ADVERTISEMENT
Jago Today
No Result
View All Result
বুধবার, জুন ১৮, ২০২৫
  • প্রচ্ছদ
  • জাতীয়
  • রাজনীতি
  • পূর্ব-পশ্চিম
  • স্পোর্টস
  • বিনোদন
  • প্রযুক্তি
  • অর্থনীতি
  • স্বাস্থ্য
  • ইসলাম ও জীবন
Subscribe
Jago Today
  • প্রচ্ছদ
  • জাতীয়
  • রাজনীতি
  • পূর্ব-পশ্চিম
  • স্পোর্টস
  • বিনোদন
  • প্রযুক্তি
  • অর্থনীতি
  • স্বাস্থ্য
  • ইসলাম ও জীবন
No Result
View All Result
Jago Today
No Result
View All Result

ভোটের মাঠে ঈগল-শকুন কেন?

by নিজস্ব প্রতিবেদক, জাগো টুডে
শুক্রবার, ৫ জানুয়ারি, ২০২৪
ভোটের মাঠে ঈগল-শকুন কেন?
Share on FacebookShare on Twitter

বলা হচ্ছে ২০২৪ হবে রাজনৈতিক নির্বাচনের বছর। বিশ্বের প্রায় অর্ধেক ভোটার হয়তো তাদের ‘বাছাইয়ের স্বাধীনতা’ দেখাতে পারেন। নানা তর্ক-বিতর্ক নিয়ে বাংলাদেশে দুদিন পর হতে যাচ্ছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। আগামী ১০ জানুয়ারি বিশ্বব্যাপী পালিত হবে ‘ঈগল রক্ষা দিবস’। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তিন দিন পর। কিন্তু নির্বাচনের পর বাংলাদেশ কি এই দিবসটি আয়োজন করতে পারবে? দেশে কি আর কোনো ঈগল জীবিত থাকবে|

রাষ্ট্রীয় আইন ও নীতি লঙ্ঘন করে নির্বাচনী প্রচারণায় নিদারুণ ও নির্দয়ভাবে একের পর এক ব্যবহৃত হচ্ছে জীবন্ত ঈগল। কেবল ঈগল নয়, বিরল শকুনকেও ‘ঈগল’ হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে নির্বাচনী প্রচারণায়। ঈগল ও শকুনসহ নির্বাচনী প্রচারণার এসব ছবি গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারিত হচ্ছে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে জরিমানা করা হচ্ছে। কিন্তু ধরে আনা এসব ঈগল কেমন আছে আমরা কেউ জানি না। কীভাবে কোথা থেকে কারা এসব ঈগল ধরেছে সেসবও অজানা।

কত দিন কত সময় কীভাবে ঈগলদের বন্দি করে রাখা হয়েছিল তাও জানা যায়নি। জোর করে ধরে আনার পর এসব ঈগল পরিবারের ছানা কিংবা বাসার পরিণতি সম্পর্কেও আমরা খোঁজ নিইনি। ধরে আনা ঈগলগুলো কি মা পাখি ছিল? তাদের বাসায় কি ছানা পাখি ছিল? ঈগলরা নির্জন এলাকায় খুব উঁচু গাছে বাসা বানায়। কারা এসব ঈগল ধরে আনল? বন বিভাগ, প্রশাসন, স্থানীয় সরকার কিংবা রাজনৈতিক সংগঠন কেউ জানল না?

এমন নয় যে, দেশে ঈগল নিয়ে একটিমাত্র প্রচারণা হয়েছে। একের পর এক দেশের বহু জায়গায় হয়েছে। প্রথম ঘটনাটি জানবার পর কেন নির্বাচন কমিশন, বন বিভাগ, প্রশাসন কিংবা কর্তৃপক্ষ সোচ্চার হলো না? একটা ঈগলের বাসাকে যারা নিরাপদ রাখতে পারছেন না, একটা ঈগলের জীবনের সুরক্ষা যারা দিতে পারছেন না তারা কীভাবে একটি দেশের ‘জনপ্রতিনিধি’ হতে পারেন? নির্বাচনী প্রচারণায় ঈগলের নির্দয় ব্যবহার আমাদের সামনে বহু অমীমাংসিত প্রশ্নকে হাজির করে। এটি কেবলমাত্র ‘মোটাদাগে’ বন্যপ্রাণীর প্রতি অবিচার কিংবা প্রকৃতি সুরক্ষার ময়দান থেকে পাঠ করবার বিষয় না। এর সঙ্গে জড়িয়ে আছে রাজনৈতিক দর্শন, মূল্যবোধ, দায়িত্বশীলতা এবং সার্বভৌমত্বের প্রশ্ন।

২০০৮ সালে নির্বাচন পরিচালনা বিধিমালায় ১৪১টি প্রতীক সংরক্ষণ করা হয়েছিল। এর ভেতর নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের জন্য ৩৯টি প্রতীক এবং ১০২টি প্রতীক স্বতন্ত্র প্রার্থীর জন্য বরাদ্দ হয়। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দলগুলোর জন্য ৪৪টি এবং স্বতন্ত্র প্রার্থীদের জন্য ২৫টি প্রতীক রাখা হয়েছে বিধিমালায়। স্বতন্ত্র প্রার্থীদের প্রতীকগুলো হচ্ছে খাট, কলারছড়ি, ঘণ্টা, তবলা, তরমুজ, দালান, ফুলকপি, বাঁশি, বেঞ্চ, বেলুন, মাথাল, রকেট, স্যুটকেস, কেটলি, আলমিরা, থালা, ঢেঁকি, চার্জার, লাইট, মোড়া, কাঁচি, ফ্রিজ, সোফা, দোলনা এবং ঈগল। ‘ঈগল’ প্রতীকটি নতুনভাবে যুক্ত হয়েছে, তাই আগের বিধিমালাগুলোতে এই প্রতীকটি নেই।

বিদ্যমান নির্বাচনী প্রতীক নিয়ে বহু তর্কবিতর্ক হতে পারে। সে আলাপ আরেকদিন হবে। কিন্তু ঈগল, বাঘ, সিংহের মতো বন্যপ্রাণীদের নির্বাচনী প্রতীক করবার দরকার কী? আর যদি-বা করাই হলো তাহলে তাদের জীবনের সুরক্ষা কেন নিশ্চিত করতে পারছি না আমরা? বিবিসিতে ‘স্বতন্ত্র প্রার্থীদের মধ্যে ঈগলের জনপ্রিয়তার কারণ কী’ শীর্ষক একটি প্রতিবেদনে দেখা যায়, অধিকাংশ স্বতন্ত্র প্রার্থীই প্রতীক হিসেবে ঈগলকে বেছে নিয়েছেন (সূত্র: ২০/১২/২৩)। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মোট প্রার্থী ১৮৯৫ জন। এর ভেতর স্বতন্ত্র ৩৮২ জন, যাদের বেশিরভাগই ঈগল ও ট্রাক প্রতীক বরাদ্দ পেয়েছেন। এর ভেতর আবার ১৫২ জন ঈগল প্রতীক বরাদ্দ পেয়েছেন। ঈগল বরাদ্দ পাওয়া প্রার্থীদের সবাই যদি একটি করেও জীবিত ঈগল তাদের প্রচারণায় ব্যবহার করা শুরু করেন তবে একটি নির্বাচনের ভেতর দিয়েই দেশ ‘ঈগল-শূন্য’ হতে পারে।

উঁচুতে ওড়া বৃহৎ শিকারি পাখিদের অন্যতম ঈগল। বিশ্বব্যাপী নানা সমাজে ঈগল সামাজিক ও সাংস্কৃতিকভাবে পবিত্র পাখি। বাংলাদেশের নৃ-জনগোষ্ঠীর ভেতর কংওয়াংওয়া গোত্রের গোত্রপ্রতীক ঈগল। ঈগলের বিন্দুমাত্র অনিষ্ট এই সমাজে ভয়াবহ পাপ হিসেবে বিবেচিত। প্রাণ, প্রকৃতি, প্রতিবেশ ও পরিবেশ সুরক্ষা কিংবা সমাজসভ্যতায় ঈগলের অবদান অনস্বীকার্য। জাতিসংঘের টেকসই লক্ষ্যমাত্রা পূরণে (এসডিজি) ঈগলসহ বন্যপ্রাণীরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। পৃথিবীতে প্রায় ৬০ প্রজাতির ঈগল থাকলেও বাংলাদেশসহ বিশ্বে এখন এরা বিপন্ন। ‘বাংলাদেশ বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন ২০১২’ অনুযায়ী ঈগল ধরা, শিকার, ব্যবহার, প্রদর্শন, বিক্রয় আইনত দন্ডনীয় অপরাধ। উল্লিখিত আইনে ধলা লেজ, ধলাপেট সিন্ধু, পালাসি কুরা, মেটে মাথা কুরা, খাটো আঙুল সাপ, তিলা নাগ, বড় গুটি, দেশি গুটি, এশীয় শাহী, নেপালি, তামাটে, বনেনির, লালপেট, বুটপা এবং ঝুঁটিয়াল প্রজাতির ঈগল বাংলাদেশে সংরক্ষিত।

নির্বাচনী প্রচারণায় ঈগলসহ সব জীবিত প্রাণীকে ব্যবহার না করবার জোর দাবি জানাচ্ছে চলতি আলাপ। পাশাপাশি বন্যপ্রাণী আইন ও নির্বাচন বিধিমালা লঙ্ঘন করে নির্বাচনী প্রচারণার নামে ঈগল পাখির জীবন ঝুঁকিপূর্ণ করে তোলার প্রতিটি ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত ও ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা জরুরি। জীবিত ঈগল পাখিকে নির্র্বাচনী প্রচারণায় ব্যবহারের ঘটনাগুলো আবারও জানা যাক:

গাজীপুর-২ আসন (সদর-টঙ্গী) : স্বতন্ত্র প্রার্থী সাইফুল ইসলাম প্রতীক বরাদ্দ পেয়েই নির্বাচনী এলাকায় প্রচারে নামেন। বিশেষ পোশাক পরিহিত জীবন্ত ঈগল নিয়ে সমর্থকদের মধ্যে উপস্থিত হয়ে প্রচারণা চালানোর ছবি ১৮/১২/২৩ তারিখে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারিত হয়। (সূত্র : কালেরকণ্ঠ, ১৮/১২/২৩)। জীবন্ত ঈগল নিয়ে নির্বাচনী প্রচারণার এই ঘটনার কথাই এবার গণমাধ্যমসূত্রে প্রথম সামনে আসে। পরবর্তী সময়ে একের পর এক দেশের নানাপ্রান্তে জীবন্ত ঈগল পাখি নিয়ে নির্বাচনী প্রচারণার খবর পাওয়া যায়।

ময়মনসিংহ-৯ আসন (নান্দাইল) : স্বতন্ত্র প্রার্থী আনোয়ারুল আবেদীন খান তুহিনের নির্বাচনী প্রচারণায় জীবন্ত ঈগল পাখি ব্যবহার হয়েছে। প্রার্থীর সমর্থকরা জীবন্ত ঈগল পাখির ডানা ও পা বেঁধে প্রচারণা চালায়। ২১/১২/২৩ তারিখে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সেইসব প্রচারণার খবর ও ছবি ছড়িয়ে পড়লে এ নিয়ে সমালোচনা হয়। প্রার্থীর সমর্থক ও কর্মী আব্দুল কাদির ঈগল পাখি ধরার বিষয়টি গণমাধ্যমে স্বীকার করেছেন এবং ছেড়ে দেওয়ার কথা জানিয়েছেন। নান্দাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিষয়টিকে ‘আচরণবিধি লঙ্ঘন’ হিসেবে উল্লেখ করেন।

নরসিংদী-৩ আসন (শিবপুর): স্বতন্ত্র প্রার্থী সিরাজুল ইসলাম মোল্লার নির্বাচনী প্রচারণাতেও জীবন্ত ঈগল পাখি ব্যবহৃত হয়েছে। ২৬/১২/২৩ তারিখের একটি উঠান বৈঠকে নির্বাচণী প্রচারণায় প্রার্থীর এক কর্মী একটি জীবিত ঈগল পাখি নিয়ে হাজির হন। সেই পাখির সঙ্গে ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে এবং প্রার্থী নিজে সেই কর্মীকে প্রচারণা থেকে সরিয়ে দেন (সূত্র : বার্তাডটকম, ২৮/১২/২৩)।

চট্টগ্রাম-১৫ আসন (সাতকানিয়া) : স্বতন্ত্রপ্রার্থী আবদুল মোতালেবের নির্বাচনী প্রচারণায় জীবিত ঈগল পাখি ব্যবহারের প্রমাণ পেয়েছে প্রশাসন। প্রার্থীর কার্যালয়ে জীবিত ঈগল পাখি দিয়ে প্রচারণা চালানো হয়। এ ঘটনায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে প্রার্থীর সমর্থক মো. আসাদুজ্জামানকে চার হাজার টাকা জরিমানা করেছে (সূত্র : দৈনিক পূর্বকোণ, ২৭/১২/২৩)।

সুনামগঞ্জ-১ আসন (জামালগঞ্জ-তাহিরপুর-ধর্মপাশা-মধ্যনগর) : স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. সেলিম আহমেদের পক্ষে জীবন্ত ঈগল পাখি নিয়ে নির্বাচনী প্রচারণার অভিযোগ উঠেছে। প্রার্থীর সমর্থক তাহিরপুর উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এবং প্রার্থীর ভাইসহ কর্মীরা জীবন্ত ঈগল পাখি নিয়ে নির্বাচনী প্রচারণা চালায়। ঈগল নিয়ে প্রচারণার ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে সমালোচনা তৈরি হয়। (সূত্র : নয়াশতাব্দী, ২৮/১২/২৩)।

রাজশাহী-৫ আসন (দুর্গাপুর ও পুঠিয়া) : ২৭/১২/২৩ তারিখে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে স্বতন্ত্র প্রার্থী আবদুর রহমানের সমর্থক কবিরুল ইসলামের একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে। সেখানে জীবন্ত ঈগল পাখি নিয়ে অভিযুক্তকে ওবায়দুর রহমানের পক্ষে নির্বাচনী প্রচারণার প্রমাণ পাওয়া যায়। ৩০/১২/২৩ তারিখে আওয়ামী লীগ দলীয় নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট অ্যাডভোকেট আব্দুস সামাদ নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির কাছে লিখিত অভিযোগ করেন। অবশ্য গণমাধ্যমে প্রার্থী ঘটনাটি তার কোনো সমর্থক করেছে কি না তা তার জানা নেই বলে জানান। নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটি অভিযোগের সত্যতা পেয়েছেন। কমিটির চেয়ারম্যান ও যুগ্ম মহানগর দায়রা জজ লুনা ফেরদৌস ৩১/১২/২৩ তারিখে ওবায়দুর রহমানের কাছে নোটিস পাঠিয়ে ব্যাখ্যা চেয়েছেন।

হবিগঞ্জ-২ আসন (বানিয়াচং-আজমিরীগঞ্জ) : হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ের কাগাপাশা ইউনিয়নের মকার হাওরে ২৪/১২/২৩ তারিখে এক অসুস্থ ও অভুক্ত শকুন পাখি পাওয়া যায়। এই শকুন পাখিটি ধরে-বেঁধে ‘ঈগল’ হিসেবে হবিগঞ্জ-২ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী আবদুল মজিদ খানের নির্বাচনী প্রচারণায় ব্যবহৃত হয়। এই স্বতন্ত্র প্রার্থী আসনটির বর্তমান জনপ্রতিনিধিও। ‘শকুন’ নিয়ে নির্বাচনী প্রচারণার এই নিদারুণ ঘটনাটি গণমাধ্যম ও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। নির্বাচনী প্রচারণায় নির্দয়ভাবে শকুনটিকে টেনেহিঁচড়ে ব্যবহার করায় এটি অসুস্থ হয়ে পড়ে। বন বিভাগ দুদিন পর ২৬/১২/২৩ তারিখে শকুনটি উদ্ধার করে। বন বিভাগ গণমাধ্যমকে জানায়, এটি হিমালয় থেকে আসা বিরল প্রজাতির শকুন এবং অভুক্ত ও অসুস্থ। প্রার্থী আবদল মজিদ খান বিষয়টি তার জানা নেই বলে গণমাধ্যমকে জানান। নিজের নির্বাচনী এলাকায় নিজের প্রচারণায় শকুনের নিরাপত্তা না দিতে পারা একজন জনপ্রতিনিধির জন্য অবশ্যই দায়িত্বহীনতার বিষয়। নিরন্তর বন্যপ্রাণী খুন হওয়া এই সময়ে শকুনকে ‘ঈগল’ হিসেবে হাজির করে প্রচারণার এই বিষয়টি নতুন প্রজন্মের বন্যপ্রাণী বিষয়ক অসচেতনতাকেও তুমুলভাবে তুলে ধরে। হয়তো ভবিষ্যতে আমরা চিল, শকুন, ঈগল কোনোটাই আর আলাদাভাবে চিনতে পারব না।

আইনে কী আছে?

নির্বাচনী প্রচারণায় এবারই প্রথম জীবন্ত প্রাণীর ব্যবহার হয়নি। সেসব খবর আমাদের গণমাধ্যমে হয়তো আসেনি কিংবা বন্যপ্রাণীর প্রতি আমরা উদাসীন ছিলাম। ২০২১ সালে গাজীপুরের কালিয়াকৈর পৌরসভা নির্বাচনে ১ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থী সোহেল হোসেন জীবন্ত উটপাখি নিয়ে নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়েছিলেন। এই ঘটনায় পৌরসভা রিটার্নিং কর্মকর্তা আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ এনে পুলিশ প্রশাসনকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন (সূত্র : সমকাল, ২১/১১/২০২১)। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের নির্বাচনী প্রচারণায় জীবন্তু ঈগল পাখি ব্যবহারের ঘটনাগুলোর ক্ষেত্রে দেখা যায়, কিছু ঘটনায় অভিযোগ উত্থাপিত হয়েছে, কিছু ক্ষেত্রে প্রশাসন তৎপর হয়ে মামলা ও জরিমানা করেছে। ‘বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন ২০১২’ অনুযায়ী জীবন্ত ঈগল পাখির এমন ব্যবহার নিষিদ্ধ ও আইনত দন্ডনীয় অপরাধ। ‘সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা ২০০৮’ এর ৯ক ধারাতে উল্লেখ আছে, ‘নির্বাচনী প্রচারণার ক্ষেত্রে প্রতীক হিসাবে জীবন্ত প্রাণী ব্যবহার করা যাইবে না’। যদিও আইনে ‘জীবন্ত প্রাণী’ বলতে প্রাণী এবং উদ্ভিদ উভয়কেই বোঝানো হয়েছে কি না বিষয়টি স্পষ্ট নয়। কারণ নির্বাচনী প্রতীক হিসেবে কেবলমাত্র প্রাণী নয়, উদ্ভিদও আছে। এমনকি জীবন্ত উদ্ভিদ নিয়ে প্রচারণাও একইরকম পরিবেশগত সংকট তৈরি করতে পারে। কেউ জীবন্ত প্রাণী ব্যবহার করলে কী হবে? বিধিমালার ১৮ ধারায় বিধান লঙ্ঘনকে ‘শাস্তিযোগ্য অপরাধ’ হিসেবে গণ্য করা হয়েছে। বিধান লঙ্ঘন করলে অনধিক ৬ মাসের কারাদন্ড অথবা অনধিক ৫০ হাজার টাকা অর্থদন্ড বা উভয়দন্ডে দন্ডিত করার কথা বলা হয়েছে।

Previous Post

মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে তিন নীতির সমন্বয় জরুরি: আতিউর রহমান

Next Post

গাজায় যুদ্ধাপরাধের তদন্তে বাধা দেয়ায় অভিযুক্ত বরিস জনসন

Related Posts

ইরানজুড়ে ইসরায়েলি হামলায় শত শত নিহত
আন্তর্জাতিক

ইরানজুড়ে ইসরায়েলি হামলায় শত শত নিহত

দেশব্যাপী নতুন কর্মসূচি ঘোষণা এনসিপির
নির্বাচিত

দেশব্যাপী নতুন কর্মসূচি ঘোষণা এনসিপির

নেপাল থেকে ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি সিদ্ধান্ত বাতিল
জাতীয়

নেপাল থেকে ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি সিদ্ধান্ত বাতিল

মাঝ আকাশে মিসাইল দেখার ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতা জানালেন বাংলাদেশি পাইলট
জাতীয়

মাঝ আকাশে মিসাইল দেখার ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতা জানালেন বাংলাদেশি পাইলট

ইরানে হামলায় জড়িত জর্ডান-ফ্রান্স-যুক্তরাজ্য-যুক্তরাষ্ট্রকে কঠোর হুঁশিয়ারি
আন্তর্জাতিক

ইরানে হামলায় জড়িত জর্ডান-ফ্রান্স-যুক্তরাজ্য-যুক্তরাষ্ট্রকে কঠোর হুঁশিয়ারি

তারেক-ইউনূস বৈঠক: বিএনপির চোখে ‘ঐতিহাসিক’ মাইলফলক
নির্বাচিত

তারেক-ইউনূস বৈঠক: বিএনপির চোখে ‘ঐতিহাসিক’ মাইলফলক

Next Post
গাজায় যুদ্ধাপরাধের তদন্তে বাধা দেয়ায় অভিযুক্ত বরিস জনসন

গাজায় যুদ্ধাপরাধের তদন্তে বাধা দেয়ায় অভিযুক্ত বরিস জনসন

ADVERTISEMENT

সর্বশেষ সংযোজন

ইরানজুড়ে ইসরায়েলি হামলায় শত শত নিহত
আন্তর্জাতিক

ইরানজুড়ে ইসরায়েলি হামলায় শত শত নিহত

দেশব্যাপী নতুন কর্মসূচি ঘোষণা এনসিপির
নির্বাচিত

দেশব্যাপী নতুন কর্মসূচি ঘোষণা এনসিপির

নেপাল থেকে ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি সিদ্ধান্ত বাতিল
জাতীয়

নেপাল থেকে ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি সিদ্ধান্ত বাতিল

মাঝ আকাশে মিসাইল দেখার ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতা জানালেন বাংলাদেশি পাইলট
জাতীয়

মাঝ আকাশে মিসাইল দেখার ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতা জানালেন বাংলাদেশি পাইলট

ADVERTISEMENT

ট্রেন্ডিং নিউজ

তারেক-ইউনূস বৈঠক: বিএনপির চোখে ‘ঐতিহাসিক’ মাইলফলক
নির্বাচিত

তারেক-ইউনূস বৈঠক: বিএনপির চোখে ‘ঐতিহাসিক’ মাইলফলক

ড. ইউনূস-তারেক রহমানের বৈঠক নিয়ে সন্তুষ্ট উপদেষ্টা পরিষদ
জাতীয়

ড. ইউনূস-তারেক রহমানের বৈঠক নিয়ে সন্তুষ্ট উপদেষ্টা পরিষদ

মাঝ আকাশে মিসাইল দেখার ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতা জানালেন বাংলাদেশি পাইলট
জাতীয়

মাঝ আকাশে মিসাইল দেখার ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতা জানালেন বাংলাদেশি পাইলট

তেল আবিবে ধ্বংসযজ্ঞ: ইরানি ক্ষেপণাস্ত্রে আহত ২০০, নিখোঁজ অনেক
আন্তর্জাতিক

তেল আবিবে ধ্বংসযজ্ঞ: ইরানি ক্ষেপণাস্ত্রে আহত ২০০, নিখোঁজ অনেক

Facebook Twitter Youtube

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন

Categories

  • অর্থনীতি
  • আন্তর্জাতিক
  • ইসলাম ও জীবন
  • জবস
  • জাতীয়
  • টপ স্টোরি
  • নির্বাচিত
  • পাঁচমিশালি
  • প্রযুক্তি
  • বিনোদন
  • ভিডিও
  • রাজনীতি
  • শিক্ষা ও ক্যাম্পাস
  • স্পটলাইট
  • স্পোর্টস
  • স্বাস্থ্য

Site Navigation

  • Home
  • Advertisement
  • Contact Us
  • Privacy & Policy
  • Other Links

উপদেষ্টা সম্পাদক : এম ওয়াশিকুর রহমান | ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ও প্রকাশক: তপন চৌধুরী
স্বত্ব © ২০২০-২০২৩ জাগো টুডে সকল অধিকার সংরক্ষিত।

No Result
View All Result
  • প্রচ্ছদ
  • জাতীয়
  • রাজনীতি
  • পূর্ব-পশ্চিম
  • স্পোর্টস
  • বিনোদন
  • প্রযুক্তি
  • অর্থনীতি
  • স্বাস্থ্য
  • ইসলাম ও জীবন

উপদেষ্টা সম্পাদক : এম ওয়াশিকুর রহমান | ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ও প্রকাশক: তপন চৌধুরী
স্বত্ব © ২০২০-২০২৩ জাগো টুডে সকল অধিকার সংরক্ষিত।