বিদ্রোহীদের প্রবল আক্রমণের কারণে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীতে ঐক্য ভেঙে পড়েছে। ফলে বাড়ছে আত্মসমর্পণের ঘটনা। অন্তত ৩০ জনের বেশি সেনার দেওয়া তথ্যে এমনটাই উঠে এসেছে। খবর ওয়াশিংটন পোস্ট ও বিবিসির।
গত বছরের ২৭ অক্টোবর ১০২৭ নামে অপারেশন শুরুর পর থেকে গত তিন মাস ধরে আত্মসমর্পণ কিংবা পালিয়ে যাওয়া সেনারা জানান, বিদ্রোহী আক্রমণের ফলে সামরিক বাহিনীর মনোবল ভেঙে গেছে। সেই সঙ্গে অস্ত্রের সংকটেও ভুগছে, যা তাদের ব্যাপকভাবে আত্মসমর্পণে বাধ্য করছে।
সেনারা জানান, বিদ্রোহীদের সাম্প্রতিক যুদ্ধক্ষেত্রের সাফল্য কেবল অঞ্চল দখলেই সীমাবদ্ধ নয়, বরং সামরিক জান্তা রক্ষাকারী বাহিনীর সংহতিকেও ক্ষুণ্ন করছে।
এদিকে, আগামী এপ্রিলে যুবকদের সেনাবাহিনীতে বাধ্যতামূলক যোগদান শুরুর পরিকল্পনা করছে মিয়ানমার জান্তা। একইসঙ্গে যারা অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা ও সদস্য রয়েছেন তাদেরও বাধ্যতামূলক বাহিনীতে যোগ দিতে হবে। এর মাধ্যমে বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে দেশব্যাপী হারানো সেনা ঘাঁটতি পূরণ করতে চায় জান্তা সরকার।
এর আগে গত শনিবার মিয়ানমারের জান্তা ১৮ থেকে ৩৫ বছর বয়সী পুরুষ এবং ১৮ থেকে ২৭ বছর বয়সী নারীদের অন্তত দুই বছর বাধ্যতামূলক সেনাবাহিনীতে যোগ দিতে হবে– এ-সংক্রান্ত একটি আইন ঘোষণা করেছে। আর গত মঙ্গলবার এ আইন এপ্রিল থেকে শুরু হবে বলে জানানো হয়।
জান্তার মুখপাত্র জাও মিন তুন বলেছেন, যোগদানের ক্ষেত্রে মেডিকেল পরীক্ষা করা হবে। প্রতি ধাপে লোক নিয়োগ হবে ৫ হাজার।
মিয়ানমারের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, গত পাঁচ বছরের মধ্যে যারা অবসরে গেছেন, তাদেরও সেনাবাহিনীতে আবার যোগ দিতে হবে।