বাসিত ভাই, আপনি কোথায়? বাংলাদেশ তো জিতে যাচ্ছে’ –সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এভাবেই পাকিস্তানের ক্রিকেট সমর্থকেরা খুঁজছেন তাদের সাবেক ক্রিকেটারকে। কারণ পাকিস্তানের বিপক্ষে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ শুরুর বাংলাদেশকে রীতিমতো তাচ্ছিল্য করেছিলেন বাসিত আলী। এখন সেই বাংলাদেশের কাছেই ২-০ ব্যবধানে ধোলাই হওয়ার পথে পাকিস্তান।বাংলাদেশ দলে জয়ের সুবাস; ধোলাই হওয়ার পথে পাকিস্তানবাংলাদেশ দলে জয়ের সুবাস; ধোলাই হওয়ার পথে পাকিস্তান রাওয়ালপিন্ডিতে দ্বিতীয় টেস্টের শেষ দিনে মধ্যাহ্ন বিরতির আগ পর্যন্ত জয়ের জন্য বাংলাদেশের প্রয়োজন ছিল ৬৩ রানের। হাতে ৮ উইকেট। ক্রিজে দুই সেট ব্যাটসম্যান অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত আর মুমিনুল হক। বৃষ্টি না নামলে এই টেস্টে বাংলাদেশের জয় সময়ের ব্যাপার মাত্র। অথচ, সিরিজ শুরুর আগে বাসিত আলী বলেছিলেন, ‘শুধু বৃষ্টিই পারে বাংলাদেশকে বাঁচাতে। এছাড়া, তুলনার কোনো সুযোগই নেই। পাকিস্তান ঘরের মাঠে অনেক সুবিধা পাবে।’
এর চেয়েও বেশি রান তাড়া করে টেস্ট জিতেছে বাংলাদেশএর চেয়েও বেশি রান তাড়া করে টেস্ট জিতেছে বাংলাদেশ
বাংলাদেশকে তাচ্ছিল্য করে ৫৩ বছর বয়সী বাসিত আরও বলেছিলেন, ‘পাকিস্তান আগে কতবারই তো বাংলাদেশকে হারিয়েছে। ’ বাসিতের এই কথাটি মিথ্যা নয়। টেস্টে হোম কিংবা অ্যাওয়েতে এর আগে কখনই পাকিস্তানকে হারাতে পারেনি বাংলাদেশ। ২০০৩ সালে একবার সম্ভাবনা তৈরি হলেও চৌর্যবৃত্তি করে জিতে যায় পাকিস্তান। সময়ের সাথে ইতিহাস বদলায়। নাজমুল হোসেন শান্তর দল এবার নতুন ইতিহাস রচনা করতেই পাকিস্তান সফরে গেছে।
আন্তর্জাতিক ফুটবলকে বিদায় জানালেন লুইস সুয়ারেজআন্তর্জাতিক ফুটবলকে বিদায় জানালেন লুইস সুয়ারেজ
এছাড়া পাকিস্তানের সাবেক উইকেটরক্ষক ব্যাটার কামরান আকমলও কম যাননি। তিনিও বাংলাদেশকে তাচ্ছিল্য করে বলেছিলেন, ‘দলকে এখন সেরা ক্রিকেট খেলতে হবে, জিততে হবে, ভালো ক্রিকেট খেলতে হবে ভালো মানসিকতা নিয়ে। পাকিস্তানের জন্য এটা দারুণ সুযোগ যে ওরা বাংলাদেশের বিপক্ষে খেলছে। তাদের উচিৎ ২-০ ব্যবধানে সিরিজ জেতা, যেভাবে বাংলাদেশ সফরের সময় ওরা ২-০ ব্যবধানে জিতেছিল।’