ডিবি হেফাজতে থেকে গত রবিবার রাতে ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের’ ছয় সমন্বয়ক আন্দোলন ও কর্মসূচি স্থগিতের ঘোষণা দেওয়ার রাতেই ওই ঘোষণা প্রত্যাখ্যান করেন অন্য সমন্বয়করা। তারা গতকাল সোমবার সারা দেশে বিক্ষোভের ঘোষণা দেন। এ পরিস্থিতিতে গতকাল দুপুরের দিকে রাজধানীর আটটি স্থানসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভে নামে আন্দোলনকারীরা। তবে রাস্তায় দাঁড়াতেই সারা দেশ থেকে অন্তত ৭০ জনকে আটক করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এ সময় লাঠিপেটা, সাউন্ড গ্রেনেড, কাঁদানে গ্যাসের শেল ছুড়ে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয় পুলিশ। এতে বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী আহতের খবর পাওয়া গেছে। এ ছাড়া চট্টগ্রামসহ কয়েক জায়গায় পুলিশের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটেছে।
রাজধানীর মিরপুরের ইসিবি চত্বর, সায়েন্স ল্যাব, পল্টন, ধানমন্ডি স্টার কাবাব, নিউ মার্কেট, বাড্ডার ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি, মিরপুর ১০ নম্বর এবং সেগুনবাগিচায় জড়ো হওয়ার চেষ্টা করেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। তবে পুলিশের ধাওয়ায় তারা ছত্রভঙ্গ হয়ে যান। পুলিশের সঙ্গে বিপুলসংখ্যক র্যাব, বিজিবি এবং কোথাও সেনা টহল দেখা গেছে। এ ছাড়া রাজধানীর আকাশে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) একাধিক হেলিকপ্টারও টহল দিয়েছে। পুরো সময়টায় মোবাইল ইন্টারনেটের ফোর-জিতে ছিল ধীরগতি। তবে র্যাবের পক্ষ থেকে মোবাইল ফোনের খুদে বার্তায় জানানো হয়েছে, গতকাল র্যাবের কোনো হেলিকপ্টার আকাশে উড্ডয়ন করেনি।
বিক্ষোভ কর্মসূচির সময় মিরপুর ১০ নম্বরের গোলচত্বর থেকে ১০ জনকে আটক করা হয়েছে। তারা আদৌ আন্দোলনকারী ছিল কি না, তা নিশ্চিত করেনি পুলিশ। তবে পুলিশের দাবি, তারা জড়ো হওয়ার চেষ্টা করেছিল। মিরপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুন্সি সাব্বির বলেন, সকাল থেকেই মিরপুর এলাকায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে পুলিশ মোতায়নে ছিল। এ সময় সন্দেহভাজন ১০ জনকে আটক করা হয়েছে।