গাজা উপত্যকায় আরো বেশি মানবিক সাহায্য পাঠানো প্রয়োজন। তার জন্য খুলে দিতে হবে সীমান্ত। দাবি করলেন জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী আনালেনা বেয়ারবক মধ্যপ্রাচ্যে সফর করছেন। মঙ্গলবার তিনি যান ইসরাইল-গাজা সীমান্ত কেরেম শালোমে।
সেখানে দাঁড়িয়ে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘গাজার পরিস্থিতি নারকীয়।’ দ্রুত সীমান্ত খুলে দিতে হবে এবং আরো অনেক বেশি পরিমাণে মানবিক সাহায্য পাঠাতে হবে সেখানে।
বেয়ারবক জানান, ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রামে জার্মানি বরাদ্দ বাড়িয়েছে। অতিরিক্ত এক কোটি ইউরো দেয়া হয়েছে গাজার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য।
বেয়ারবক আরো জানান, মিসর ও ইসরাইল দুই তরফই তাকে ট্রাক কিভাবে গাজায় ঢোকে সে বিষয়ে তথ্য দিয়েছে। বস্তুত, তিনিই প্রথম বিদেশী মন্ত্রী যাকে ইসরাইল কেরেম শালোম পর্যন্ত যাওয়ার অনুমতি দিলো। তাকে দেখানো হয়েছে, কিভাবে প্রতিদিন ১২০টি ট্রাকে মানবিক সাহায্য বোঝাই করে গাজায় পাঠানো হয়।
ইসরাইল জানিয়েছে, প্রতি ঘণ্টায় ১২টি ট্রাক সীমান্ত পার করে। ইসরাইল সীমান্তে দু’টি স্ক্যানারে এই ট্রাকগুলোকে পরীক্ষা করা হয়। দেখা হয়, জিনিসের সাথে বন্দুক, গুলি ইত্যাদি জিনিস পাঠানো হচ্ছে কিনা।
বার্তাসংস্থা ডিপিএ জানিয়েছে, ইসরাইলের প্রতিনিধিরা তাদের জানিয়েছেন যে আরো ট্রাক পারাপার করা সম্ভব। কিন্তু ট্রাক চালানোর জন্য যথেষ্ট ফিলিস্তিনি চালক খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।
বেয়ারবক এদিন ইসরাইলের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে বৈঠক করেন। সেখানে দ্বি-রাষ্ট্রবিষয়ক রাজনৈতিক সমাধান নিয়েও আলোচনা হয়েছে। বর্তমান যুদ্ধ-পরিস্থিতি নিয়েও দুই মন্ত্রীর আলোচনা হয়েছে।
সূত্র : ডয়চে ভেলে