রেলপথমন্ত্রী ও রাজবাড়ী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. জিল্লুল হাকিম বলেছেন, রেলওয়েতে টিকিট কালোবাজারি রয়েছে। এরা একটি বিরাট সিন্ডিকেট। আমি রেলমন্ত্রী হওয়ার পরে ইতিমধ্যে তিনটি সিন্ডিকেট ও টিকিট কালোবাজারিদের ধরেছি।
রেলমন্ত্রী বলেন, রেলের যে বুফে কার রয়েছে সেখানে খাবারের মান খুবই খারাপ ছিল। আমি তাদের সাথে রেল ভবনে বসেছিলাম। তাদের আমি বলেছিলাম খাবারের দাম আপনারা বেশি নেন তাতে সমস্যা নেই, কিন্তু মান খারাপ হলে লাইসেন্স বাতিল করা হবে। রেলের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বাড়ানোর জন্য বলেছি। আমরা চেষ্টা করছি সকল সমস্যা সমাধানের।
রেলমন্ত্রী বলেন, আমি রেলমন্ত্রী হওয়ার পর দেখলাম ভিতরটা একদম ফাঁকা। গোল্ডেন হ্যান্ডশেকের নামে দক্ষ জনশক্তি রেল থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। শুধু রেল থেকে না সারা বাংলাদেশে প্রত্যেকটি প্রতিষ্ঠান থেকে দক্ষ জনশক্তি বাদ দেওয়া হয়েছে। আমি কিছুদিন আগে সৈয়দপুরে গিয়েছিলাম। সৈয়দপুরে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় রেলের কারখানা। সেখানে কাজ করার জন্য ২৮০০ লোকের দরকার। কিন্তু সেখানে এখন আছে মাত্র ৮৫০ জন লোক। এসব জনশক্তি নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গেছে। শিগগিরই রেলওয়ের শূন্যপদ পূরণ করে রেলওয়েকে সুবিধাজনক অবস্থায় আনা হবে।
আলোচনা সভা সঞ্চালনা করেন রাজবাড়ী জেলা আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মো. সফিকুল ইসলাম সফিক। এতে আরও বক্তব্য রাখেন— জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাজী ইরাদত আলী, সহ-সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এ কে এম শফিকুল মোরশেদ আরুজ, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি রেজাউল হক রেজা, সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ফকির আব্দুল জব্বার, সহ-সভাপতি মোহাম্মদ আলী প্রমুখ।