আজারবাইজান একটি পূর্ণ মাত্রার যুদ্ধের পরিকল্পনা করছে বলে অভিযোগ করেছেন আর্মেনিয়ার প্রধানমন্ত্রী নিকোল পাশিনিয়ান। তিনি যখন এমন মন্তব্য করেছেন, তখন দুই দেশের সীমান্তে উত্তেজনা ক্রমশ বাড়ছে। এই সপ্তাহের শুরুতেই আজারবাইজানীয় সেনাবাহিনী সীমান্ত ফাঁড়িতে গুলি চালিয়ে চার আর্মেনিয়ান সেনাকে হত্যা করে। এ খবর দিয়েছে আরটি।
খবরে বলা হয়, বৃহস্পতিবার একটি সরকারী বৈঠকে আজারবাইজানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরুর চেষ্টার অভিযোগ করেন আর্মেনিয়ার প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, আমাদের বিশ্লেষণ অনুযায়ী আজারবাইজান সীমান্তের কিছু অংশে সামরিক অভিযান শুরু করতে চায়। তারা আর্মেনিয়ার বিরুদ্ধে সামরিক প্রস্তুতি নিচ্ছে যাতে একটি পূর্ণ মাত্রার যুদ্ধ শুরু করা যায়। আজারবাইজানের বিভিন্ন বিবৃতি ও পদক্ষেপে তাদের অভিপ্রায় স্পষ্ট।
বাকু দাবি করেছে যে, আর্মেনিয়ান সৈন্যরা প্রথমে গুলি চালালে তারা প্রতিশোধ নিতে বাধ্য হয়। আজারবাইজানীয় প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভ এই সপ্তাহে পঞ্চম মেয়াদে জয়ী হয়েছেন। বুধবার তিনি অভিযোগ করেন, আজারবাইজান নয় বরঞ্চ আর্মেনিয়াই প্রতিবেশীর ভূখণ্ড দখলের চেষ্টা করছে। তিনি তার অভিষেক বক্তৃতায় বলেন, আর্মেনিয়ার উচিৎ তাদের দাবি ছেড়ে দেয়া।
আমাদের সাথে ব্ল্যাকমেইলের ভাষায় কথা বলায় তাদের মূল্য দিতে হবে।
১৯৯১ সালে সোভিয়েত ইউনিয়ন থেকে আলাদা হয় আর্মেনিয়া ও আজারবাইজান। এরপর দেশদুটি একের পর এক রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে লিপ্ত হয়েছে। ২০২০ সালে নাগর্নো-কারাবাখে যে যুদ্ধ হয়েছিল তার রেশ এখনও রয়ে গেছে। এখনও প্রায়ই দুই দেশের মধ্যে গুলি বিনিময় অব্যাহত আছে।
যুদ্ধের শেষে নাগোর্নো-কারাবাখ সরকারের বিলুপ্তি হয় এবং অঞ্চলটির নিয়ন্ত্রণ ফিরে পায় আজারবাইজান। যদিও আজারবাইজানি ভূখণ্ডের অভ্যন্তরে অবস্থিত নাগর্নো-কারাবাখ গত বছর পর্যন্ত জাতিগত আর্মেনিয়ান বিচ্ছিন্নতাবাদীদের অধীনে শাসিত ছিল।