লোহিত সাগরে মার্কিন জাহাজে হামলার প্রতিক্রিয়া হিসেবে ইয়েমেনে হাউছি বিদ্রোহীদের বেশ কয়েকটি লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য। এ বিষয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে রাশিয়া।
শুক্রবার (১২ জানুয়ারি) কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে একটি কূটনৈতিক সূত্রের বরতে বলা হয়েছে, এই হামলার পর রাশিয়া জাতিসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদের সদস্যদের কাছে একটি বার্তা পাঠিয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, তারা ইয়েমেনে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের এই হামলাকে জাতিসঙ্ঘের সনদের লঙ্ঘন বলে মনে করে।
শুক্রবার নিরাপত্তা পরিষদের একটি জরুরি অধিবেশন ডাকারও আহ্বান জানিয়েছে দেশটি। শুক্রবার সকালে ইয়েমেনের বেশ কিছু স্থানে হাউছি বিদ্রোহীদের লক্ষ্য করে হামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য।
ওই হামলার বিষয়ে হাউছি উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্যকে এই আগ্রাসনের জন্য চড়া মূল্য দিতে হবে।
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক জানিয়েছেন, হাউছিদের সামরিক স্থাপনাগুলোতে হামলা চালাতে সহায়তা করেছে রয়্যাল এয়ার ফোর্সের যুদ্ধবিমান। তিনি বলেন, এই হামলা আত্মরক্ষার জন্য প্রয়োজন ছিল।
অন্যদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, নেদারল্যান্ডস, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা এবং বাহরাইন এই মিশনে সমর্থন দিয়েছে।
ইয়েমেনের রাজধানী সানা, লোহিত সাগরের হুদাইদাহ বন্দর, ধামার এবং উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় সাদায় অবস্থিত হাউছি বিদ্রোহীদের শক্তিশালী ঘাঁটি লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়েছে বলে দাবি করেছে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য।
উল্লেখ্য, ইয়েমেনের অধিকাংশ অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণই হাউছিদের হাতে। গাজায় ইসরায়েল-হামাস সঙ্ঘাতে তারা দৃঢ়ভাবে হামাসকে সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে। মূলত হামাস ও ইসরাইলের মধ্যকার এই যুদ্ধের ঢেউই পৌঁছেছে লোহিত সাগরে। গাজায় বোমা হামলা শুরুর পরপরই উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে লোহিত সাগরে। হাউছি বিদ্রোহীরা সেখানে বাণিজ্যিক জাহাজ লক্ষ্য করে হামলা শুরু করে।
এদিকে হাউছিদের লক্ষ্য করে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের হামলায় ওই অঞ্চলে নতুন করে উত্তেজনা বৃদ্ধি পাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
