ADVERTISEMENT
Jago Today
No Result
View All Result
বৃহস্পতিবার, জুন ১৯, ২০২৫
  • প্রচ্ছদ
  • জাতীয়
  • রাজনীতি
  • পূর্ব-পশ্চিম
  • স্পোর্টস
  • বিনোদন
  • প্রযুক্তি
  • অর্থনীতি
  • স্বাস্থ্য
  • ইসলাম ও জীবন
Subscribe
Jago Today
  • প্রচ্ছদ
  • জাতীয়
  • রাজনীতি
  • পূর্ব-পশ্চিম
  • স্পোর্টস
  • বিনোদন
  • প্রযুক্তি
  • অর্থনীতি
  • স্বাস্থ্য
  • ইসলাম ও জীবন
No Result
View All Result
Jago Today
No Result
View All Result

বাংলাদেশে মানবাধিকার রক্ষায় অ্যামনেস্টির ১০ দফা ঘোষণা

by নিজস্ব প্রতিবেদক, জাগো টুডে
শনিবার, ৬ জানুয়ারি, ২০২৪
বাংলাদেশে মানবাধিকার রক্ষায় অ্যামনেস্টির ১০ দফা ঘোষণা
Share on FacebookShare on Twitter

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী সব রাজনৈতিক দলকে মানবাধিকার সুরক্ষার বিষয়টি নিশ্চিতের আহ্বান জানিয়েছে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। এ লক্ষে ১০ দফা মানবাধিকার সনদ ঘোষণা করেছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক এ মানবাধিকার সংগঠনটি।

বৃহস্পতিবার (৪ জানুয়ারি) সংগঠনটি তাদের ওয়েবসাইটে এই ১০ দফার সনদ প্রকাশ করে।

সনদে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী সব রাজনৈতিক দলের মূল পরিকল্পনায় মানবাধিকার সুরক্ষা ও উন্নয়নের বিষয়টি যাতে থাকে, তা নিশ্চিত করতে তারা সব দলের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছে।

অ্যামনেস্টির ১০ দফায় আন্তর্জাতিক চুক্তির প্রতি বাংলাদেশের অঙ্গীকার অনুযায়ী, দেশটির মানবাধিকার রক্ষার বাধ্যবাধকতার গুরুত্ব তুলে ধরা হয়েছে। এসব চুক্তির মধ্যে রয়েছে ইন্টারন্যাশনাল কভেন্যান্ট অন সিভিল অ্যান্ড পলিটিক্যাল রাইটস (আইসিসিপিআর), ইন্টারন্যাশনাল কভেন্যান্ট অন ইকোনমিক, সোশ্যাল অ্যান্ড কালচারাল রাইটস (আইসিইএসআর)। একই সঙ্গে বাংলাদেশের সংবিধানে থাকা মানবাধিকার-সংক্রান্ত বাধ্যবাধকতার কথাও স্মরণ করিয়ে দিয়েছে অ্যামনেস্টি।

১০ দফা অ্যাজেন্ডার ক্রমবিন্যাস অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে করা হয়নি বলে উল্লেখ করেছে অ্যামনেস্টি। বাংলাদেশের জন্য অ্যামনেস্টির দেওয়া ১০ দফা মানবাধিকার সনদ হলো:

১. মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতার প্রতি শ্রদ্ধা দেখান, তা রক্ষা করুন।

২. প্রতিবাদকে সুরক্ষা দিন।

৩. রোহিঙ্গা সংকটের টেকসই সমাধান করুন।

৪. গুম ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের ক্ষেত্রে দায়মুক্তির অবসান ঘটান।

৫. নারীর অধিকার রক্ষা করুন।

৬. ধর্মীয় সংখ্যালঘু ও ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর মানুষের অধিকার রক্ষা করুন।

৭. মৃত্যুদণ্ড বিলোপ করুন।

৮. জলবায়ুসংকট মোকাবিলায় অন্তর্ভুক্তিমূলক, টেকসই পদক্ষেপ নিন।

৯. হেফাজতে মৃত্যু ও নির্যাতনের ক্ষেত্রে দায়মুক্তির অবসান ঘটান।

১০. করপোরেট দায়বদ্ধতা ও শ্রম অধিকার সমুন্নত রাখুন।

এসব দফার প্রতিটির ক্ষেত্রে বাংলাদেশে বিদ্যমান পরিস্থিতির সংক্ষিপ্ত বিবরণ দিয়েছে অ্যামনেস্টি। প্রতিটি দফার ক্ষেত্রে পৃথকভাবে কিছু সুপারিশ রেখেছে সংগঠনটি।

১. মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতা রক্ষা

*শুধু মতপ্রকাশের স্বাধীনতার অধিকার চর্চার জন্য সাইবার নিরাপত্তা আইন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) আইনে গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের অবিলম্বে, নিঃশর্ত মুক্তি দিন। অভিযুক্ত সবার বিরুদ্ধে মামলা বাতিল করুন।

আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন ও মানদণ্ড অনুযায়ী, সাইবার নিরাপত্তা আইন সংশোধন করুন। এই আইনের ২১, ২৫ ও ২৮ ধারা বাতিল করুন।

মানহানিকে ফৌজদারি অপরাধ হিসেবে গণ্য করে জেল-জরিমানার মতো বিধান রদ করুন। মানহানির বিষয়টি দেওয়ানি আইন ও মামলার বিষয় হিসেবেই থাকা উচিত।

মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, ব্যক্তির গোপনীয়তা, ব্যক্তির স্বাধীনতা-নিরাপত্তার অধিকারের মতো মানবাধিকার লঙ্ঘনের ক্ষেত্রে ন্যায়বিচারপ্রাপ্তি ও পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণসহ কার্যকর প্রতিকারের আইন প্রবর্তন করুন।

সাংবাদিকদের হয়রানি ও ভয় দেখাতে আইনের অপব্যবহার বন্ধ করুন।

২. প্রতিবাদকে সুরক্ষা দিন

২০২২ সালের ডিসেম্বর ও ২০২৩ সালের অক্টোবরে বিরোধীদের বিক্ষোভ এবং তাঁদের ওপর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বলপ্রয়োগের বিষয়টি উল্লেখ করে কিছু সুপারিশ তুলে ধরা হয়।

জনতার বিক্ষোভ মোকাবিলার ক্ষেত্রে অপ্রয়োজনীয় ও অতিরিক্ত শক্তির ব্যবহার বন্ধ করুন।

শান্তিপূর্ণ সমাবেশের সুরক্ষাসহ তা পালনে সহায়তার বাধ্যবাধকতা পূরণ করুন। বিধিনিষেধসহ যেকোনো প্রতিক্রিয়া যাতে আইনসম্মত, প্রয়োজনীয়, সমানুপাতিক ও আন্তর্জাতিক মানদণ্ডের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ হয়, তা নিশ্চিত করুন।

সব ধরনের গ্রেপ্তার যাতে যথাযথ প্রক্রিয়া মেনে, আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন ও মানদণ্ড অনুযায়ী করা হয়, তা নিশ্চিত করুন। এর মধ্যে রয়েছে—গ্রেপ্তারের কারণ ও আটক রাখার স্থান জানানো, গ্রেপ্তার ব্যক্তিকে অবিলম্বে বিচারকের সামনে হাজির করা, আইনি পরামর্শ পাওয়া নিশ্চিত করা। একটি মুক্ত ও ন্যায়বিচারের অধিকার নিশ্চিত করা।

৩. রোহিঙ্গা সংকটের টেকসই সমাধান

মিয়ানমার থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের আন্তর্জাতিক সহায়তা এবং শিশুদের শিক্ষায় নানা পদক্ষেপের কথা তুলে ধরে কিছু সুপারিশ করা হয়।

আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন অনুযায়ী রোহিঙ্গা শরণার্থীদের অধিকার রক্ষা করুন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিরুদ্ধে ওঠা অপব্যবহারের অভিযোগ তদন্ত করুন। দায়ী ব্যক্তিদের জবাবদিহির আওতায় আনুন।

স্বাধীনভাবে পরিস্থিতি মূল্যায়নের জন্য ভাসানচরে সাংবাদিক, জাতিসংঘের প্রতিনিধি, দাতা-মানবিক সংস্থাসহ নাগরিক সমাজের সংগঠন ও মানবাধিকার সংস্থাগুলোর অবাধ প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করুন।

রোহিঙ্গা শিশুদের যথাসময়ে উপযুক্ত, মানসম্মত ও আনুষ্ঠানিক শিক্ষার সুযোগ নিশ্চিত করুন।

রোহিঙ্গা শরণার্থীরা গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘন বা লঙ্ঘনের প্রকৃত ঝুঁকিতে পড়তে পারেন, নিজ মাতৃভূমিসহ এমন কোনো স্থানে তাঁদের স্থানান্তর না করার বিষয়টি নিশ্চিত করা।

স্থানান্তর, প্রত্যাবাসন, ত্রাণ, উন্নয়ন-সম্পর্কিত বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে রোহিঙ্গা শরণার্থী সম্প্রদায়ের সদস্যদের অন্তর্ভুক্ত করুন। তাঁদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করুন। এ ক্ষেত্রে নারী, প্রতিবন্ধী ব্যক্তি ও অন্যান্য প্রান্তিক গোষ্ঠীর সদস্যদের অন্তর্ভুক্ত করুন।

রোহিঙ্গা সংকটের একটি সমন্বিত, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও সহযোগিতামূলক সমাধান খুঁজে পেতে প্রতিবেশী দেশ, আঞ্চলিক সংস্থা ও বৈশ্বিক অংশীজনদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনায় যুক্ত হন।

৪. গুম ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের ক্ষেত্রে দায়মুক্তির অবসান করুন

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে কত মানুষ গুম, অপহরণ ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন তার কিছু পরিসংখ্যান তুলে ধরে কিছু সুপারিশ করা হয়।

আপত্তি ছাড়াই গুম থেকে সব ব্যক্তির সুরক্ষার সনদ অনুমোদন করুন। গুমকে ফৌজদারি অপরাধ হিসেবে গণ্য করে তা দেশের আইনি ব্যবস্থায় অন্তর্ভুক্ত করুন।

বাংলাদেশে আনুষ্ঠানিক সফরের জন্য গুমবিষয়ক জাতিসংঘের ওয়ার্কিং গ্রুপের অনুরোধ গ্রহণ করুন।

গুমের শিকার ব্যক্তি, পরিবারের জন্য পূর্ণ ও কার্যকর ক্ষতিপূরণ নিশ্চিত করুন।

র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব), পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি), আইন প্রয়োগকারী সংস্থার অন্যান্য বিভাগের কর্মকাণ্ডের বিষয়ে কার্যকর, স্বাধীন ও নিরপেক্ষ তদন্ত শুরু করুন। বিশেষ করে গুম ও বিচারবহির্ভূত হত্যার অভিযোগের ক্ষেত্রে।

৫. নারীর অধিকার রক্ষা করুন

বাল্যবিবাহ, নারীর প্রতি সহিংসতা, হত্যাসহ বেশ কিছু ঘটনার পরিসংখ্যান তুলে ধরে কিছু সুপারিশ করা হয়।

নারীর প্রতি সহিংসতায় জড়িত অপরাধীদের জবাবদিহি করতে বিদ্যমান আইনের কার্যকর প্রয়োগ নিশ্চিত করুন। ভুক্তভোগীদের জন্য সময়মতো ও পর্যাপ্ত ন্যায়বিচার নিশ্চিত করুন। ক্ষতিপূরণ প্রদানের ব্যবস্থা করুন।

বিচার ও আইনি সেবায় নারীদের কার্যকর প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করুন।

লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতার শিকার ভুক্তভোগীরা যাতে সময়মতো ও পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণ পেতে পারেন, তা নিশ্চিত করুন। তাঁদের জন্য একটি ক্ষতিপূরণ তহবিল গঠন করুন।

সারা দেশে আরও আশ্রয়কেন্দ্র ও সেফ হাউস চালু করুন। কার্যকরভাবে তথ্য প্রচার করুন।

৬. ধর্মীয় সংখ্যালঘু ও ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর মানুষের অধিকার রক্ষা

ধর্মীয় সংখ্যালঘু প্রধানত হিন্দু সম্প্রদায়সহ অন্য সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা ও নির্যাতনের বিভিন্ন ঘটনা ও পরিসংখ্যান তুলে ধরে কিছু সুপারিশ তুলে ধরে অ্যামনেস্টি।

সংসদে উত্থাপিত দীর্ঘ প্রত্যাশিত বৈষম্যবিরোধী বিল ২০২২ আইনে পরিণত করুন।

পার্বত্য চুক্তিতে যে মানবাধিকার সংস্কারের কথা বলা হয়েছিল, তা সম্পূর্ণরূপে কার্যকর করুন।

ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর জন্য কার্যকর সমতা অর্জন, মানবাধিকারসহ মৌলিক স্বাধীনতার পূর্ণ ও সমান উপভোগ নিশ্চিতে বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করুন।

সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের জন্য সমতা-সংক্রান্ত সাংবিধানিক নিশ্চয়তা নিশ্চিত করুন। সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে সহিংসতায় দায়ী ব্যক্তিদের জবাবদিহির আওতায় আনুন।

৭. মৃত্যুদণ্ড বিলোপ করুন

বাংলাদেশে মৃত্যুদণ্ডের বিধান রয়েছে। এই সাজা কার্যকরের কয়েক বছরের পরিসংখ্যান তুলে ধরে কিছু সুপারিশ করা হয়।

মৃত্যুদণ্ডের বিধান বাতিল করুন। মৃত্যুদণ্ড রহিত করার লক্ষ্যে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার ওপর একটি সরকারি স্থগিতাদেশ দিন।

*মৃত্যুদণ্ডের ব্যাপারে আন্তর্জাতিক আইন ও মানদণ্ড নির্ধারিত বিধিনিষেধের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে জাতীয় আইনে বদল আনুন।

অপরাধের ক্ষেত্রে মৃত্যুদণ্ড একটি অনন্য প্রতিরোধক হিসেবে কাজ করে—এমন কোনো চূড়ান্ত প্রমাণ না থাকার বিষয়ে সচেতনতা বাড়ান। এ কথাও বলুন, এই শাস্তির সঙ্গে মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়টি জড়িত।

৮. জলবায়ুসংকট মোকাবিলায় অন্তর্ভুক্তিমূলক, টেকসই পদক্ষেপ নিন

জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বাংলাদেশ সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ দেশের তালিকায় সপ্তম অবস্থানে রয়েছে উল্লেখ করে সংকট মোকাবিলায় কিছু সুপারিশ করেছে অ্যামনেস্টি।

জলবায়ু পরিবর্তন-সংক্রান্ত বিশেষ কর্মসূচি বাস্তবায়নে উপযুক্ত কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করুন। টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করুন।

জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত ও ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার মানুষ বা জনগোষ্ঠীর সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য প্রয়োজনীয় কর্মপরিকল্পনা তৈরি করুন। তাঁদের জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন করুন। স্বল্পমেয়াদি ও দীর্ঘমেয়াদি ঝুঁকি প্রশমিত করুন।

বেশি কার্বন নির্গমনকারী দেশগুলোর সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় ও বহুপক্ষীয় আলোচনায় বাংলাদেশের জলবায়ু প্রভাবকে অগ্রাধিকার দিন।

৯. হেফাজতে মৃত্যু ও নির্যাতনের ক্ষেত্রে দায়মুক্তির অবসান ঘটান

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হেফাজতে নির্যাতন ও মৃত্যুর ঘটনায় অধিকার, আইন ও সালিশ কেন্দ্রের মতো বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠনের পরিসংখ্যান তুলে ধরে কিছু সুপারিশ করা হয়।

হেফাজতে মৃত্যু ও নির্যাতনের ঘটনায় পুঙ্খানুপুঙ্খ, নিরপেক্ষ ও স্বচ্ছ তদন্ত পরিচালনা করুন। মৃত্যুদণ্ড না দিয়ে অপরাধীদের জবাবদিহি নিশ্চিত করতে হবে। রাষ্ট্র থেকে ভুক্তভোগীদের দ্রুত ক্ষতিপূরণ দিন। এর মধ্যে আর্থিক ক্ষতিপূরণ, চিকিৎসাসেবা ও পুনর্বাসন অন্তর্ভুক্ত।

ইন্টারন্যাশনাল কভেন্যান্ট অন সিভিল অ্যান্ড পলিটিক্যাল রাইটসের (আইসিসিপিআর) ঐচ্ছিক প্রোটোকল অনুমোদন করুন। নির্যাতনের বিরুদ্ধে কনভেনশনের ২২ অনুচ্ছেদের অধীনে একটি ঘোষণা জারি করুন।

১০. করপোরেট দায়বদ্ধতা ও শ্রম অধিকার সমুন্নত রাখুন

বাংলাদেশে শ্রমিকেরা মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, শান্তিপূর্ণ সমাবেশসহ নানা ক্ষেত্রে বাধার মুখে পড়েন। এতে গত অক্টোবরে ন্যূনতম মজুরির আন্দোলনে তিন শ্রমিকের মৃত্যুসহ নানা ঘটনা উল্লেখ করে কিছু সুপারিশ করা হয়েছে।

বাংলাদেশ শ্রম আইনে শিশুর সংজ্ঞা সংশোধন করুন। এটিকে জাতিসংঘের শিশু অধিকার সনদ ও বাংলাদেশের শিশু আইন ২০১৩-এর সঙ্গে সংগতিপূর্ণ করুন। শিশুশ্রমিক নিয়োগের জন্য করপোরেশনগুলোকে জবাবদিহির আওতায় আনুন।

শ্রমিকদের বিক্ষোভে সহিংস দমনপীড়ন বন্ধ করুন। শ্রমিকনেতাসহ অন্য বিক্ষোভকারীদের মৃত্যুর ঘটনায় নিরপেক্ষ তদন্ত করুন। অপরাধীদের জবাবদিহির আওতায় আনুন।

শ্রমিকেরা যাতে তাঁদের সংগঠন করার স্বাধীনতার অধিকার চর্চা করতে পারেন, কারখানা পর্যায়ে ট্রেড ইউনিয়ন গঠন ও তাতে যোগদানের মাধ্যমে যাতে সম্মিলিত দর-কষাকষি করতে পারেন, সরকারি কর্তৃপক্ষ ও কারখানার মালিকদের সঙ্গে যাতে প্রকৃত সংলাপে যুক্ত হতে পারেন, শান্তিপূর্ণ সমাবেশসহ ধর্মঘটের স্বাধীনতার অধিকার যাতে ভোগ তরতে পারেন, তা নিশ্চিত করুন।

পোশাক কারখানার শ্রমিকেরা যাতে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) মানদণ্ড অনুযায়ী পর্যাপ্ত মজুরি পান, তা নিশ্চিত করুন।

বাংলাদেশ শ্রম আইনের পঞ্চম তফসিল সংশোধন করুন।

স্বচ্ছতা নিশ্চিতসহ আনুষ্ঠানিক ডেটার ঘাটতি পূরণে কর্মক্ষেত্রে মৃত্যু ও আঘাতের বিষয়ে একটি জাতীয় ভান্ডার চালু করুন।

Previous Post

অগ্নিসহিংসতায় জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হবে: আইনমন্ত্রী

Next Post

দুদিন চলবে না বেনাপোল এক্সপ্রেসসহ ২২ ট্রেন

Related Posts

নেপাল থেকে ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি সিদ্ধান্ত বাতিল
জাতীয়

নেপাল থেকে ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি সিদ্ধান্ত বাতিল

মাঝ আকাশে মিসাইল দেখার ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতা জানালেন বাংলাদেশি পাইলট
জাতীয়

মাঝ আকাশে মিসাইল দেখার ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতা জানালেন বাংলাদেশি পাইলট

বাংলাদেশে বিনিয়োগে আগ্রহী সৌদি ব্যবসায়ীরা
জাতীয়

বাংলাদেশে বিনিয়োগে আগ্রহী সৌদি ব্যবসায়ীরা

৫ লাখ যুব নারীসহ ৯ লাখ তরুণ প্রশিক্ষণে দক্ষ হবে: উপদেষ্টা আসিফ
জাতীয়

৫ লাখ যুব নারীসহ ৯ লাখ তরুণ প্রশিক্ষণে দক্ষ হবে: উপদেষ্টা আসিফ

ড. ইউনূস-তারেক রহমানের বৈঠক নিয়ে সন্তুষ্ট উপদেষ্টা পরিষদ
জাতীয়

ড. ইউনূস-তারেক রহমানের বৈঠক নিয়ে সন্তুষ্ট উপদেষ্টা পরিষদ

যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নবায়নে বাংলাদেশিদের জন্য দুঃসংবাদ
জাতীয়

যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নবায়নে বাংলাদেশিদের জন্য দুঃসংবাদ

Next Post
দুদিন চলবে না বেনাপোল এক্সপ্রেসসহ ২২ ট্রেন

দুদিন চলবে না বেনাপোল এক্সপ্রেসসহ ২২ ট্রেন

ADVERTISEMENT

সর্বশেষ সংযোজন

ইরানজুড়ে ইসরায়েলি হামলায় শত শত নিহত
আন্তর্জাতিক

ইরানজুড়ে ইসরায়েলি হামলায় শত শত নিহত

দেশব্যাপী নতুন কর্মসূচি ঘোষণা এনসিপির
নির্বাচিত

দেশব্যাপী নতুন কর্মসূচি ঘোষণা এনসিপির

নেপাল থেকে ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি সিদ্ধান্ত বাতিল
জাতীয়

নেপাল থেকে ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি সিদ্ধান্ত বাতিল

মাঝ আকাশে মিসাইল দেখার ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতা জানালেন বাংলাদেশি পাইলট
জাতীয়

মাঝ আকাশে মিসাইল দেখার ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতা জানালেন বাংলাদেশি পাইলট

ADVERTISEMENT

ট্রেন্ডিং নিউজ

তারেক রহমানের সঙ্গে একমত পোষণ করে যা বললেন সারজিস
নির্বাচিত

তারেক রহমানের সঙ্গে একমত পোষণ করে যা বললেন সারজিস

যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নবায়নে বাংলাদেশিদের জন্য দুঃসংবাদ
জাতীয়

যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নবায়নে বাংলাদেশিদের জন্য দুঃসংবাদ

পুলিশের কাছে থাকবে না ভারি মারণাস্ত্র, এপিবিএন পাবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
জাতীয়

পুলিশের কাছে থাকবে না ভারি মারণাস্ত্র, এপিবিএন পাবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

বাংলাদেশে বিনিয়োগে আগ্রহী সৌদি ব্যবসায়ীরা
জাতীয়

বাংলাদেশে বিনিয়োগে আগ্রহী সৌদি ব্যবসায়ীরা

Facebook Twitter Youtube

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন

Categories

  • অর্থনীতি
  • আন্তর্জাতিক
  • ইসলাম ও জীবন
  • জবস
  • জাতীয়
  • টপ স্টোরি
  • নির্বাচিত
  • পাঁচমিশালি
  • প্রযুক্তি
  • বিনোদন
  • ভিডিও
  • রাজনীতি
  • শিক্ষা ও ক্যাম্পাস
  • স্পটলাইট
  • স্পোর্টস
  • স্বাস্থ্য

Site Navigation

  • Home
  • Advertisement
  • Contact Us
  • Privacy & Policy
  • Other Links

উপদেষ্টা সম্পাদক : এম ওয়াশিকুর রহমান | ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ও প্রকাশক: তপন চৌধুরী
স্বত্ব © ২০২০-২০২৩ জাগো টুডে সকল অধিকার সংরক্ষিত।

No Result
View All Result
  • প্রচ্ছদ
  • জাতীয়
  • রাজনীতি
  • পূর্ব-পশ্চিম
  • স্পোর্টস
  • বিনোদন
  • প্রযুক্তি
  • অর্থনীতি
  • স্বাস্থ্য
  • ইসলাম ও জীবন

উপদেষ্টা সম্পাদক : এম ওয়াশিকুর রহমান | ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ও প্রকাশক: তপন চৌধুরী
স্বত্ব © ২০২০-২০২৩ জাগো টুডে সকল অধিকার সংরক্ষিত।