ঘুষকাণ্ডে ভারতীয় ধনকুবের গৌতম আদানি ও তার ভাতিজা সাগর আদানির বিরুদ্ধে সমন জারি করেছে মার্কিন সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন- এসইসি। বৃহস্পতিবার আহমেদাবাদে আদানিদের নিজ বাসভবনে নোটিশ পাঠায় নিউইয়র্কের আদালত। ২১ দিনের মধ্যে সমনের জবাব দিতে হবে তাদের।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, ঘুষের অভিযোগ এনে বুধবার গৌতম আদানি ও তার ভাতিজা সাগর আদানির বিরুদ্ধে মামলা করেছে সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন। মামলায় বলা হয়েছে, আদানি গ্রুপকে ৭৫০ মিলিয়ন ডলার ঘুষ দেয়ার সঙ্গে তারা জড়িত ছিলেন। এটি কোম্পানির ঘুষবিরোধী নীতি ও আইন পরিপন্থি।
এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, লাভজনক সৌর বিদ্যুতের চুক্তি সুরক্ষায় ভারতীয় কর্মকর্তাদের ২৬৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ঘুষ দেয়ার অভিযোগে তাদের অবস্থান ব্যাখ্যা করার জন্য তলব করা হয়েছে। এর আগে আদানি ও তার ভাতিজা আদানির বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়।
নিউইয়র্কের ইস্টার্ন ডিসট্রিক্ট ফেডারেল কোর্ট থেকে গত বুধবার সমন জারির দিন থেকে ২১ দিনের মধ্যে আদানিদের জবাব দিতে হবে। এসইসি তাদের আবেদনে আদানি গ্রুপের তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের আর্থিক জরিমানা ও তাঁদের ওপর নিষেধাজ্ঞা চেয়েছে।
এ ব্যাপারে মন্তব্য চেয়ে আদানি গ্রুপের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলো রয়টার্স। কিন্তু আদানি গ্রুপের কোনো প্রতিনিধি এই ব্যাপার নিয়ে কোন ধরনের মন্তব্য করতে রাজি হননি। তবে এর আগে এক বিবৃতিতে আদানি গ্রুপ এসব অভিযোগকে ‘ভিত্তিহীন’ বলে উল্লেখ করেছে।
রয়টার্স জানিয়েছে, আদানি ও তার ভাতিজা সাগরসহ সাতজনের বিরুদ্ধে ২৬৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ঘুষ দেয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে। আদানি গ্রিন এনার্জি লিমিটেডের একজন পরিচালকও আছেন এর মধ্যে। মামলার নথি থেকে জানা গেছে, কথিত ঘুষের ঘটনাগুলো ২০২০ সাল থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে ঘটেছে।
এদিকে, টাইমস অফ ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে দাবি করেছে, ১৯৬৫ সালের হ্যাগ কনভেনশন এবং ভারত-যুক্তরাষ্ট্র পারস্পরিক আইনি সহায়তা চুক্তির ফলেই আদানিকে এভাবে হুট করে তলবের নোটিশ পাঠাতে পারে না মার্কিন প্রশাসন। বিদেশি কোনও নাগরিককে এভাবে তলবের নোটিশ পাঠানোর এখতিয়ার নেই সিকিউরিটি ও এক্সচেঞ্জ কমিশনের। আমেরিকায় ভারতীয় দূতাবাসের মাধ্যমে এই তলবের নোটিশ পাঠাতে হত মার্কিন শেয়ার বাজার নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষকে।