ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় আটক সব জিম্মিকে মুক্তি ও যুদ্ধ শেষ করার জন্য তাৎক্ষণিক আলোচনার নির্দেশ দিয়েছেন ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। তবে একইসঙ্গে তিনি গাজা শহর দখলের পরিকল্পনারও অনুমোদন করেছেন। তবে তার এই দুটি সিদ্ধান্ত একে অন্যের সঙ্গে সাংঘর্ষিক।
সেনাবাহিনীর গাজা বিভাগ পরিদর্শনকালে ইসরাইলি চ্যানেল ১২-এ সম্প্রচারিত এক বিবৃতিতে নেতানিয়াহু বলেন, ‘আমি গাজা শহরের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার এবং হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়ার সেনাবাহিনীর পরিকল্পনা অনুমোদন করতে এসেছি। তিনি বলেন, ‘একইসঙ্গে আমি আমাদের সব জিম্মিকে মুক্তি দেওয়ার এবং ইসরাইলের কাছে গ্রহণযোগ্য শর্তে যুদ্ধ শেষ করার জন্য তাৎক্ষণিক আলোচনার নির্দেশ দিয়েছি।’ইসরাইলের ধারণা, হামাসের হাতে এখনও ৫০ জন জিম্মি আটক রয়েছে, যাদের মধ্যে ২০ জন জীবিত।
নেতানিয়াহু বলেন, ‘আমরা একটি চূড়ান্ত পর্যায়ে আছি, এবং এই গুরুত্বপূর্ণ অভিযানের জন্য রিজার্ভ সৈন্য এবং নিয়মিত সেনাবাহিনীর প্রতিক্রিয়ার জন্য আমি গভীরভাবে কৃতজ্ঞ।’তিনি বলেন, ‘হামাসকে পরাজিত এবং সমস্ত বন্দিকে মুক্তি— এই দুটোই একইসঙ্গে এগিয়ে যেতে হবে।’হামাস মিশরীয়-কাতারি প্রস্তাব গ্রহণের ঘোষণা করার পর নেতানিয়াহু প্রথমবারের মতো সরাসরি কোনও সম্ভাব্য বিনিময় চুক্তির কথা বললেন।
ইসরাইলি গণমাধ্যম জানিয়েছে, পরিকল্পনায় গাজায় মানবিক সহায়তা প্রবেশের অনুমতি দেওয়ার জন্য সীমান্তের কাছাকাছি এলাকায় ইসরাইলি সৈন্যদের পুনঃস্থাপন এবং ৬০ দিনের যুদ্ধবিরতি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।এর আগে বুধবার ইসরাইলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরাইল কাটজ গাজা শহর দখলের পরিকল্পনাও অনুমোদন করেছেন। এরপরই বৃহস্পতিবার উপত্যকাটিতে অভিযান শুরু করেছে দখলদার বাহিনী। পরিকল্পনা অনুসারে, প্রায় ১০ লাখ ফিলিস্তিনিকে প্রথমে দক্ষিণে বাস্তুচ্যুত করা হবে। অন্যদিকে ব্যাপক হামলা চালিয়ে শহরটিকে অবরোধ করা হবে এবং তারপর দখল করা হবে।