়ে গেছে। খেজুরের মতো ইফতারের নিত্য অনুষঙ্গ ও পুষ্টিকর ফলের আমদানি শুল্ক বাড়ানোর কারণে এর দাম প্রায় দ্বিগুণ বেড়েছে। শিল্পমন্ত্রী নুরুল মাজিদ হুমায়ুন দাম নিয়ন্ত্রণে সরকারের ব্যর্থতা ঢাকতে গিয়ে খেজুরের বিকল্প হিসেবে বড়ই খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। যা মূলত খেটে খাওয়া রোজাদার মানুষদের সাথে উপহাসের শামিল।’
নেতারা আরো বলেন, ‘এই মাস থেকে বিদ্যুতের মূল্য খুচরা পর্যায়ে সাড়ে ৮ শতাংশ বৃদ্ধি করা হয়েছে যা জনজীবনকে আরো দুর্বিসহ করে তুলবে। সরকার না পারছে আগুন নিয়ন্ত্রণ করতে, না পারছে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ করতে। কোনো অগ্নিকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার জাতি এখনো দেখতে পায় নাই। ক্ষতিগ্রস্তরা উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ এখনো পায় নাই। অবিলম্বে মাহে রমজানের আগেই দ্রব্যমূল্য ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে নিয়ে আসতে হবে। রমজানের পবিত্রতা নষ্ট হয় এমন অপতৎপরতা সরকারকে অবশ্যই বন্ধ রাখতে হবে।’
এ সময় দলটির নায়েবে আমির অধ্যাপক মাওলানা আবদুল কাদির সালেহর সভাপতিত্বে ও মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদেরের পরিচালনায় অন্যান্যের মধ্যে নায়েবে আমির অধ্যাপক আবদুল্লাহ ফরিদ, যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর হোসাইন, মুহাম্মদ মুনতাসির আলী, অধ্যাপক মুহাম্মদ আবদুল জলিল, সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মিজানুর রহমান, প্রশিক্ষণ সম্পাদক অধ্যাপক কাজী মিনহাজুল আলম, বায়তুলমাল সম্পাদক আলহাজ্ব আবু সালেহীন, প্রচার ও তথ্য সম্পাদক প্রকৌশলী আবদুল হাফিজ খসরু, যুব-বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট তাওহীদুল ইসলাম তুহিন, সাহাব উদ্দিন আহমদ খন্দকার, মুফতি আবদুল হক আমিনী, জহিরুল ইসলাম, জিল্লুর রহমান, অধ্যাপক মাওলানা আজিজুল হক, হাজী নুর হোসেন, মাওলানা সাইফুদ্দিন আহমদ খন্দকার, আবুল হোসেনসহ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।