ফিলিস্তিনিদের উপর গত ৭ অক্টোবর থেকে চলছে অনবরত হামলা। আর ইসরাইলের এই গাজা হামলায় ‘অটল’ সমর্থন করছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। হামলা শুরুর পর বিভিন্ন সময় দেশে দেশে গাজায় যুদ্ধবিরতি চেয়ে বিক্ষোভ হলেও বাইডেন তার নিজ অবস্থানে অনঢ় ছিলেন। তবে শুরুতে বাইডেন যুদ্ধবিরতিতে সমর্থন না দিলেও গত ২৪ নভেম্বর থেকে অঞ্চলটিতে চারদিনের যুদ্ধবিরতি শুরু হয়। পরবর্তীসময়ে সেই যুদ্ধবিরতির মেয়াদ দুইদিন বাড়ানো হয়। কিন্তু প্রথমদিকে যুদ্ধবিরতিতে সমর্থন না করা আর ইসরাইলি হামলায় সায় দেওয়ায় বাইডেনের নিজ দল ড্রেমোক্র্যাটের ভিত্তিতে ভাঙন ধরেছে। যুদ্ধবিরতির মেয়াদ শেষ হবার পরপরই গাজায় আবার যুদ্ধে বর্তমান প্রেসিডেন্টকেই দূষছেন ডেমোক্র্যাট দলের সদস্যরা।
যুক্তরাষ্ট্রের বেশিরভাগ জনগণের অবস্থানই গাজায় যুদ্ধবিরতির পক্ষে। এই যুদ্ধে বাইডেনের ভিন্ন মতামতের মূলত নিজ দলের সদস্যদেরই বিরোধিতা। আর এই বিভেদ স্পষ্ট হয়ে উঠেছে গত মাসে। সেসময় প্রকাশিত রয়টার্স এবং গবেষণা ও কনসাল্টিং ফার্ম ইপসোসের যৌথ সমীক্ষায় বলা হয়েছিল, যুক্তরাষ্ট্রের ৬৮ শতাংশ জনগণই গাজায় যুদ্ধবিরতি চায়। আর শুধুমাত্র ডেমোক্র্যাটদের মধ্যে এই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭৭ শতাংশ। গত মাসেই যুক্তরাষ্ট্রের অঙ্গরাজ্য ওয়াশিংটন ডিসিতে ডেমোক্যাটিক ন্যাশনাল কমিটির সদর দফতরের বাইরে যুদ্ধবিরতি চেয়ে বিক্ষোভ সংগঠিত হয়েছিল। এই বিক্ষোভকে ডেমোক্র্যাটিক কংগ্রেসম্যান ব্র্যাড শেরম্যান বিক্ষোভকারীদের ‘সন্ত্রাসপন্থী’ বলে অভিহিত করেছিলেন। চলতি বছরের অক্টোবরে একটি থিঙ্ক ট্যাঙ্ক প্রতিষ্ঠান আরব আমেরিকান ইনস্টিটিউটের এক জরিপ অনুযায়ী, বাইডেনের জন্য আরব আমেরিকান সমর্থন ৪২ শতাংশ কমে গেছে। যা বাইডেনের শাসনামলের ইতিহাসে সর্বনিম্ন।