গাজীপুরে চাকরির দাবিতে বেশ কয়েকটি স্থানে পোশাক কারখানাযর শ্রমিকরা বিক্ষোভ ও সড়ক অবরোধ করেছে। মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা গাজীপুর মহানগরীর ভোগড়া বাইপাস, ছয়দানা, হাজির পুকুর, মালেকের বাড়ি, সাইনবোর্ড এলাকায় ইস্ট ওয়েস্ট ও প্রীতি গার্মেন্টসসহ বেশ কয়েকটি গার্মেন্টসের চাকরিচ্যুত শ্রমিকরা ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে। খবর পেয়ে শিল্প পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা পুলিশের উপর ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে। এতে শিল্প পুলিশের এএসপি মোশরাফ হোসেনসহ পাঁচজন আহত হন। পরে সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।জানা গেছে, বিভিন্ন পোশাক কারখানায় নারী শ্রমিকদের পাশাপাশি সম-অধিকারের ভিত্তিতে পুরুষ শ্রমিক নিয়োগের দাবিতে সকালে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে তারা ওই সড়কে অবস্থান নিয়ে যানবাহন চলাচলে বাধা সৃষ্টি করে।খবর পেয়ে গাজীপুর শিল্প পুলিশ, থানা পুলিশ ও সেনাসদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে শ্রমিকদের মহাসড়ক থেকে সরিয়ে দেয়।
সকাল দশটার দিকে সাইনবোর্ড ও মালেকের বাড়ি এলাকা থেকে শ্রমিকরা সরে গেলেও বেলা ১১টার দিকে শ্রমিকরা ভোগরা বাইপাস এলাকায় অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করতে থাকে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত বেলা সাড়ে বারোটার দিকে ভোগরা বাইপাস এলাকায় শ্রমিকদের বিক্ষোভ অব্যাহত ছিল। সেখানে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলছেন।আন্দোলনরত শ্রমিকরা জানাযন, তারা কারখানায় চাকরি করলেও তুচ্ছ কারণে তাদের চাকরিচ্যুত করা হয়। চাকরি না পেয়ে তারা বেকারত্ব জীবনযাপন করছেন। তাই তাদের চাকরির দাবিতে এই বিক্ষোভ করে যাচ্ছেন। তাদের দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাবেন।
গাজীপুর শিল্প পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার মোশাররফ হোসেন জানান, সকাল থেকেই গাজীপুরের বেশ কয়েকটি স্থানে বিভিন্ন পোশাক কারখানার চাকরিচ্যুত শ্রমিকরা তাদের চাকরিতে পুনর্বহালের দাবিতে বিক্ষোভ শুরু করে। একপর্যায়ে তারা ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে অবরোধ সৃষ্টি করে যানবাহন চলাচলে বাধা প্রদান করে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা পুলিশের উপর ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে। এতে তিনিসহ পাঁচজন পুলিশ আহত হয়। পরে সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছে শ্রমিকদের সড়ক থেকে সরিয়ে দেয়।