এশিয়ান চ্যাম্পিয়নস লীগে ‘অল সৌদি অ্যারাবিয়ান’ দ্বৈরথে আল ইত্তিহাদকে হারিয়ে টানা জয়ের বিশ্ব রেকর্ড গড়লো আল হিলাল। মঙ্গলবার জেদ্দায় কিং আবদুল্লাহ স্টেডিয়ামে করিম বেনজেমার আল ইত্তিহাদের বিপক্ষে ২-০ গোলে জয় পায় স্বদেশি ক্লাবটি। এতে টানা ২৮ ম্যাচ জিতে ওয়েলস প্রিমিয়ার লীগের ক্লাব দ্য নিউ সেন্টসের রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে আল হিলাল। ২০১৬-১৭ মৌসুমে টানা ২৭ ম্যাচ জিতেছিল দ্য নিউ সেন্টর। সেবার ১৯৭১-৭২ মৌসুমে ক্রুইফ-নিসকেন্সদের আয়াক্স আমস্টারডামের গড়া টানা ২৬ ম্যাচ জয়ের রেকর্ড ভেঙে দেয় ওয়েলসের ক্লাবটি।
এএফসি চ্যাম্পিয়নস লীগে মঙ্গলবারের জয়ে ৪-০ গোলের অগ্রগামিতায় সেমিফাইনালে পৌঁছলো আল হিলাল। ফিরতি লেগে ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে গোল করেন আল হিলালের আল শাহরানি ও ম্যালকম। দলটির পর্তুগিজ কোচ হোর্হে জেসুস বলেছেন, ‘এটা সত্যিই অসাধারণ অর্জন। এই স্মরণীয় জয়ের রেকর্ডে ভূমিকা রাখা প্রত্যেককে ধন্যবাদ জানাই আমি।’ এএফসি চ্যাম্পিয়নস লীগে সর্বাধিক চারবারের চ্যাম্পিয়ন আল হিলাল সেমিফাইনালে আরব আমিরাতের ক্লাব আল আইনের মুখোমুখি হবে। কোয়ার্টার ফাইনালে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর আল নাসরকে হারিয়েছে আল আইন। সৌদি প্রো লীগে আল নাসরের চেয়ে ১২ পয়েন্টে এগিয়ে আছে।
দলের তারকা খেলোয়াড় নেইমারকে ছাড়াই এগিয়ে যাচ্ছে তারা। হাঁটুর ইনজুরিতে দীর্ঘদিন মাঠের বাইরে ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড। আল হিলালের এই সাফল্যের নেপথ্য নায়ক ফুলহ্যাম ও নিউক্যাসেলের সাবেক স্ট্রাইকার আলেক্সান্দার মিত্রোভিচ। লীগ ও মহাদেশীয় প্রতিযোগিতায় ২৮ ম্যাচে ২৯ গোল করেছেন এ সার্বিয়ান তারকা।
এছাড়া কালিদো কুলিবালি, রুবেন নেভেস ও সার্গে মিলিঙ্কোভিচ সাভিচ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। সবশেষ আল হিলাল জয়হীন ছিল গত বছর ২১শে সেপ্টেম্বর। ওই ম্যাচে সৌদি প্রো লীগে দামাকের সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র করে তারা। তারপর সৌদি লীগে ১৬, ঘরোয়া কাপে তিন ও এশিয়ান চ্যাম্পিয়নস লীগে ৯ ম্যাচ খেলে সবগুলো জিতেছে আল হিলাল। ক্লাবটির এই জয়যাত্রায় দুই ম্যাচে মাঠে ছিলেন ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড নেইমার। গত বছর সেপ্টেম্বরে আল শাবাব এবং নাসাজি মাজানদারানের বিপক্ষে খেলেছিলেন তিনি। এরপর গত বছর অক্টোবরে বিশ্বকাপ বাছাইয়ে উরুগুয়ের বিপক্ষে পায়ে চোট পেয়ে মাঠের বাইরে ছিটকে পড়েন নেইমার। সেই চোট কাটিয়ে গত মাসে সৌদি ক্লাবটিতে ফিরেছেন তিনি। তবে এখনো মাঠে নামা হয়নি তার।