তালেবানরা নতুন করে রাষ্ট্র ক্ষমতা নেয়ার পর আফগানিস্তানের নারী শিক্ষার ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কা তৈরি হয়েছিল। ধারণা করা হয়েছিল যে, আগের দফায় যেভাবে নারীদের শিক্ষার অধিকার কেড়ে নেয়া হয়েছিল, এবারো হয়ত তার পুনরাবৃত্তি ঘটবে। তবে আশার কথা হলো, দেশটির কিছু কিছু স্থানে কিশোরীরা স্কুলে ফিরতে শুরু করেছে এবং এখন পর্যন্ত সেভাবে বাধার মুখে পড়েনি তারা।
ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, আফগানিস্তানের ১৬ থেকে ১৭ বছর বয়সী কিশোরীরা স্কুলে যেতে শুরু করেছে। তবে এ চিত্র সারাদেশে একইরকম কিনা তা যাচাই করতে পারেনি বিবিসি।বামিয়ানসহ বেশকিছু এলাকার খবর ওই প্রতিবেদনে উঠে এসেছে।
এক নারী শিক্ষক বিবিসিকে জানিয়েছেন যে,গত দুই সপ্তাহ ধরে মেয়েদের পড়াচ্ছেন তিনি। তালেবান তাদের কোনো ধরনের বাধা দেয়নি। তবে এ শিক্ষক জানান, বেশিরভাগ নারী শিক্ষার্থী ক্লাসে আসছে না। তালেবান সরকার নারী শিক্ষাকে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি না দেয়া এর কারণ হতে পারে।
স্কুলে আসা শিক্ষার্থীরা বিবিসিকে জানিয়েছে, গত ১১ বছর ধরে স্কুলে পড়াশোনা করছে তারা। এটি চালিয়ে যেতে চায়।প্রথমদিকে স্কুলে আসতে ভয় পেলেও এখন তারা ভয় পাননা। তবে কিছু মেয়েকে হয়রানি ও ভয় দেখানো হয়েছে বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে।
তালেবান ক্ষমতায় আসার পর আফগানিস্তানে আন্তর্জাতিক অর্থায়ন বন্ধ হয়ে যায়।যার কারণে অনেক শিক্ষার্থীর ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তিত হয়ে পড়েন তাদের অভিভাবকরা।বেশিরভাগ মেয়ে শিক্ষার্থীর পরিবার মনে করছে স্কুলে যাওয়া খুব বিপজ্জনক।
তবে বিবিসিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে একজন শিক্ষক বলেছেন, অন্তত শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যতের কথা ভেবে হলেও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উচিত তালেবানকে স্বীকৃতি দেয়া।
এ দফায় ক্ষমতা গ্রহণের পর তালেবান সরকার জানিয়েছিল, মেয়েদের নিরাপত্তা নিশ্চিত ও পড়াশোনার পরিবেশ তৈরি করার আগ পর্যন্ত তারা ঘরে থাকবে।