ভারতের বিপক্ষে জয়ী দলের একাদশের মাত্র দু’জন। এর একজন গোলরক্ষক স্বর্ণা রানী, অপরজন ফরোয়ার্ড উমেলা মারমা।
আগেই ফাইনাল নিশ্চিত হওয়ায় নিয়মরক্ষার ম্যাচে ভুটানের বিপক্ষে রিজার্ভ বেঞ্চের ফুটবলারদের পরীক্ষা করতে এমন সিদ্ধান্ত। এই দ্বিতীয় সারির দলের সাথেও পারেনি ভুটান। তাদের ৪-০ গোলে হারিয়ে লিগ পর্বের সেরা দল হয়েই ফাইনালে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব ১৯ নারী দল।
কমলাপুর স্টেডিয়ামে দিনের প্রথম ম্যাচে ভারত ৪-০ গোলে নেপালকে হারিয়ে নিশ্চিত করেছে ফাইনাল। শিরোপা লড়াইয়ে খেলতে নেপালের দরকার ছিল জয়।
সাইড বেঞ্চের ফুটবলার নিয়ে দুর্বল ভুটানের বিপক্ষে লিড নিতে খুব একটা দেরী করেনি আসরের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ। ১৮ মিনিটে বক্সে জটলা থেকে ডান পায়ের শটে গোল করেন স্ট্রাইকার নুসরাত জাহান মিতু। ৩০ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুন। মিতুর কর্নারে হেড করে ভুটানের গোলরক্ষকে জাল থেকে বল কুড়িয়ে আনতে বাধ্য করেন ঐশী খাতুন। প্রথমার্ধের ইনজুরি টাইমে ঐশী বিপক্ষ কিপার দীক্ষা রাইকে কাটিয়েও গোল করতে পারেননি।
৫৮ মিনিটে ঐশীর ক্রসে পা লাগিয়ে বল জালে পাঠান তৃষ্ণা রানী। ৬৩ মিনিটে ভুটানী কিপারের কাছ থেকে বল কেড়ে নিজের দ্বিতীয় গোল ঐশীর। পুরো ম্যাচ ছিল ঐশীময়। নিজে গোল করেছেন। একটি গোল করিয়েছেন। শেষ দিকে এই মিডফিল্ডারকে স্ট্রাইকিং পজিশনে খেলানো হয়। উদ্দেশ্য হ্যাটট্রিক আদায়। তা আর সম্ভব হয়নি। এরপরও টানা তিন জয়ে ফাইনালে চলে গেছে সাবিনা- রুপনাদের উত্তরসূরীরা।
বাংলাদেশ দল : স্বর্না (জুঁই ৮১ মিনিট), লিমা, রুমা, ঐশী, মিতু, যুথী, তৃষ্ণা, কানন, লিমা, রিতু ও সুলতানা।
৯ নম্বর গোলরক্ষককে কাটিয়েও মিস ৪৫ মিস।
