যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা উপত্যকায় ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ যোদ্ধাদের সর্বশেষ পাল্টা হামলায় অন্তত তিন ইসরাইলি সেনা নিহত এবং আরো ১২ সেনা আহত হয়েছে। হতাহত সেনাদের বহনকারী পাঁচটি হেলিকপ্টার ভিন্ন হাসপাতালে অবতরণ করেছে। ইসরায়েলি বাহিনীর ওপর হামলা চালিয়েছে ফিলিস্তিনের তিনটি সশস্ত্র গোষ্ঠী। স্থানীয় সময় শুক্রবার গাজা সিটির জেইতুন এলাকায় এসব হামলা চালানো হয়।
যুদ্ধবিষয়ক একটি পর্যবেক্ষণ সংস্থা জানিয়েছে, হামাসের সঙ্গে যৌথভাবে হামলা চালিয়েছে ইসলামিক জিহাদ এবং আল আকসা ব্রিগেডস। ইসরায়েলি সেনাদের লক্ষ্য করে রকেট ও মর্টার দিয়ে হামলা চালানো হয়েছে। এদিকে গাজা শহরের দক্ষিণে নেটজারিম করিডোরে একটি ইসরায়েলি কমান্ড ও কন্ট্রোল সেন্টারে সশস্ত্র ড্রোন হামলা চালানো হয়েছে বলে দাবি করেছে হামাস। দখলদার সেনাদের হতাহতের এই সংখ্যা কুদস নিউজ নেটওয়ার্ক নিশ্চিত করেছে। ইহুদিবাদী ইসরাইল এ ঘটনাকে ‘নিরাপত্তাজনিত বড় ধরনের ঘটনা’ বলে বর্ণনা করেছে। গাজা সিটির পূর্ব অংশে অবস্থিত জেইতুন এলাকায় শুক্রবার প্রচণ্ড সংঘর্ষের জের ধরে এসব ইসরাইলি সেনা হতাহত হয়। হামাস এক ঘোষণায় বলেছে, জেইতুন এলাকার দক্ষিণ দিক দিয়ে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করার সময় ইসরাইলি সেনাদের সঙ্গে তারা প্রচণ্ড সংঘর্ষে লিপ্ত হন।
ইসরাইলি গণমাধ্যম জানিয়েছে, গাজা থেকে হতাহত সেনাদের বহনকারী পাঁচটি হেলিকপ্টার ইসরাইলের বিভিন্ন হাসপাতালে অবতরণ করেছে। ১০ থেকে ১৫ জন ইসরাইলি সেনাকে গাজা থেকে এসব হাসপাতালে আনার খবর দিয়ে হিব্রু ভাষার গণমাধ্যমগুলো। এসব সেনা ট্যাংক-বিধ্বংসী গোলার আঘাতে হতাহত হয়েছে বলে তারা জানিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক প্রতিরক্ষা থিঙ্ক ট্যাঙ্ক দ্য ইনস্টিটিউট ফর দ্য স্টাডি অফ ওয়ার এবং ক্রিটিকাল থ্রেটস প্রজেক্ট অনুসারে, ইসরায়েলি স্থল বাহিনী দক্ষিণ ও মধ্য গাজার খান ইউনিস এবং দেইর এল-বালাহের গভীরে অগ্রসর হয়েছে এবং যুদ্ধ অব্যাহত রয়েছে।
রাফা শহরের কাছেও লড়াই অব্যাহত রয়েছে। স্থানীয় সময় শুক্রবার ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে প্রায় ৩০ দফা হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। অপরদিকে ইসরায়েলি ভূখণ্ডে কমপক্ষে পাঁচ দফা রকেট ও মর্টার হামলা চালিয়েছে ফিলিস্তিনি যোদ্ধারা। ইসরায়েলের আশকেলন, আশদোদ এবং জিকিম ও কিসুফিম এলাকায় এসব হামলা চালানো হয়।