রোমাঞ্চকর ম্যাচে জয়ের সম্ভাবনা জাগানো পাওয়েল ১৫ বলে ৩ চার ও ১ ছক্কায় ২৭ রানে আউট হয়েছেন। হায়দরাবাদের দেওয়া ২০২ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে শুরুতেই বিশাল ধাক্কা খায় সফরকারীরা। একই ওভারে ফিরে যান জশ বাটলার (০) ও সানজু স্যামসন (০)। এমন ধাক্কার পরও টেবিল টপাররা ঘুরে দাঁড়ায় যশস্বী জয়সওয়াল ও রায়ান পরাগের বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে। এই দুজন যতক্ষণ ছিলেন ততক্ষণ সব কিছু নিয়ন্ত্রণে ছিল তাদের। দ্রুত সময়ের ব্যবধানে জয়সওয়াল ও পরাগ ফিরে গেলে ছন্দপতন ঘটে ইনিংসে। ৪০ বলে জয়সওয়াল ৭ চার ও ২ ছক্কায় ৬৭ রানে আউট হয়েছেন। পরাগ ৪৯ বলে ৮ চার ও ৪ ছক্কায় করেছেন সর্বোচ্চ ৭৭ রান! তার পরেও মনে হচ্ছিল হেটমায়ার ম্যাচটা শেষ করে যেতে পারবেন। কিন্তু ৯ বলে ৩ চার ও ১ ছক্কায় ১৩ রানে তার বিদায় ম্যাচে ফেরার সম্ভাবনা তৈরি করে হায়দরাবাদের। পাওয়েল শেষ পর্যন্ত একা লড়াই করলেও শেষ বলে ভুবনেশ্বরের বলে কাটা পড়েন তিনি। রাজস্থান ৭ উইকেটে করতে পারে ২০০ রান।
৪১ রানে তিনটি উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা ভুবনেশ্বর। ৩৪ রানে দুটি নিয়েছেন প্যাট কামিন্স, ৩৫ রানে সমসংখ্যক উইকেট নেন টি নটরাজনও।
টস জিতে শুরুতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় হায়দরাবাদ। এই মৌসুমে রান বন্যা বইয়ে দেওয়া দলটি আজকেও রান উৎসব করেছে। ট্রাভিস হেডের ৪৪ বলে ৫৮ রানের পর নিতিশ কুমার রেড্ডি অপরাজিত ৭৬* ও হাইনরিখ ক্লাসেনের ১৯ বলে অপরাজিত ৪২ রানে ভর করেই ৩ উইকেটে ২০১ রানের সংগ্রহ পায় তারা। নিতিশ রেড্ডির ৪২ বলের ইনিংসে ছিল ৩টি চার ও ৮টি ছয়ের মার। ক্লাসেনের ১৯ বলের ইনিংসে ছিল ৩টি চার ও ২টি ছয়।
রাজস্থানের হয়ে ৩৯ রানে দুটি উইকেট নিয়েছেন আবেশ খান। ৩১ রানে একটি নিয়েছেন সন্দীপ শর্মা।