প্রধান উপদেষ্টার ডেপুটি প্রেস সচিব আজাদ মজুমদার বলেছেন, সরকারি দপ্তরে রাষ্ট্রপতির প্রতিকৃতি ব্যবহার শুরুর পর থেকেই অন্তর্বর্তী সরকার বিষয়টিকে নিরুৎসাহিত করে আসছে। তবে কোনো দপ্তর বা মিশনকে রাষ্ট্রপতির ছবি সরিয়ে ফেলতে লিখিত নির্দেশনা দেওয়া হয়নি বলে তিনি স্পষ্ট করেছেন।
গতকাল রবিবার (১৭ আগস্ট) রাতে ফেসবুকে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে তিনি লিখেন, শুরু থেকেই অন্তর্বর্তী সরকার ‘জিরো পোট্রেট’ নীতি অলিখিতভাবে মেনে চলেছে। তবু কিছু দপ্তর নিজ উদ্যোগে সরকার বা রাষ্ট্রপতির ছবি ব্যবহার করেছে। সেগুলো সরানোর বিষয়ে কোনো লিখিত নির্দেশনা নেই।তিনি আরও বলেন, আজ এ বিষয়ে অপ্রয়োজনীয় উত্তেজনা তৈরি করা হয়েছে। নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার পর রাজনৈতিক ইস্যু কমে আসছে। তাই কাটতি ধরে রাখতে ছোটখাটো বিষয়গুলোও বড় করে তোলা হচ্ছে।
এদিকে, বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশি দূতাবাস ও কনস্যুলেট অফিস থেকে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের ছবি সরানোর মৌখিক নির্দেশ দিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। শনিবার (১৬ আগস্ট) মধ্যরাত থেকেই এ নিয়ে আলোচনা চলছে, যদিও আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো বিবৃতি দেওয়া হয়নি।
মৌখিক নির্দেশনার ভিত্তিতে বিভিন্ন দূতাবাস ও কূটনৈতিক মিশন থেকে রাষ্ট্রপতির ছবি নামানো হয়েছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের নির্দেশনা অনুযায়ী এ সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হয়েছে। তবে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ এ বিষয়ে কোনো লিখিত নির্দেশনা দেয়নি।