বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, আমরা কেমন আছি, সবাই জানি। কিন্তু যারা ক্ষমতায় আছে ওরা কেমন আছে, তা কেউ জানে না। তবে চোররা জানে তারা ভালো নাই। ভালো নাই বলে মাঝে-মধ্যে আবোল-তাবোল কথা বলে। আর সরকারের অবস্থা এমন হয়েছে যে, কি কয় তারা নিজেরা বুঝে কিনা সন্দেহ।
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, সরকারের সমালোচনা করে তিনি বলেন, কে একজন এখানে সরকারের অপচয়ে কথা বললেন। লক্ষ কোটি টাকা বিদেশে জমা করছে, সব জমা করছে ভবিষ্যতের জন্য। আল্লাহ তাদের তওফিক দিক সম্পদ জমাই যেন থাকে। সময়মত যেন আমরা লুণ্ঠিত জমা করা ওইসব সম্পদ উদ্ধার করতে পারি। আর তারা ইফতার করে খরচ বাড়াতে চায় না। কারণ তাদের ইফতারের প্রয়োজন হয় না।
সুতরাং এজন্য বললাম, যেখানে তকমা দেয় ইফতারে কি খাবে, বড়ই না খেজুর। এই ধরনের একটা অবার্চীন সরকারের অধীনে দেশবাসী বসবাস করছে।
১/১১ ঘটনাবলী এবং খোন্দকার দেলোয়ার হোসেনের ভূমিকার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, ওই সময়ের অনেক কথা, অনেক সত্য আছে যা বলার সময় এখন নয়। আমি বলব লিখে রাখেন। আমার মনে হয় এই মুহূর্তে সকল সত্য কথা বলার সময় আসেনি, সেই পরিবেশ তৈরি হয়নি। কারণ আমরা এখন লড়াইয়ের ময়দানে আছি এবং আমাদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। আমাদের এখন ভালো-মন্দ খোঁজার থেকে লড়াইয়ের মাঠে সাহাদাত বরণ করা বড় কথা। যেমন ঐক্যবদ্ধ প্রতিশ্রুতিশীলরা সকলে এক হলে জয়লাভ করা যায় এবং তেমনি কমিটমেন্ট যাদের নাই তাদের দিয়ে দীর্ঘ সংগ্রামে-লড়াই করে জয়ী হওয়া যায় না।
বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কবি আবদুল হাই শিকদারের সভাপতিত্বে সভায় দলের ভাইস চেয়ারম্যান ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন, শামসুজ্জামান দুদু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ, নির্বাহী কমিটির সদস্য অধ্যক্ষ সোহরাব উদ্দিন, লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, খোন্দকার দেলোয়ারের জ্যেষ্ঠ ছেলে খোন্দকার আকবর হোসেন বাবলু প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।