জাতীয় দিবসের র্যালিতে মালয় ভাষায় দেওয়া বক্তৃতায় ওং মালয় ও মুসলিম সম্প্রদায়ের অনন্য ঐতিহ্য রক্ষা করে আধুনিকীকরণের প্রচেষ্টাকে সমর্থনের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন। এরই অংশ হিসেবে তিনি এই ইসলামিক কলেজ প্রতিষ্ঠার কথা উল্লেখ করেন।
২০১৬ সালে প্রস্তাবিত এই প্রকল্পটির মাধ্যমে ধর্মীয় পণ্ডিত ও শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দিয়ে সিঙ্গাপুরের সমাজের বিভিন্ন স্তরে প্রাসঙ্গিক দিকনির্দেশনা প্রদান করা সম্ভব হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। গত আট বছর ধরে এ প্রকল্পটি নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছিল।
বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ও সংকটময় সময়ে মালয় সম্প্রদায়ের ঐক্যের প্রশংসা করে ওং বলেন, এর ফলে সাহসিকতার সঙ্গে জাতীয় সমস্যাগুলো মোকাবেলা করা সম্ভব হয়েছে।
তিনি প্রতিশ্রুতি দেন, সিঙ্গাপুরের অগ্রগতি থেকে দেশের মুসলিম সম্প্রদায় উপকৃত হবে এবং দেশের ভবিষ্যত গঠনে তারা পূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
গত ১৫ মে সিঙ্গাপুরের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নেওয়া লরেন্স ওং তার বক্তৃতায় শিক্ষাগত অর্জন, চরমপন্থা প্রতিরোধ এবং সমাজের দুর্বল অংশগুলোর উন্নয়নে তার সরকারের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন।
দেশটির পার্লামেন্ট সদস্যরা ওংয়ের এই উদ্যোগে দৃঢ় সমর্থন জানিয়েছেন। এই কলেজ জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে তরুণ ধর্মীয় ও সম্প্রদায়ের নেতাদের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে তারা আশা প্রকাশ করেছেন।
কিওয়ার্ড:
বহু জাতিগত নগররাষ্ট্র সিঙ্গাপুরে ভবিষ্যত ইসলামি নেতা তৈরি ও পরিচর্যার জন্য ইসলামিক কলেজ প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনা ঘোষণা করেছেন সিঙ্গাপুরের প্রধানমন্ত্রী লরেন্স ওং। রোববার (১৮ আগস্ট) নিজের মেয়াদে প্রথম জাতীয় দিবসের বক্তৃতা দেওয়ার সময় সিঙ্গাপুর কলেজ অব ইসলামিক স্টাডিজ প্রতিষ্ঠার বিষয়ে এ তথ্য জানান তিনি। খবর স্ট্রেইট টাইমস।
জাতীয় দিবসের র্যালিতে মালয় ভাষায় বক্তৃতা করতে গিয়ে ওং মালয় ও মুসলিম সম্প্রদায়ের অনন্য ঐতিহ্য রক্ষা করে আধুনিকীকরণের প্রচেষ্টাকে সমর্থনে তার প্রতিশ্রুতির ওপর গুরুত্বারোপ করেন। এরই অংশ হিসেবে তিনি ইসলামিক কলেজ প্রতিষ্ঠার কথা উল্লেখ করেন। তিনি প্রত্যাশা করেন, ২০১৬ সালে প্রস্তাবিত এই প্রকল্পটির মাধ্যমে সিঙ্গাপুরের বিভিন্ন প্রেক্ষাপটে প্রাসঙ্গিক দিকনির্দেশনা প্রদানের জন্য ধর্মীয় পণ্ডিত ও শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দিতে পারবে। গত আট বছর ধরে এ প্রকল্পটি নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে।
বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ও সংকটময় সময়ে মালয় সম্প্রদায়ের ঐক্যের প্রশংসা করে ওং বলেন, এর ফলে আমরা সাহসিকতার সঙ্গে এই জাতীয় সমস্যাগুলো মোকাবিলা করেছি। তিনি প্রতিশ্রুতি দেন, সিঙ্গাপুরের অগ্রগতি থেকে দেশের মুসলিম সম্প্রদায় উপকৃত হবে এবং দেশের ভবিষ্যত গঠনে তারা পূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
গত ১৫ মে সিঙ্গাপুরের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নেওয়া লরেন্স ওং এ সময় পূর্বসূরীদের কাজের ওপর ভিত্তি করে শিক্ষাগত অর্জন, চরমপন্থা প্রতিরোধ এবং সমাজের দুর্বল অংশগুলোর উন্নয়নে তার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন।
দেশটির পার্লামেন্ট সদস্যরা ওংয়ের এই উদ্যোগে দৃঢ় সমর্থন জানিয়েছেন। একইসঙ্গে এটিকে জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে তরুণ ধর্মীয় ও সম্প্রদায়ের নেতাদের উন্নয়নে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে দেখছেন।