নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসের সাজার ঘটনা দেশের বিচার বিভাগের ওপর আস্থার ভিত নাড়িয়ে দিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিশিষ্টজনরা। তারা বলেছেন, শুধুমাত্র হয়রানির উদ্দেশ্যেই পাবলিক সিস্টেমকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে বলে এ ঘটনায় প্রতীয়মান হয়।
শুক্রবার গণমাধ্যমগুলোকে পাঠানো এক বিবৃতিতে এমন উদ্বেগ প্রকাশ করেন অর্থনীতিবিদ ড. হোসেন জিল্লুর রহমান, মানবাধিকারকর্মী হামিদা হোসেন, খুশি কবির, রাশেদা কে. চৌধুরী, শাহীন আনাম, শিরীন হক, শামসুল হুদা, খায়রুল ইসলাম, ফারুক ফয়সল, সৈয়দ আহমেদ, সিনিয়র আইনজীবী ড. শাহদীন মালিক, জেড.আই. খান পান্না, সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান ও শিক্ষাবিদ শাহনাজ হুদা।
বিবৃতিতে তারা বলেন, শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে প্রফেসর ইউনূস ও তার সহকর্মীদের ছয় মাসের কারাদণ্ড ও জরিমানা করা হয়েছে। যেখানে রানা প্লাজার ভিক্টিমরা এখনও ন্যায়বিচারের অপেক্ষায় রয়েছে, সেখানে প্রফেসর ইউনূসের বিচারের ক্ষেত্রে আইনী কার্যক্রমে এমন অবিশ্বাস্য তাড়াহুড়ো নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
বিবৃতিতে তারা বলেন, শুধুমাত্র হয়রানির উদ্দেশ্যেই পাবলিক সিস্টেমকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে বলে এ ঘটনায় প্রতীয়মান হয়। এ বিষয়টি বাংলাদেশের নাগরিক অধিকার সঙ্কুচিত হওয়া সম্পর্কে একটি নেতিবাচক বার্তা দিচ্ছে। মানুষের শেষ আশ্রয়স্থল বিচার বিভাগের ওপর যে আস্থা রয়েছে, তা নাড়িয়ে দিয়েছে এ ঘটনা।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, যদিও আইনের নিজস্ব গতিপথেই চলা উচিত, তবে আমরা নাগরিক হিসেবে সংশ্লিষ্ট সকলকে ‘অবজেক্টিভ, স্বচ্ছ এবং উদ্দেশ্যহীন’ উপায়ে যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করার আহ্বান জানাই।
প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসকে হয়রানি করার জন্য আইনের উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও পক্ষপাতমূলক ব্যবহার বন্ধ করতে আমরা কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানাই। নাগরিক অধিকার রক্ষার গুরুত্ব উপলব্ধি করার এবং বাংলাদেশের অন্তর্ভুক্তিমূলক সমৃদ্ধির পথে সুশীল সমাজ ও এর নেতৃত্বের বিরুদ্ধে চলমান সমস্ত হয়রানিমূলক কর্মকাণ্ড বন্ধ করার আহবান জানানো হয় বিবৃতিতে।
।