ADVERTISEMENT
Jago Today
No Result
View All Result
বুধবার, জুন ১৮, ২০২৫
  • প্রচ্ছদ
  • জাতীয়
  • রাজনীতি
  • পূর্ব-পশ্চিম
  • স্পোর্টস
  • বিনোদন
  • প্রযুক্তি
  • অর্থনীতি
  • স্বাস্থ্য
  • ইসলাম ও জীবন
Subscribe
Jago Today
  • প্রচ্ছদ
  • জাতীয়
  • রাজনীতি
  • পূর্ব-পশ্চিম
  • স্পোর্টস
  • বিনোদন
  • প্রযুক্তি
  • অর্থনীতি
  • স্বাস্থ্য
  • ইসলাম ও জীবন
No Result
View All Result
Jago Today
No Result
View All Result

শেখ হাসিনা যেভাবে ভারতের জন্য ‘বিষফোঁড়া’ হলেন?

by নিজস্ব প্রতিবেদক, জাগো টুডে
বৃহস্পতিবার, ৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
শেখ হাসিনা যেভাবে ভারতের জন্য ‘বিষফোঁড়া’ হলেন?
Share on FacebookShare on Twitter

হাসিনা সরকারের পতনের ১৫ দিন আগে বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্ট বিতর্কিত কোটা পদ্ধতি বাতিল করে। এই ঘটনার পরদিন, দিল্লির জাতীয় দৈনিক ‘টাইমস অব ইন্ডিয়া’র সম্পাদকীয় শিরোনাম ছিল ‘ঢাকায় অশান্তি’।

সম্পাদকীয়তে উল্লেখ করা হয়েছিল, কোটাবিরোধী আন্দোলনের সহিংসতা আওয়ামী লীগের স্বৈরাচারী রাজনীতির একটি চিহ্ন। ভারতের জন্য এখন হাসিনা পরবর্তী পরিস্থিতি নিয়ে ভাবার সময় এসেছে। গত দেড় দশক ধরে ভারতের বাংলাদেশ নীতি ও শেখ হাসিনার সম্পর্ক প্রায় অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত ছিল। তবে তখন দিল্লির শীর্ষ দৈনিকের এমন পরামর্শ প্রায় অকল্পনীয় ছিল। সম্পাদকীয় প্রকাশিত হওয়ার দুই সপ্তাহের মধ্যে ঢাকায় নাটকীয় পরিবর্তনের ফলে ভারত এখন হাসিনা-পরবর্তী বাংলাদেশে কিভাবে পদক্ষেপ নেবে তা ভাবতে বাধ্য হচ্ছে। শেখ হাসিনার দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকার সম্ভাবনা থাকলেও, সেই দিন এত তাড়াতাড়ি আসবে বলে ভারত আশা করেনি।

টাইমস অব ইন্ডিয়ার সম্পাদকীয় থেকে কিছু উদ্ধৃত করে বলা যায়, বর্তমান বাংলাদেশ গণতন্ত্রের মৌলিক চেক-বক্সগুলো পূরণে ব্যর্থ হয়েছে—যেমন কার্যকর বিরোধী পক্ষ, সুষ্ঠু নির্বাচন, এবং নিরপেক্ষ বিচার ব্যবস্থা। আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে বাড়তে থাকা জনরোষ ভারতের জন্য একটি নিরাপত্তাজনিত চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে। ভারতের আশঙ্কা, আওয়ামী লীগ ক্ষমতা হারালে, এর স্থানে একটি পাকিস্তান সমর্থিত সরকার আসতে পারে, যা তারা মোটেই কামনা করে না। তাই ভারতকে এখনই কৌশল পরিবর্তন করতে হবে এবং বাংলাদেশের বিভিন্ন সামাজিক শ্রেণির কাছে তাদের উপস্থিতি প্রতিষ্ঠিত করতে হবে।

ভারতের শীর্ষ কর্মকর্তারা এখন স্বীকার করছেন যে, ওই সতর্কবার্তা অনেকটা ভবিষ্যদ্বাণীর মতো মনে হলেও, সম্পাদকীয়তে বলা প্রায় প্রতিটি বিষয় এখন বাস্তবে ঘটছে। এ পরিস্থিতিতে ভারত দ্রুত নতুন অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপনের চেষ্টা করছে। দিল্লি এখন বোঝার চেষ্টা করছে, সেই সরকারের কোন সদস্যদের প্রভাব বেশি এবং তারা আদৌ সেই ব্যক্তি বা গোষ্ঠীকে চিনে কিনা। অপরদিকে, আওয়ামী লীগের ভবিষ্যৎ নিয়ে অন্ধকারের কারণে ভারত বিকল্প রাজনৈতিক শক্তির সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপনের বিষয়েও ভাবতে বাধ্য হচ্ছে।

বাংলাদেশে ক্ষমতার পরিবর্তনের পর জামায়াত বা হেফাজতে ইসলামের মতো ইসলামী শক্তিগুলোর প্রভাব ভারতের উদ্বেগের কারণ হয়ে উঠেছে। এছাড়া, গত কয়েক বছরে ভারতের বিভিন্ন সংস্থা বাংলাদেশে বিপুল পরিমাণ অর্থ বিনিয়োগ করেছে। এই সংকট মুহূর্তে সেই বিনিয়োগ কীভাবে রক্ষা করা সম্ভব, সেটাও ভারতের একটি বড় উদ্বেগ। অনেক প্রকল্প বর্তমানে থমকে আছে এবং ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনা গত এক মাস ধরে ভারতের মাটিতে অবস্থান করছেন। ভারতীয় কর্মকর্তারা স্বীকার করছেন যে, বিভিন্ন কারণে তারা শেখ হাসিনাকে কিভাবে সামলাবেন তা নিশ্চিত নন।

সব মিলিয়ে, বাংলাদেশের গত এক মাসের নাটকীয় ঘটনাবলি ভারতের কূটনৈতিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রগুলোতে অপ্রত্যাশিত সংকট তৈরি করেছে। দিল্লি কিভাবে এসব সমস্যার মোকাবিলা করছে, সেটি বিশ্লেষণ করা হচ্ছে। বাংলাদেশে নতুন অন্তর্বর্তী সরকারের সাংবিধানিক বৈধতা নিয়ে দেশের অভ্যন্তরে কিছু প্রশ্ন ওঠার সম্ভাবনা থাকলেও, ভারত ওই সরকারকে স্বীকৃতি দিতে খুব বেশি সময় নেয়নি।

মুহাম্মদ ইউনূস ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেওয়ার পরপরই, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এক্স প্ল্যাটফর্মে একটি পোস্টের মাধ্যমে তাকে নতুন দায়িত্বে শুভেচ্ছা জানান। মোদি তার পোস্টে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে ‘স্বপ্নপূরণের লক্ষ্যে’ একযোগে কাজ করার প্রতিশ্রুতি জানান। এর কিছুদিন পর, ভারত ‘গ্লোবাল সাউথে’র শীর্ষ সম্মেলন আয়োজন করে, যেখানে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে মুহাম্মদ ইউনূস ভার্চুয়ালি ভাষণ দেন। তাদের মধ্যে টেলিফোনে কথাবার্তাও হয়।

ভারতের পক্ষ থেকে বাংলাদেশের নতুন সরকারের প্রধান হিসেবে মুহাম্মদ ইউনূসকে স্বীকৃতি দেওয়ার ব্যাপারে কোনো দ্বিধা ছিল না। শেখ হাসিনা বর্তমানে বাংলাদেশের ‘অতীত’ হিসেবে বিবেচিত এবং ভারত গত এক মাসে বারবার তা স্পষ্ট করেছে। ৬ আগস্ট পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর পার্লামেন্টে জানান, শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রিত্ব ছাড়ার পর ভারতে এসেছেন। মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্রও একাধিকবার শেখ হাসিনাকে ‘সাবেক প্রধানমন্ত্রী’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন।

ঢাকা থেকে শেখ হাসিনার বিদায়ের পর যদিও পরিস্থিতি বিতর্কিত বা রহস্যময় ছিল, ভারত তবুও বাংলাদেশের নতুন বাস্তবতাকে মেনে নিয়ে নতুন সরকারের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছে। সম্প্রতি দিল্লিতে একটি বই প্রকাশ অনুষ্ঠানে, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বলেছেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর থেকে দুই দেশের সম্পর্ক নানা ওঠাপড়ার মধ্য দিয়ে গেছে। তবে, ঢাকায় যে সরকারই ক্ষমতায় থাকুক, দিল্লি তাদের সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখবে, যা স্বাভাবিক। তিনি আরও বলেন, রাজনৈতিক পরিবর্তন কখনও কখনও তা বিরক্তিকর হতে পারে। এই ধরনের পরিবর্তনের ক্ষেত্রে, পারস্পরিক স্বার্থের মিল খুঁজে বের করা জরুরি।

এখন ভারত নতুন সরকারের সঙ্গে কোথায় কোথায় স্বার্থ মেলে তা চিহ্নিত করার ওপর গুরুত্ব দিচ্ছে এবং নতুন সরকারকে ভালভাবে জানার প্রক্রিয়া চলছে। একজন শীর্ষ ভারতীয় কর্মকর্তা বিবিসিকে জানান, নতুন সরকারের উপদেষ্টা ও নীতিনির্ধারকদের অনেককেই তারা পরিচিত নয় এবং তাদের আসার প্রক্রিয়া বা নাম সুপারিশকারী ব্যক্তি সম্পর্কে বিস্তারিত জানেন না। মুহাম্মদ ইউনূসকেও পুরোপুরি জানেন না বলে তিনি উল্লেখ করেন। তাই, শুরুর দিনে তাদের ভালভাবে চিনে নেওয়া ও বোঝার প্রক্রিয়া চলছে।

সম্প্রতি, ঢাকায় ভারতের হাই কমিশনার প্রণয় কুমার ভার্মা প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন, যা ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ‘পরিচিতিমূলক’ হিসেবে বর্ণনা করেছে। এটি স্পষ্ট করে যে, গত এক মাস ছিল দুই পক্ষের পরিচিতি ও আলোচনা পর্ব এবং এটি কিছু সময় চলতে থাকবে। বাংলাদেশে গত দেড় দশক ধরে ভারতকে নিয়ে প্রধান অভিযোগ ছিল যে, তারা শুধুমাত্র শাসক দল আওয়ামী লীগের সাথে সম্পর্ক রেখেছে এবং বাংলাদেশের সকল পরিস্থিতি ‘আওয়ামী প্রিজম’ দিয়ে দেখার চেষ্টা করেছে।

এ বিষয়ে দিল্লি কখনও পুরোপুরি অস্বীকার করেনি। তারা বলেছে, ভারত-বিরোধী রাজনীতি করা দলগুলোর সাথে সম্পর্ক স্থাপন কঠিন, যাদের ট্র্যাক রেকর্ড অনুযায়ী ক্ষমতায় থাকাকালে ভারতের সাথে সম্পর্ক খারাপ হয়ে গিয়েছিল। এছাড়া, ভারতের মতে, বিএনপি জামায়াত-ই-ইসলামীর সাথে সম্পর্ক ত্যাগ না করলে তাদের সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখা সম্ভব নয়।

ভারতের অবস্থান ছিল যে জামায়াতের রাজনৈতিক ও ধর্মীয় মতাদর্শ তাদের কাছে এতটাই ‘অস্পৃশ্য’ যে, জামায়াতের কোনো রাজনৈতিক শরিককেও বিশ্বাস করা সম্ভব নয়। তবে, ঢাকায় গত এক মাসের ঘটনার পর বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে পরিবর্তন আসার সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে। বিশেষ করে বিএনপি ও জামায়াতের মধ্যে দূরত্ব বৃদ্ধি ভারতের নীতিনির্ধারকরা ইতিবাচকভাবে দেখছেন। তারা মনে করছেন, জামায়াত-মুক্ত বিএনপির সাথে সম্পর্ক গড়া সহজ হতে পারে।

বিএনপি নেতৃত্বের সাথে ভারতের যোগাযোগ সম্পূর্ণ স্তব্ধ ছিল এমন কথা ঠিক নয়। কিছু যোগাযোগ চ্যানেল সম্ভবত সক্রিয় ছিল। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন আহমেদ, যিনি ভারতে প্রায় এক দশক কাটিয়ে সম্প্রতি বাংলাদেশে ফিরে এসেছেন, তারও কিছুটা ইঙ্গিত পাওয়া গেছে। তিনি দিল্লিকে দোষারোপ না করে শেখ হাসিনা সরকারের ওপর দায় চাপিয়েছেন এবং ভারতে থাকা অবস্থায় ভারতের সহযোগিতা নিয়ে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।

ভারতের পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন, সালাউদ্দিন আহমেদ ভারতের সাথে বিএনপির সম্পর্ক গড়তে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারেন। তবে, বিএনপির সাথে সম্পর্ক গড়া হলে ভারতের আওয়ামী লীগের প্রতি মনোভাব কী হবে? দিল্লির একজন শীর্ষ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ‘এটা আর কোনও ‘বাইনারি’ বিষয় নয়, যে একটি থাকলে অন্যটি থাকতে পারবে না। ভারত অবশ্যই চাইবে যে পরবর্তী নির্বাচনে আওয়ামী লীগ অংশগ্রহণ করুক এবং সেখানে সুষ্ঠু প্রতিদ্বন্দ্বিতার পরিবেশ বজায় থাকুক।’

গত ২৭ আগস্ট ভারতের প্রথম সারির অর্থনৈতিক পত্রিকা ‘দ্য ইকোনমিক টাইমস’ একটি প্রতিবেদনে জানায় যে, বাংলাদেশের কাছে ভারতের পাঁচটি বিদ্যুৎ সংস্থার মোট বকেয়া পরিমাণ ১ বিলিয়ন বা ১০০ কোটি ডলার ছাড়িয়ে গেছে। বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, আদানি পাওয়ারের কাছে ৩০ জুন ২০২৪ তারিখে ৮০ কোটি ডলার বকেয়া ছিল। এই সংস্থাটি ঝাড়খন্ডের গোড্ডায় অবস্থিত তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের উৎপাদনের পুরোপুরি বাংলাদেশে রপ্তানি করে। এছাড়াও, এসইআইএল এনার্জি, পিটিসি ইন্ডিয়া, এনটিপিসি (ডিভিসি ও ত্রিপুরা) ও পাওয়ার গ্রিডসহ অন্যান্য সংস্থার কাছেও বাংলাদেশে বিপুল পরিমাণ অর্থ বকেয়া রয়েছে। প্রতিবেদনটি এও উল্লেখ করেছে যে, বাংলাদেশের রাজনৈতিক অস্থিরতা এই অর্থ পরিশোধের সম্ভাবনাকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। ইতোমধ্যে, ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল জানান, গত পাঁচ আগস্টের পর থেকে বাংলাদেশ-ভারতের অধিকাংশ দ্বিপাক্ষিক প্রকল্পের কাজ থমকে গেছে এবং অনেক কর্মী ভারতে ফিরে আসতে বাধ্য হয়েছেন।

বহু প্রকল্পের ভবিষ্যৎ এখন অনিশ্চিত, যেমন রামপালের মৈত্রী তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র বা নুমালিগড়-পার্বতীপুর জ্বালানি পাইপলাইন। ফলে, বাংলাদেশের জ্বালানি, বিদ্যুৎ ও অবকাঠামো খাতে ভারতের বিনিয়োগ ঝুঁকির মুখে পড়তে পারে। তবে দিল্লির থিঙ্কট্যাঙ্ক আরএইএস-এর অর্থনীতিবিদ প্রবীর দে এ ব্যাপারে আশাবাদী। তিনি মনে করিয়ে দিয়েছেন, যদিও বাংলাদেশ নতুন সরকারের অধীনে ভারতের সঙ্গে চুক্তি পুনর্বিবেচনা করার কথা বলেছে, তবুও কোনও ভারতীয় প্রকল্প বাতিল করা হয়নি। এছাড়া, আন্তর্জাতিক সালিশি আদালতে ক্ষতিপূরণের দাবি জানানোও সম্ভব। ভারতের মতে, বাংলাদেশে অর্থনৈতিক সংকট ও বৈদেশিক মুদ্রার ঘাটতি কাটাতে কিছু সময় লাগবে এবং ভারতীয় সংস্থাগুলোর লগ্নির রিটার্ন পেতে আরও অপেক্ষা করতে হতে পারে।

ঢাকা-দিল্লির দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের জটিল পরিস্থিতির মধ্যে বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতের জন্য অতিরিক্ত অস্বস্তি সৃষ্টি করেছেন। তিনি গত এক মাস ধরে দিল্লিতে অবস্থান করছেন। ভারতে তার রাজনৈতিক আশ্রয় দেওয়া বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের সাথে নতুন সম্পর্ক গড়ার পথে অন্তরায় হতে পারে, ভারত এ বিষয়টি স্পষ্টভাবে উপলব্ধি করছে।

তবে, গত ৫০ বছর ধরে ভারত ও শেখ হাসিনার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক থাকায়, তার বিপদের মুহূর্তে পাশে না দাঁড়ানো ভারতীয় কর্তৃপক্ষের জন্য একটি বিকল্প নয়। তাই, ভারত তাকে যথাযোগ্য মর্যাদায় ও সম্মান প্রদান করে, প্রাথমিকভাবে সব ধরনের আতিথেয়তা দিয়ে চলেছে। কিন্তু এই পরিস্থিতি কতদিন চলবে, তা নিয়ে ভারতের কাছে এখনও কোনো স্পষ্ট ধারণা নেই।

ভারতের প্রাক্তন শীর্ষ কূটনীতিবিদ ড. মোহন কুমার মনে করেন, এই সংকটকে ভারতের জন্য একটি সুযোগে পরিণত করা সম্ভব। তিনি উল্লেখ করেন, একটি মার্কিন রাজনৈতিক বিশ্লেষক বলেছিলেন যে কোনও সংকটকে অপচয় করা উচিত নয়—সব সংকটকেই সুযোগে পরিবর্তন করা যেতে পারে। ড. মোহন কুমার মনে করেন, শেখ হাসিনা সম্পর্কিত সংকট থেকেও ভারতের একটি গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা রয়েছে। তিনি মন্তব্য করেন যে, প্রতিবেশী দেশগুলোর সাথে রাজনৈতিক বিনিয়োগ অনেক সময় ব্যক্তির ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ে, প্রাতিষ্ঠানিকভাবে নয়, যা ‘নেইবারহুড ফার্স্ট’ নীতির একটি বড় ত্রুটি।

Previous Post

সিইসিসহ পাঁচ কমিশনারের পদত্যাগ ঘোষণা

Next Post

পাচারের টাকায় যেভাবে সিঙ্গাপুরের শীর্ষ ধনী হলেন আজিজ খান?

Related Posts

ইরানজুড়ে ইসরায়েলি হামলায় শত শত নিহত
আন্তর্জাতিক

ইরানজুড়ে ইসরায়েলি হামলায় শত শত নিহত

দেশব্যাপী নতুন কর্মসূচি ঘোষণা এনসিপির
নির্বাচিত

দেশব্যাপী নতুন কর্মসূচি ঘোষণা এনসিপির

নেপাল থেকে ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি সিদ্ধান্ত বাতিল
জাতীয়

নেপাল থেকে ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি সিদ্ধান্ত বাতিল

মাঝ আকাশে মিসাইল দেখার ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতা জানালেন বাংলাদেশি পাইলট
জাতীয়

মাঝ আকাশে মিসাইল দেখার ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতা জানালেন বাংলাদেশি পাইলট

ইরানে হামলায় জড়িত জর্ডান-ফ্রান্স-যুক্তরাজ্য-যুক্তরাষ্ট্রকে কঠোর হুঁশিয়ারি
আন্তর্জাতিক

ইরানে হামলায় জড়িত জর্ডান-ফ্রান্স-যুক্তরাজ্য-যুক্তরাষ্ট্রকে কঠোর হুঁশিয়ারি

তারেক-ইউনূস বৈঠক: বিএনপির চোখে ‘ঐতিহাসিক’ মাইলফলক
নির্বাচিত

তারেক-ইউনূস বৈঠক: বিএনপির চোখে ‘ঐতিহাসিক’ মাইলফলক

Next Post
পাচারের টাকায় যেভাবে সিঙ্গাপুরের শীর্ষ ধনী হলেন আজিজ খান?

পাচারের টাকায় যেভাবে সিঙ্গাপুরের শীর্ষ ধনী হলেন আজিজ খান?

ADVERTISEMENT

সর্বশেষ সংযোজন

ইরানজুড়ে ইসরায়েলি হামলায় শত শত নিহত
আন্তর্জাতিক

ইরানজুড়ে ইসরায়েলি হামলায় শত শত নিহত

দেশব্যাপী নতুন কর্মসূচি ঘোষণা এনসিপির
নির্বাচিত

দেশব্যাপী নতুন কর্মসূচি ঘোষণা এনসিপির

নেপাল থেকে ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি সিদ্ধান্ত বাতিল
জাতীয়

নেপাল থেকে ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি সিদ্ধান্ত বাতিল

মাঝ আকাশে মিসাইল দেখার ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতা জানালেন বাংলাদেশি পাইলট
জাতীয়

মাঝ আকাশে মিসাইল দেখার ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতা জানালেন বাংলাদেশি পাইলট

ADVERTISEMENT

ট্রেন্ডিং নিউজ

তারেক রহমানের সঙ্গে একমত পোষণ করে যা বললেন সারজিস
নির্বাচিত

তারেক রহমানের সঙ্গে একমত পোষণ করে যা বললেন সারজিস

মাঝ আকাশে মিসাইল দেখার ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতা জানালেন বাংলাদেশি পাইলট
জাতীয়

মাঝ আকাশে মিসাইল দেখার ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতা জানালেন বাংলাদেশি পাইলট

ইরানজুড়ে ইসরায়েলি হামলায় শত শত নিহত
আন্তর্জাতিক

ইরানজুড়ে ইসরায়েলি হামলায় শত শত নিহত

দেশব্যাপী নতুন কর্মসূচি ঘোষণা এনসিপির
নির্বাচিত

দেশব্যাপী নতুন কর্মসূচি ঘোষণা এনসিপির

Facebook Twitter Youtube

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন

Categories

  • অর্থনীতি
  • আন্তর্জাতিক
  • ইসলাম ও জীবন
  • জবস
  • জাতীয়
  • টপ স্টোরি
  • নির্বাচিত
  • পাঁচমিশালি
  • প্রযুক্তি
  • বিনোদন
  • ভিডিও
  • রাজনীতি
  • শিক্ষা ও ক্যাম্পাস
  • স্পটলাইট
  • স্পোর্টস
  • স্বাস্থ্য

Site Navigation

  • Home
  • Advertisement
  • Contact Us
  • Privacy & Policy
  • Other Links

উপদেষ্টা সম্পাদক : এম ওয়াশিকুর রহমান | ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ও প্রকাশক: তপন চৌধুরী
স্বত্ব © ২০২০-২০২৩ জাগো টুডে সকল অধিকার সংরক্ষিত।

No Result
View All Result
  • প্রচ্ছদ
  • জাতীয়
  • রাজনীতি
  • পূর্ব-পশ্চিম
  • স্পোর্টস
  • বিনোদন
  • প্রযুক্তি
  • অর্থনীতি
  • স্বাস্থ্য
  • ইসলাম ও জীবন

উপদেষ্টা সম্পাদক : এম ওয়াশিকুর রহমান | ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ও প্রকাশক: তপন চৌধুরী
স্বত্ব © ২০২০-২০২৩ জাগো টুডে সকল অধিকার সংরক্ষিত।