হিজবুল্লাহ শনিবার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, মাত্র কয়েক মিনিটের মধ্যে ১০০টিরও বেশি শহর, গ্রাম এবং বসতিতে জোরদার হামলা চালানো হয়েছে, সাইরেনের শব্দ শোনা গেছে এবং এক মিলিয়নেরও বেশি ইসরাইলি বসতি স্থাপনকারী সারা রাত আশ্রয়কেন্দ্র বা সুরক্ষিত কক্ষে কাটিয়েছেন। সংগঠনটি আরও জানিয়েছে যে, ইসরাইলের রামাত ডেভিড বিমানঘাঁটি এবং বিমানবন্দরে ডজন ডজন ফাদি-৩ রকেট নিক্ষেপ করেছে হিজবুল্লাহ।
এছাড়া পশ্চিমে আল-জালিল অঞ্চলের কাবরি বসতিতে ফাদি-১ রকেট হামলা চালানো হয়েছে। দক্ষিণ লেবাননে আল মায়াদিনের সংবাদদাতা নিশ্চিত করেছেন যে, লেবানন থেকে দখলকৃত উত্তর ফিলিস্তিনের দিকে কয়েক ডজন রকেট ছোড়া হয়েছে এবং উত্তরের বিভিন্ন বসতিতে সাইরেন বেজে উঠেছে।
ইসরাইলি সংবাদ মাধ্যমও জানিয়েছে যে, হাইফার উত্তর-পূর্বাংশের বিভিন্ন বসতিতে সাইরেনের বেজে উঠেছে এবং পূর্ব, পশ্চিম ও মধ্য আল-জালিলের অধিকাংশ এলাকাতেই সাইরেনের শব্দ শোনা গেছে। ইসরাইলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, তারা লেবাননের দিক থেকে আল-জালিল অঞ্চলে ৭০টি রকেট নিক্ষেপ শনাক্ত করেছে এবং সেগুলো প্রতিহত করতে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে। দখলকৃত ফিলিস্তিনে অবস্থানরত আল মায়াদিনের সংবাদদাতা উল্লেখ করেছেন, ইসরায়েলি কেন্দ্রীয় অঞ্চলে ভয়াবহ বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে।
অপরদিকে, তেল আবিবে দফায় দফায় বিস্ফোরণের শব্দ পাওয়া গেছে। এর আগে লেবাননের রাজধানী বৈরুতে বেশ কয়েকটি আবাসিক ভবনে দফায় দফায় হামলা চালায় ইসরায়েলি বাহিনী। রাজধানীর দক্ষিণাঞ্চলে এই নজিরবিহীন হামলায় হতাহতদের মধ্যে শিশুও রয়েছে। খবর আল জাজিরার। লেবাননের হামলার পরই পাল্টা হামলা হিসেবে তেল আবিবের বিভিন্ন স্থানে দফায় দফায় হামলা চালানো হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। হিজবুল্লাহর বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এ হামলাগুলো গাজায় অবস্থানরত সাহসী ফিলিস্তিনি জনগণের প্রতি সমর্থনের অংশ হিসেবে এবং লেবাননের শহর, গ্রাম ও বেসামরিক নাগরিকদের ওপর ইসরাইলের বর্বর আক্রমণের প্রতিশোধে পরিচালিত হয়েছে।
এদিকে, ইয়েমেনের সামরিক বাহিনী লোহিত সাগরে মার্কিন যুদ্ধজাহাজের ওপর এ যাবতকালের সবচেয়ে বড় হামলা চালিয়েছে। গতকালের এই হামলায় (শুক্রবার) ইয়েমেনি সশস্ত্র বাহিনীর নৌ, বিমান প্রতিরক্ষা এবং ক্ষেপণাস্ত্র ইউনিট জড়িত ছিল। ইয়েমেনি সেনারা কামিকাজে ড্রোনের পাশাপাশি ২৩টি ব্যালিস্টিক এবং উইঙ্গ্ড ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে হামলা ইয়েমেনের সেনা মুখপাত্র বলেন, ইসরাইল-বিরোধী সামুদ্রিক অভিযান শুরুর পর গতকালের ক্ষেপণাস্ত্র হামলাটি সবচেয়ে বড়।