আওয়ামী লীগ সরকার সংবিধানকে ‘এক দল-এক নেতার’ অধীনস্থ শাসন ব্যবস্থার দলিল বানাতে চায় এমন মন্তব্য করে ১২ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতারা বলেছেন, একদলীয় সরকারের অধীনে আগামী ৭ জানুয়ারির নির্বাচনকে চূড়ান্ত বাকশাল কায়েম করার টার্গেট নিয়ে করা হচ্ছে। কারণ নৌকার প্রার্থী আওয়ামী লীগ। ‘ডামি’ প্রার্থী আওয়ামী লীগ। স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামী লীগ। তাহলে গণতান্ত্রিক বা অংশ গ্রহণমূলক বলতে নির্বাচন আয়োজনে কিছুই নাই।
নেতারা বলেন, আগামী নির্বাচনের পর সংবিধানকে করা হবে ‘এক দল এক নেতার’ অধীনস্থ শাসন ব্যবস্থার অংশ! ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন হবে সাংবাদিক নিউজ লিখবে, সরকার দেখবে এবং তারপর পত্রিকা ছাপাবে! শিক্ষা হবে অশ্লীল ও অপসংস্কৃতির শ্বেতপত্র। শ্রমিক আইন হবে রক্তকে পানির সমান মূল্য দিয়ে! বেকারত্ব হবে অভিশাপের জীবনের নিয়মিত সাথী। কৃষক ও কৃষি হবে শোষিত মুনাফা লোভীদের নিয়ন্ত্রিত। সুতরাং আগামীতে বাংলাদেশের নাম হবে বাকশাল।
শুক্রবার দুপুরে মগবাজার মোড়, মধুবাগ রেলগেট, সিদ্ধেশ্বরী কলেজ এলাকায় শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচনের দাবিতে অসহযোগ আন্দোলনের সমর্থনে গণসংযোগ ও প্রচারপত্র বিতরণ কালে নেতারা এসব কথা বলেন।
জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক এমপি নওয়াব আলী আব্বাস খান বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের পদত্যাগ করা ছাড়া আর কোনো রাস্তা নাই। নির্বাচন করলেও শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকতে পারবে না।
১২ দলীয় জোটের প্রধান সমন্বয়ক ও জাগপার সহ-সভাপতি রাশেদ প্রধান বলেন, দেশের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা এখন শূন্যের কোটায়! বাকশালের ব্যবস্থা চূড়ান্ত হওয়ার পথে। তিনি বলেন, এটি জনগণের পকেটের টাকায় আওয়ামী লীগের আনন্দের নির্বাচন। অথচ দেশের অর্থনীতির অবস্থা দেউলিয়া হওয়ার পথে। জনগণ না খেয়ে মারা যাওয়ার অবস্থা। নিশ্চয়ই শেখ হাসিনা সরকার বাংলাদেশকে একটি পঙ্গু রাষ্ট্রে পরিণত করতে চায়।
বাংলাদেশ জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব মাওলানা ড. গোলাম মহিউদ্দিন ইকরাম বলেন, জনগণের বিরুদ্ধে গিয়ে এই সরকার ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারবে না। তাদের পায়ের তলায় মাটি নেই।
বিক্ষোভ মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ বক্তব্য রাখেন, জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) প্রেসিডিয়াম সদস্য নওয়াব আলী আব্বাস খান, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামী বাংলাদেশের মহাসচিব মাওলানা ড.গোলাম মহিউদ্দিন ইকরাম, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি-জাগপার সহ-সভাপতি ও ১২ দলীয় জোটের প্রধান সমন্বয়ক রাশেদ প্রধান, বাংলাদেশ জাতীয় দলের ভাইস চেয়ারম্যান শামসুল আহাদ, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মো. শামসুদ্দীন পারভেজ, ইসলামি ঐক্যজোটের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা শওকত আমিন।
উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশ এলডিপির শফিউল বারী রাজু, জাহাঙ্গীর আলম সানি, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মুফতী নুরুজ্জামান, মুফতী আতাউর রহমান খান, মাওলানা মাহমুদুল হাসান জিহাদী, মাওলানা এম এ কাসেম ইসলামাবাদী, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি-জাগপার অধ্যাপক ইকবাল হোসেন, মনোয়ার হোসেন, মো. সাজু মিয়া, বাংলাদেশ জাতীয় দলের বেলায়েত হোসেন শামীম, আবুল মনসুর, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির লায়ন উমার রাযী,যুব জাগপার নজরুল ইসলাম বাবলু, ছাত্র সমাজের কাজী ফয়েজ আহমেদ, মো. ফাহিম, ছাত্র জমিয়ত বাংলাদেশের নিজাম উদ্দিন আল আদনান, হাফেজ খালেদ মাহমুদ প্রমুখ।