দেশ বর্তমানে তীব্র অর্থনৈতিক সংকটের মুখোমুখি বলে মন্তব্য করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ। তিনি বলেন, গত ১৬ বছরে দেশ থেকে ১১ লক্ষ কোটি টাকা পাচার করা হয়েছে।
বুধবার সকাল ১১টার দিকে বান্দরবান আদিবাসী সংস্কৃতি ইনস্টিটিউটের হলরুমে আয়োজিত এক ছাত্র-নাগরিক মতবিনিময় সভায় বান্দরবানের ছাত্রসমাজকে উদ্দেশ্য করে তিনি এসব কথা বলেন।
হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, চাঁদাবাজি, সন্ত্রাস, ঘুষ, দুর্নীতি, নিয়োগ বাণিজ্য এবং টেন্ডারবাজি নির্মূলে ছাত্রদের নেতৃত্বস্থানীয় ভূমিকা পালন করতে হবে। যারা রাজনৈতিকভাবে লাভবান হওয়ার জন্য চাঁদাবাজি ও টেন্ডারবাজি করে তাদের ছাত্রসমাজকে বর্জন করতে হবে এবং যেভাবে পূর্ববর্তী ফ্যাসিবাদী সরকারগুলোকে উৎখাত করা হয়েছিল, তাদেরকেও দেশ থেকে বিতাড়িত করতে হবে।
অপকর্ম বন্ধ করতে প্রশাসনের পাশাপাশি ছাত্রদের কাজ করতে হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘প্রশাসন যদি ক্ষমতাভিত্তিক না হয়ে জনগণমুখী হয়, তাহলে হারুন ও বেনজিরের মতো ব্যক্তিদের দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে হবে না।’
বিভিন্ন আন্দোলনে ছাত্রদের ভূমিকার কথা স্মরণ করে তিনি ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ, ১৯৯০ সালের স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন এবং সাম্প্রতিককালে ২০২৪ সালে ফ্যাসিবাদী শেখ হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে সংগ্রামে ছাত্রদের গুরুত্বপূর্ণ অংশগ্রহণ তুলে ধরেন।
তিনি ছাত্রদের আহ্বান জানান, স্বৈরাচার উৎখাত আন্দোলনের সময় যেভাবে ঐক্যবদ্ধ ছিলেন, রাষ্ট্র গঠনের পরেও ঠিক সেভাবে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।
‘ঐক্যমতের ভিত্তিতে স্বাধীনতা রক্ষা করতে হবে,’ তিনি আরও বলেন।
হাসনাত আব্দুল্লাহ অতীতের স্বৈরাচারী সরকারগুলোর সমালোচনা করে বলেন যে, তারা বিচার বিভাগ, আইন ব্যবস্থা এবং নির্বাচন কমিশনের মতো সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে দুর্বল করে জনগণের আস্থা ক্ষুণ্ণ করেছে।
‘এই প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতি জনগণের আস্থা ফিরিয়ে আনা এবং রাষ্ট্রকে পুনর্গঠন না করা পর্যন্ত আমাদের সংগ্রাম অব্যাহত থাকবে,’ তিনি বলেন।
সচিবালয়ে ডিসি নিয়োগ নিয়ে সাম্প্রতিক এক অপ্রত্যাশিত ঘটনার উল্লেখ করে হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, আবু সাইদ, মুগ্ধ এবং হৃদয় ফ্যাসিবাদী শাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছিলেন এবং এর জন্য তাদের জীবন উৎসর্গ করেছেন।