হিজবুল্লাহ স্থল যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত, আমরা দীর্ঘ যুদ্ধেও বিজয়ী হবো ইনশাআল্লাহ: উপ-প্রধান কাশেমের হুঙ্কার। ইসরাইলের স্থল হামলা মোকাবেলায় জোরালো প্রস্তুতির ঘোষণা দিয়েছেন হিজবুল্লাহর উপ-প্রধান নাইম কাসেম। দলটির প্রধান শহীদ হাসান নাসরুল্লাহর নিহত হওয়ার পর দেয়া প্রথম ভাষণে এই ঘোষণা দেন তিনি।
বক্তৃতায় তিনি ২০০৬ সালের ইসরায়েল-হিজবুল্লাহ যুদ্ধের কথা উল্লেখ করে বলেন, আমরা ২০০৬ সালের মতোই বিজয়ী হবো ইনশাআল্লাহ্। তিনি অভিযোগ করে বলেন, ইসরায়েল যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থনে ফিলিস্তিনি বেসামরিক নাগরিকদের ওপর গণহত্যা চালাচ্ছে। হিজবুল্লাহর সামরিক সক্ষমতার বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে কাসেম জানান, গোষ্ঠীটি ইসরায়েলের অভ্যন্তরে ১৫০ কিলোমিটার গভীরে লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালিয়েছে। তিনি উল্লেখ করেন, হিজবুল্লাহর সামরিক কার্যক্রম আগের মতোই চালু রয়েছে এবং প্রয়াত প্রধান হাসান নাসরাল্লাহর শাহাদাতের পরও এই তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে।
ইসরায়েলের সম্ভাব্য স্থল অভিযান সম্পর্কে তিনি বলেন, হিজবুল্লাহ যে কোনো স্থল অভিযান মোকাবিলায় প্রস্তুত। দীর্ঘ যুদ্ধের জন্যও মানসিকভাবে তারা প্রস্তুত। নতুন নেতৃত্ব প্রসঙ্গে কাসেম বলেন, আমরা শিগগির নতুন নেতা নির্বাচন করবো। গোষ্ঠীটির মূল লক্ষ্য সম্পর্কে হিজবুল্লাহর উপপ্রধান বলেন, গাজার প্রতি সমর্থন এবং লেবাননের সুরক্ষা অব্যাহত থাকবে। এদিকে, গুরুতর আঘাত সত্ত্বেও কাঠামো অক্ষত আছে হিজবুল্লাহর। দলটির উপ-প্রধান নাইম কাসেম ভাষণে এমন মন্তব্য করেছেন। আল জাজিরা জানিয়েছে, নাইম কাসেম এক ভাষণে বলেছেন, হিজবুল্লাহ প্রধান শহীদ হওয়ায় আমরা কঠিন পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছি।
তবে দলের কাঠামো এখনো অক্ষত আছে। তিনি আরো বলেন, হিজবুল্লাহ এখনো শহীদ হাসান নাসরাল্লাহর স্থলাভিষিক্ত নিয়োগ দেয়নি। তবে একটি প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে নিয়োগ দেয়া হবে। শহীদ হাসান নাসরাল্লাহর প্রতি হিজবুল্লাহ সমর্থকদের অনেক আশা ছিল। আমরা এই শহরের রাস্তায় এবং বৈরুতের দক্ষিণ শহরতলিতে ছিলাম এবং লোকেরাও উদ্বিগ্ন। তারা মনে করে যে হিজবুল্লাহ তাদের রক্ষা করছিল। তিনি জনগণকে আশ্বস্ত করার চেষ্টা করছিলেন যে হিজবুল্লাহর এখনো যুদ্ধ করার সামরিক সক্ষমতা রয়েছে। ইসরাইলের কাছে তারা হার মানতে প্রস্তুত নয়। সূত্র : আল জাজিরা