বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) একাদশ আসরের প্লেয়ার্স ড্রাফট অনুষ্ঠিত হয়ে গেল। যেখানে ১৬ জন বিদেশি ক্রিকেটার ও ৬২ দেশি ক্রিকেটারকে দলে ভিড়িয়েছে সাতটি ফ্র্যাঞ্চাইজি। তবে দেশি ক্রিকেটারদের মধ্যে থেকে জাতীয় দলের দুজন দলই পাননি। উপেক্ষিত থেকেছেন আরো কয়েকজন।‘সি’ ক্যাটাগরিতে থাকা মুমিনুল হক ও মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত কোনো দল পাননি। এ নিয়ে টানা দুই আসরেই ড্রাফটে অবিক্রিত থেকে গেলেন মুমিনুল। এর আগের আসরেও ড্রাফট থেকে দল না পাওয়ায় আসরের মাঝপথে তাকে স্কোয়াডে যুক্ত করেছিল রংপুর রাইডার্স। তবে মাঠে নেমেছিল মাত্র একটি ম্যাচে।
প্রথমবার ড্রাফটে দল পেলেন না মোসাদ্দেক হোসেনও। সর্বশেষ আসরে তিনি খেলেছেন দুর্দান্ত ঢাকার হয়ে। গত আসরে ৯ ম্যাচ খেলে মাত্র ৯১ রান এবং ৩টি উইকেট পেয়েছিলেন তিনি।তবে দীর্ঘ অপেক্ষার পর বিপিএল দল পেয়েছেন রিশাদ হোসেন।বিপিএলে নিয়মিত পারফর্ম করলেও আগ্রাসী ব্যাটার সৈকত আলি থেকেছেন উপেক্ষিত। কেউ আগ্রহ দেখায়নি তার ব্যাপারে। গতবারের চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের অধিনায়ক শুভাগত হোমও থেকেছেন অবিক্রিত। দল পাননি বাঁহাতি স্পিনার নাজমুল ইসলাম অপু, বাঁহাতি ব্যাটার ফজলে মাহমুদ রাব্বি।
‘এ’–ক্যাটাগরিতে থাকা রিশাদ সর্বশেষ দল পাওয়া খেলোয়াড়। এর আগে ক্যাটাগরি ‘বি’–এর সব খেলোয়াড়ও দল পেয়ে গিয়েছিলেন। ৬০ লাখ টাকা দামের রিশাদ দল পেয়েছেন চতুর্থ সেটের প্রথম রাউন্ডে, অর্থ্যাৎ, প্লেয়ার্স ড্রাফটে স্থানীয়দের মধ্যে ৪৩ নম্বরে। কিছুটা অবাক করে দিয়ে দল পেয়ে গেছেন মার্শাল আইয়ুবও।যারা দল পাননি তাদের সুযোগ শেষ হয়ে যায়নি। ড্রাফটের বাইরে থেকে চাইলে কোন দল তাদের দলে নিতে পারবে। সেক্ষেত্রে পারিশ্রমিকের অঙ্ক ঠিক হবে দুই পক্ষের আলোচনার ভিত্তিতে।বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ জানিয়েছেন আগামী ২৭ ডিসেম্বর শুরু হবে বিপিএলের একাদশ আসর।