নারায়ণগঞ্জ শহরের ফলের প্রধান পাইকারি বাজার চারারগোপে তরমুজের দাম অর্ধেকে নেমেছে। গত দুইদিন বৃষ্টি এবং মেঘলা আবহাওয়ায় তরমুজ ব্যবসায় ধস নেমেছে। আর তরমুজের ফলন ও সরবরাহ ভালো হওয়ায় দামও কমতে শুরু করেছে বলে জানিয়েছেন পাইকারি ব্যবসায়ীরা। বৃহস্পতিবার সরজমিনে শহরের কালীবাজার চারারগোপের ফলের আড়ৎ গুলোতে গিয়ে দেখা যায়, তরমুজের জমজমাট হাট। ক্রেতা-বিক্রেতাদের হাঁক-ডাকে সকাল থেকে মুখরিত হয়ে ওঠে পুরো হাট এলাকা। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে তরমুজ আসে এ হাটে। নামানোর সময় সাইজ অনুসারে আড়তের সামনে ১৫০ থেকে ১০০টি করে তরমুজ একেক স্থানে স্তূপ করা হয়।
দেখা যায়, সবচেয়ে বড় সাইজের তরমুজ ২৫০ টাকা থেকে ৩০০ টাকা পিস হিসাবে বিক্রি হচ্ছে। মাঝারি সাইজের ১৫০ টাকা থেকে ২০০ টাকা। ছোট সাইজের ৮০ টাকা থেকে ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আবুল হোসেন নামে এক মুদি দোকানি জানান, রমজানের শুরুর দিকে তরমুজে হাত দেয়া যায়নি।
৪০০ টাকার নিচে কোনো তরমুজ পাওয়া যায়নি। আজকে একটা তরমুজ কিনলাম ২৫০ টাকায়। রোকসানা বেগম নামে এক নারী ২০০ টাকায় তরমুজ কিনতে পেরে অনেক খুশি। তিনি জানান, দাম কমেছে শুনে আসছি। রোজার শুরুতে তরমুজের দাম আকাশ ছোঁয়া ছিল। তাই কিনতে সাহস করিনি। চারারগোপ ফলের আড়তে তরমুজ বিক্রি করতে আসা ভোলার চরফ্যাশনের কৃষক সালাউদ্দিন বলেন, এ বছর তরমুজের চারা রোপণ মৌসুমে ভারি বৃষ্টিপাত হওয়ায় ২৫ পারসেন্টের মতো চারা গাছ নষ্ট হয়ে গেছে। তাছাড়া তরমুজ আনতে পরিবহন খরচ অনেক বেড়েছে। শ্রমিক সার সবকিছুর দাম বেশি। আমাদের এ বছ র প্রতিটি তরমুজ উৎপাদন করতে ১০০ টাকার মতো খরচ হয়েছে। মায়ের দোয়া আড়তের মালিক মাসুম মৃধা বলেন, আমাদের আড়তে নদীপথে সড়ক পথে উভয় পথে তরমুজ আসে। প্রতিদিন সকাল হতে রাত পর্যন্ত তরমুজের বেচাকেনা চলে। আমি নিজে প্রতিদিন ১২ থেকে ১৫ লাখ টাকার তরমুজ বিক্রি করি। এখানকার সব আড়ত মিলে কোটি টাকার তরমুজ বিক্রি হয় প্রতিদিন।
তিনি আরও বলেন, গত সপ্তাহের ব্যবধানে পাইকারি বাজারে তরমুজের দাম অর্ধেকে নেমে এসেছে। যেই তরমুজ বিক্রি হয়েছে ৬০০ টাকায় সেই তরমুজ এখন বিক্রি হচ্ছে ৩০০ টাকায়। মাঝারি ও ছোট ষাইজের তরমুজ বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১৫০ টাকায়।
