যে দেশকে তিনি সবচেয়ে নিরাপদ আশ্রয় বলে মনে করতেন, সেই ইরানেই গুপ্ত হত্যার শিকার হয়েছেন হামাসের রাজনৈতিক শাখার প্রধান ইসমাইল হানিয়া। এ হত্যার ঘটনায় ব্যাপক ধরপাকড় শুরু করেছে ইরান সরকার। ইতোমধ্যেই ২৫ জনেরও বেশি সেনা ও গোয়েন্দা অফিসারকে গ্রেফতার করেছে ইরানের ইসলামিক বিপ্লবী গার্ড কোর (আইআরজিসি)।
ইরান সরকারের কিছু শীর্ষ কর্মকর্তাকে উদ্ধৃত করে শুক্রবার নিউইয়র্ক টাইমস দাবি করেছিল, হানিয়া তেহরানে এসে মূলত যে অতিথিশালায় থাকতেন, সেখানকার তিনটি ঘরে প্রায় দুই মাস আগে থেকে বোমা লুকিয়ে রেখেছিল হত্যাকারীরা। তারই একটি ঘরে বিস্ফোরণে হানিয়া দেহরক্ষীসহ নিহত হন। এ তথ্য প্রকাশ্যে আসার পরই ইরানের গোয়েন্দা অফিসারদের চূড়ান্ত ব্যর্থতা নিয়ে দেশে-বিদেশে জোর চর্চা শুরু হয়। তবে শনিবার আইআরজিসির তদন্তকারী কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ওই অতিথিশালায় দুমাস আগে থেকে বোমা লুকিয়ে রাখা ছিল না।
বরং হামলার রাতে হানিয়ার ঘরের খুব কাছ থেকে একটি স্বল্প পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে তাকে হত্যা করে হয়েছে। সেই সঙ্গে গোয়েন্দা ব্যর্থতার কথাও একবাক্যে স্বীকার করে নিয়েছেন ইরান সরকারের শীর্ষ কর্মকর্তারা। তাইতো হানিয়া-হত্যার ষড়যন্ত্রে জড়িত সন্দেহে শনিবার থেকে দেশের গোয়েন্দা ও সেনাবাহিনীর বেশ কিছু অফিসারকে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
ইরান সরকার মনে করছে, এসব সেনা ও গোয়েন্দা অফিসারকে ‘হাত করেই’ কঠোর নিরাপত্তা বলয় এড়িয়ে সেই রাতে হানিয়ার ঘরে হামলা চালাতে সক্ষম হয়েছিল ইসরাইল। এতে আমেরিকার বাইডেন প্রশাসনের পূর্ণ মদদ ছিল বলেও অভিযোগ করেছে তেহরান।