লোহিত সাগরে ইসরায়েলগামী জাহাজে একের পর এক হামলা চালিয়ে সাম্প্রতিক সময়ে বেশ আলোচনায় আছে ইয়েমেনের বিদ্রোহী গোষ্ঠী হুথি। তাদের কারণে ইসরায়েল ও তার শয়তানি মিত্রদের ঘুম হারামা হওয়ার দশা। আর সেকারণেই সৌদি আরবের আহ্বান উপেক্ষা করেও হুথি বিদ্রোহীদের বিভিন্ন স্থাপনায় হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য।
তবে সামরিক সরঞ্জামে হুথিও মোটেই পিছিয়ে নেই। হুথিদের কাছেও আছে আধুনিক হেলিকপ্টার ও নৌকা। আছে অত্ত্যাধনিক ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র। সাম্প্রতিক হামলাগুলোতে তারা এসব সরঞ্জাম ও অস্ত্রই ব্যবহার করেছে। স্থল বাহিনীর মতো হুথির আছে বিশেষ নৌবাহিনীও। বাণিজ্যিক জাহাজগুলোতে হামলা চালাতে তারা কামিকাজে ড্রোন ব্যবহার করেছে। এর আগে তারা কাসেফ ড্রোন নামেও একটি অস্ত্র ব্যবহার করেছিল। এছাড়াও তাদের হাতে আছে সামাদ নামের দীর্ঘপাল্লার ড্রোন। যার আভে ভি-আকৃতির লেজ। সৌদি আরবের সাথে দীর্ঘ মেয়াদি যুদ্ধের সময়ও এসব অস্ত্র ব্যবহার করেছে হুথি যোদ্ধারা।
যুক্তরাষ্ট্রের দাবি, ইরান হুথিদের উন্নত প্রযুক্তির ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্রসহ নানা সমরাস্ত্র সরবরাহ করে থাকে। তবে জাতিসংঘ বলছে, বিশ্বের অন্যান্য বেসামরিক খাত থেকেও অস্ত্র পেয়ে থাকে হুথি বিদ্রোহীরা। এদিকে, ইয়েমেনের বিভিন্ন অবস্থানে হামলার অনুমতি দিয়ে বিপাকে পড়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। কারণ, ইয়েমেনে হামলা চালানোর ব্যাপারে যথাযথ প্রক্রিয়া মানেননি বাইডেন। তিনি কংগ্রেসকে অবগত না করেই এই হামলার অনুমতি দিয়েছেন। কংগ্রেসম্যান রো খান্না বলেছেন, মধ্যপ্রাচ্যে কোনো সংঘাতে জড়ানোর আগে অবশ্যই বাইডেনের কংগ্রেসকে জানানো উচিত ছিল।
আরেক কংগ্রেসম্যান ভাল হলি বলেছেন, কংগ্রেস বিদেশে সামরিক হামলার অনুমোদনের ক্ষেত্রে একমাত্র কর্তৃপক্ষ। প্রত্যেক প্রেসিডেন্টেরই শুরুতেই কংগ্রেসে আসা উচিত এবং সামরিক কর্তৃপক্ষের কাছে অনুমতি চাওয়া উচিত। আবার অনেকে বাইডেনের এমন হস্তক্ষেপকে সমর্থন করলেও বলছেন, অস্ত্রের চেয়ে কূটনৈতিকভাবেই সংকট সমাধানের চেষ্টা করা জরুরি। লোহিত সাগরে বেশকিছুদিন ধরেই ইসরাইলহগামী জাহাজ লক্ষ্য করে হামলা চালিয়ে আসছে হুথি বিদ্রোহীরা। সেই হামলার পাল্টা ব্যবস্থা হিসেবেই যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য এই হামলা চালানো হয়েছে বলে দাবি করেছে।