মিয়ানমার থেকে রাতের বেলায় ভেসে আসছে বোমার বিকট শব্দ। এতে কাঁপছে কক্সবাজারের টেকনাফের হোয়াইক্যং, হ্নীলা, টেকনাফ ও শাহপরীর দ্বীপের সীমান্ত এলাকা। ওপারের বিকট শব্দে কেঁপে ওঠে এপার। বিশেষ করে রাতের বেলা ও সন্ধ্যায় এ শব্দ বেশি হয়। মিয়ানমারের রাখাইনে গত কয়েক সপ্তাহ ধরে বিদ্রোহী আরকান আর্মি ও সেদেশের বিজিপি’র সেনাদের সঙ্গে তুমুল লড়াই চলছে। যার প্রভাব এদেশের সীমান্তেও পড়ে। লড়াইয়ে টিকতে না পেরে দফায় দফায় পালিয়ে আসে ৩৩০ জন বিজিপি ও সেনা কর্মকর্তা। সেদেশের মর্টারশেল এপারে পড়ে দু’জন নিহতসহ কয়েকজন বাংলাদেশি নাগরিক আহত হয়। রাখাইনের লড়াই ধীরে ধীরে দক্ষিণ দিকে অগ্রসর হচ্ছে। সোমবার সকালে হোয়াইক্যং ও হ্নীলা বরাবর সীমান্তে রাতে গোলাগুলির বিকট আওয়াজ শোনা গেছে।
তবে সকাল থেকে গোলাগুলির আওয়াজ শোনা না গেলেও বিকাল সাড়ে চারটার দিকে দমদমিয়া বরাবর মিয়ানমারের অভ্যন্তরে পর পর কয়েকটি বোমার শব্দ এপারে কেঁপে ওঠে। স্থানীয় একাধিক জেলে জানান, সকালে তারা ঝাঁকি জাল ও বড়শি নিয়ে নাফ নদে মাছ শিকারে গেছে। তবে টেকনাফের হোয়াইক্যং সীমান্তে মানুষ আতঙ্কে রয়েছে। ইউপি সদস্য সিরাজুল মোস্তফা লালু জানান, হোয়াইক্যং ও হ্নীলা সীমান্ত দিয়ে বেশির ভাগ গোলাগুলির শব্দ আসছে। মাঝেমধ্যে গুলির আওয়াজ আসায় সীমান্তের বাসিন্দাদের মধ্যে এখনো আতঙ্ক কাটেনি। তবে বিজিবি টহল জোরদার করে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।