গত শনিবার ৫ অক্টোবর রাতে, ইরান এবং ইস্রায়েলে একটি মাঝারি তীব্রতার ভূমিকম্প হয়েছে। আশ্চর্যজনকভাবে, উভয় দেশের ভূমিকম্পের সময়ের মধ্যে সামান্য পার্থক্য ছিল। এই অবস্থায়, এটি ধারণা করা হচ্ছে যে ইরান পারমাণবিক পরীক্ষা সম্পন্ন করেছে কিনা। ভূমিকম্পটি ইরানের সেমনান প্রদেশের আরাদান শহরে ঘটেছে। এর তীব্রতা ছিল রিখটার স্কেলে ৪.৫। ইরান এবং ইস্রায়েলের মধ্যে চলমান সংঘাতের মধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় এই দুই দেশে ভূমিকম্পকে ইরানের পারমাণবিক পরীক্ষার সঙ্গে যুক্ত করতে শুরু করেছে। অনেক রিপোর্টে দাবী করা হয়েছে যে এটি ভূমিকম্প ছিল না, বরং ইরান ভূমির নিচে পারমাণবিক পরীক্ষা করেছে, যার ফলে উভয় দেশে কম্পন অনুভূত হয়েছে।
একটি রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে যে, ভূমিকম্পটি ইরানের পারমাণবিক কেন্দ্রের খুব কাছাকাছি ঘটেছে, তাই ইরানের পারমাণবিক পরীক্ষা ছিল বলে অনেকেই জোর দাবী তুলেছে। আরেকটি রিপোর্টে বলা হয়েছে যে ইরানে ভূমিকম্পটি একটি ভূগর্ভস্থ পারমাণবিক পরীক্ষার ফলেও হতে পারে, কারণ এর কেন্দ্র মাত্র ১০ কিলোমিটার গভীরে ছিল। এভাবে, ইরানের পারমাণবিক পরীক্ষার বিষয়ে জল্পনা আরও বেড়েছে। বিভিন্ন উত্তেজনার মধ্যে ইরান এবং ইস্রায়েলে ভূমিকম্পগুলি ঘটেছে। ভূমিকম্পটি স্থানীয় সময় রাত ১০:৪৫ মিনিটের দিকে ঘটে এবং এর কেন্দ্রে মাত্র ১০ কিলোমিটার গভীরে ছিল।
ইউএস জিওলজিক্যাল সার্ভের রিপোর্ট অনুযায়ী, তেহরানে, যা ভূমিকম্পের কেন্দ্র থেকে ১১০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত সেখানেও কম্পন অনুভূত হয়েছিল। কিছু মিনিট পর, ইস্রায়েল থেকে একটি ভূমিকম্পের খবর পাওয়া যায়। ইউরোপীয় ভূমধ্যসাগরীয় ভূমিকম্প কেন্দ্রের রিপোর্ট অনুযায়ী, এই ভূমিকম্পটি মধ্যরাতের কাছাকাছি ঘটেছিল। এটি যদি সত্যি হয়, তবে তা আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে ব্যাপক প্রভাব ফেলতে পারে। ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রসহ অনেক দেশের নিরাপত্তা ও কৌশলগত অবস্থানকে নতুন করে ভাবতে হতে পারে। তবে, নিশ্চিত তথ্য ছাড়া কিছু বলা কঠিন। এর পেছনে রাজনৈতিক এবং সামরিক নানা কারণ থাকতে পারে। এর ফলে, বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্যে কৌশলগত স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তা সম্পর্কে নতুন চ্যালেঞ্জ আসতে পারে। হিজবুল্লাহ নেতা হাসান নাসরাল্লা এবং হামাস নেতা ইসলাম হানিয়েহকে হত্যা করার পর, ইরান ১ অক্টোবর ইস্রায়েলের উপর প্রায় ৪০০টি মিসাইল বর্ষণ করে।