ইসরায়েলে বড় ধরনের হামলা চালিয়েছে ইরান সমর্থিত লেবাননভিত্তিক শক্তিশালী সংগঠন হিজবুল্লাহ। সোমবার সকালে ইসরায়েলে ৩৫০টিরও বেশি রকেট নিক্ষেপ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে সংগঠনটি। সোমবার একটি বিবৃতিতে, ইরান-সমর্থিত লেবানিজ গোষ্ঠীটি জানায় যে, তারা শত শত কাতিউশা রকেট দিয়ে উত্তর ইসরায়েলের রেকর্ড ১১টি সামরিক স্থানে হামলা চালিয়েছে। খবর বিবিসির।
অন্যদিকে এই হামলার পরপরই ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু নিরাপত্তা মন্ত্রিসভার বৈঠক ডাকেন। নেতানিয়াহুর কার্যালয় থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট আগামী ৪৮ ঘণ্টার জন্য দেশজুড়ে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছেন।
এই হামলাকে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে হিজবুল্লাহর আক্রমণের “প্রথম পর্যায়” সম্পূর্ণ হয়েছে বলে অভিহিত করেছে সংগঠনটি। গত ৩০ জুলাই হিজবুল্লাহর শীর্ষ কমান্ডার ফুয়াদ শুকরকে হত্যার প্রতিক্রিয়া হিসাবে এই হামলা চালানো হয়েছে বলে জানায় তাঁরা। হিজবুল্লাহ জানায়, “এই হামলাটি ইসরায়েলি সামরিক অবস্থান এবং কাঠামোগুলোকে লক্ষ্যবস্তু করার প্রাথমিক পর্যায়।
পরবর্তীতে আরও বিস্তারিত তথ্য জানানো হবে বলে জানায় তাঁরা। এদিকে এই হামলার হুমকির জবাবে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী লেবাননে বিভিন্ন লক্ষ্যবস্তুতে আগেই হামলা শুরু করে। ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী রোববার ভোরে এই হামলার ঘোষণা দিয়েছে। জরুরি অবস্থার মধ্যে বেসামরিক নাগরিকদের জন্য সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে কিছু নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে জনসমাগত সীমিত এবং নির্ধারিত এলাকায় চলাফেরা না করা।
এছাড়া ইসরাইলের উত্তরাঞ্চলে বাসিন্দাদের সতর্ক করার জন্য সাইরেন বাজানো হয়েছে এবং আকাশ হামলা থেকে সতর্ক করা হয়েছে। তবে হিজবুল্লাহর এবং ইসরায়েলের পাল্টাপাল্টি হামলায় কী পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি বা হতাহতের ঘটনা ঘটেছে- তা নিয়ে তাৎক্ষণিকভাবে কিছু জানা যায়নি।