জাতিসঙ্ঘের ফিলিস্তিনি মানবাধিকার গোষ্ঠী গাজায় কাজ করছে। সেই গোষ্ঠীকেই বাতিল করার প্রস্তাব দিলেন নেতানিয়াহু।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু আগেই অভিযোগ করেছিলেন, ‘ইউএন রিলিফ অ্যান্ড ওয়ার্কস অ্যাজেন্সি ফর প্যালেস্টাইন রিফিউজিস (ইউএনআরডাব্লিউএ) সরাসরি হামাসকে সাহায্য করছে। তাদের বহু কর্মী শনিবারের (৭ অক্টোবর) আক্রমণের সাথে যুক্ত ছিল।’
মূলত, নেতানিয়াহুর সেই অভিযোগের ভিত্তিতে ইউএনআরডাব্লিউএ তাদের ১২ জন কর্মীকে বরখাস্ত করেছে বলে মঙ্গলবারই জানিয়েছিল। তাদের বিরুদ্ধে তদন্তও শুরু হয়েছে।
বুধবার নেতানিয়াহু বলেন, ‘গোটা ইউএনআরডাব্লিউএ ত্রুটিপূর্ণ। হামাসের সাথে তারা সরাসরি জড়িত। তাই তাদের বাতিল করে দেয়া উচিত। তাদের কাজ বন্ধ করে দেয়া উচিত।’
বুধবার জেরুসালেমে জাতিসঙ্ঘের রাষ্ট্রদূত গেছিলেন। সেখানেই নেতানিয়াহু বলেন, ‘আরো অনেক সংস্থা আছে, যারা মানবাধিকারের কাজ করে। জাতিসঙ্ঘের নিজের আরো অনেক সংস্থা আছে। তাদেরকে গাজায় নিয়ে আসা হোক। ইউএনআরডাব্লিউএ-কে বন্ধ করা হোক।’
নেতানিয়াহুর এই অভিযোগের পর জার্মানি, জাপান, আমেরিকাসহ একাধিক দেশের সাহায্যকারীরা গাজায় অর্থ পাঠানো বন্ধ করে দিয়েছে। তাদের সাথে নিউইয়র্কে বৈঠকে বসার কথা জাতিসঙ্ঘের প্রধান আন্তোনিও গুতেরেসের। তার আগে আবারো ভয়াবহ অভিযোগ করলেন নেতানিয়াহু।
জাতিসঙ্ঘের অবস্থান :
জাতিসঙ্ঘের বক্তব্য, ‘গাজার পরিস্থিতি ভয়াবহ। এই অবস্থায় একমাত্র ইউএনআরডাব্লিউএ গোষ্ঠীটিই সেখানে কাজ করতে সক্ষম। কারণ তারা প্রতিটি এলাকা চেনে। কোথায় কতটা সাহায্য দেয়া প্রয়োজন, তা তারা জানে। ইতোমধ্যেই ইসরাইলের আক্রমণে তাদের বেশ কিছু কর্মী মারা গেছে। তার পরেও তারা কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।’
গুতেরেস জানিয়েছিলেন, ‘নেতানিয়াহুর অভিযোগ পাওয়ার পর তিনি বেশ কিছু কর্মীকে বরখাস্ত করেছিলেন। তার নির্দেশেই তদন্ত কমিটি তৈরি হয়েছে।’
গাজায় আরো সাহায্য প্রয়োজন :
এ দিকে, বুধবার জাতিসঙ্ঘ আবার জানিয়েছে, গাজায় আরো বেশি মানবিক সাহায্যের প্রয়োজন। এই পরিস্থিতিতে সাহায্যকারী সংস্থাগুলো অর্থ দেয়া বন্ধ করে দিলে পরিস্থিতি আরো ভয়াবহ হবে। দ্রুত ওই সংস্থাগুলোর সাথে কথা বলা প্রয়োজন বলে মনে করছে জাতিসঙ্ঘ।
সূত্র : ডয়চে ভেলে